National Dengue Day 2022: ২৪ ঘণ্টা পার হয়েও কমছে না জ্বর? ডেঙ্গির এই লক্ষণগুলো অবহেলা করবেন না
Dengue: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, প্রতি বছর ৪০০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ ডেঙ্গি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়। ডেঙ্গির লক্ষণ হালকা থেকে মারাত্মক হতে পারে।
প্রতি বছর ১৬ মে জাতীয় ডেঙ্গি দিবস পালিত হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) জানিয়েছে, প্রতি বছর ৪০০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ ডেঙ্গি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়। এটি একটি মশাবাহিত রোগ এবং স্ত্রী এডিস ইজিপ্টই ডেঙ্গি ভাইরাস ছড়ায়। মৃত্যুর হার কম হলেও সঠিক চিকিৎসা এবং সময়মতো রোগ (Health Tips) নির্ণয়ের অভাবে এটি মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়। প্রাথমিক পর্যায়ে এই রোগ সনাক্ত করা গেলে এবং সময়ের আগে রোগের চিকিৎসা হলে একে গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছানো থেকে প্রতিরোধ করা যায়। কিন্তু সমস্যা হল ডেঙ্গি চিকিত্সার কোনও ওষুধ আপাতত নেই। ডেঙ্গির (Dengue) লক্ষণ হালকা বা মারাত্মক হতে পারে। তবে মারাত্মক হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে হাসপাতালে চিকিত্সা করা প্রয়োজন। হালকা উপসর্গ দেখা দিলে বাড়িতেই চিকিত্সা করা সম্ভব।
ডেঙ্গু ভাইরাসে সংক্রমণে ফলে অনেক বেশি জ্বর, মাথাব্যথা, বমি-বমি ভাব, পেশী এবং শরীরে বিভিন্ন জয়েন্টগুলোর মধ্যে ব্যথা লক্ষ্য করা যায়। সেই সঙ্গে চামড়ায় লাল লাল ফুসকুড়িও দেখা দিতে পারে। বাড়িতেই হালকা লক্ষণ দেখা দিলে ডেঙ্গির চিকিত্সা করা সম্ভব। কিন্তু তার আগে ডেঙ্গির লক্ষণগুলি জেনে নেওয়া দরকার…
-কোনও লক্ষণ ছাড়াই হঠাৎ করে প্রচণ্ড জ্বর -ব্যাপক মাথাব্যথা -চোখে ব্যথা -জয়েন্ট এবং পেশীতে ব্যথা যা যন্ত্রণা -ক্লান্তি বা বমি-বমি ভাব -বমি -জ্বর শুরু হওয়ার দুই থেকে পাঁচ দিন পর ত্বকে ফুসকুড়ি দেখা দেয়
রোগ প্রতিরোধের উপায়
রোগ প্রতিরোধের সর্বোত্তম উপায় হল মশার কামড় এড়ানো। এর জন্য সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি এবং মশার বৃদ্ধি প্রতিরোধ করা আবশ্যক। এই মশারা প্রায়ই বালতি, বাটি, পশুর থালা, ফুলের পাত্র এবং ফুলদানিগুলির মতো জল রাখার পাত্রে ডিম পাড়ে। যে সব পাত্রে বা জায়গায় দীর্ঘ দিন ধরে জল জমে থাকে সেখানেই জন্ম নেয় ডেঙ্গির মশা। তাই কোথাও জল জমতে দেবেন না। বর্ষার দিন আসছে তাই সর্তক থাকুন।
চিকিৎসা
-যতটা সম্ভব বিশ্রাম নিন।
-জ্বর কমানোর চেষ্টা করুন। জ্বর কমানোর জন্য প্যারাসিটামল খেতে পারেন। তাতে জ্বর কমার পাশাপাশি ব্যথা-যন্ত্রণার উপশম হবে।
-জ্বর কমাতে ঠান্ডা জল দিয়ে রোগীর ত্বককে স্পঞ্জ করুন।
-ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ করুন। রোগীর জ্বর হলে, বমি হলে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই এই সময় প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন।
-২৪ ঘণ্টার মধ্যে উপসর্গগুলো না কমলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।