Tooth and Gum Care: দাঁত বা মাড়ির অসহ্য যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য রইল কিছু ঘরোয়া টোটকা, সবিস্তারে জেনে নিন…
আপনি কি জানেন যে মধুতে অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল প্রপারটিস রয়েছে যা দাঁতের গোঁড়ায় এবং মাড়িতে প্লাক অথবা ব্যাক্টেরিয়া থাকলে তা দূর করতে সাহায্য করে।
টুকটাক দাঁতের বা মাড়ির সমস্যায় আমরা সবাই কোনও না কোনও সময়ে ভুগি, কিন্তু এই যন্ত্রণা যদি দীর্ঘস্থায়ী হয় তাহলে পরে গিয়ে এটা একটা বড় সমস্যার আকার নিতে পারে। ডাক্তারের পরামর্শ তো নিতেই হবে, সঙ্গে কিছু ঘরোয়া টোটকাও জেনে রাখুন। এতে মাড়ি থেকে রক্ত পড়লে বা দাঁতে যন্ত্রণা হলে সঙ্গে সঙ্গে আপনি একটু হলেও আরাম পেতে পারেন।
মধু:
মধুর অনেক গুণ। কাশি হলে কাজে আসে, আবার ত্বক এবং চুলের যত্নেও মধু খুব উপকারী। তবে আপনি কি জানেন যে মধুতে অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল প্রপারটিস রয়েছে যা দাঁতের গোঁড়ায় এবং মাড়িতে প্লাক অথবা ব্যাক্টেরিয়া থাকলে তা দূর করতে সাহায্য করে। যদি আপনার মাড়িতেও এ ধরণের সমস্যা থাকে তাহলে আপনি এই ঘরোয়া টোটকাটি ট্রাই করতে পারেন।
এক চামচ মধু নিয়ে ভাল করে মাড়িতে ঘষে নিন। বেশি চাপ দেবেন না। হালকা হাতে মিনিট দশেক মাসাজ করার পর উষ্ণ জলে কুলকুচি করে মুখ ধুয়ে ফেলুন। তাড়াতাড়ি ফল পেতে এটা কিন্তু প্রতিদিন অন্তত দু’বার করতে হবে।
টি ট্রি অয়েল:
টি ট্রি অয়েল অ্যান্টিসেপকটিক হিসেবে দারুণ কাজ দেয়। যদি কোনও কারণে মাড়িতে ইনফেকশন হয়ে যায় তাহলে এই ঘরোয়া টোটকাটি ট্রাই করতে পারেন। এক চামচ নারকোল তেল আর দু-তিন ফোঁটা টি-ট্রি অয়েল মিশিয়ে হালকা হাতে মাড়িতে মাসাজ করে নিন। এরপর ৫ থেকে ১০ মিনিট বাদে ভালো করে কুলকুচি করে মুখ ধুয়ে নিন। দিনে দু’বার এটা করুন, ধীরে ধীরে মাড়ির সমস্যা চলে যাবে।
হলুদ:
হলুদে যে অ্যান্টিফাঙ্গাল, অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল প্রপারটিস রয়েছে সেকথা আর কারও অজানা নয়। হলুদের মধ্যে ‘কারকিউমিন’ নামক একটি প্রাকৃতিক কম্পাউন্ড রয়েছে যা মাড়ি থেকে প্লাক, ব্যাক্টেরিয়া এবং কোনও রকম ইনফেকশন থাকলে তা দূর করতে এবং এই সমস্যার ফিরে আসা রোধ করতে খুবই কার্যকরী।
এক চামচ হলুদের গুঁড়ো, আধ চামচ নুন আর আধ চামচ সর্ষের তেল মিশিয়ে ভাল করে দাঁতের গোঁড়ায় আর মাড়িতে ঘষে নিন। দিনে দুই থেকে তিন বার এটা করুন। কিছুদিনের মধ্যেই মাড়ির সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
এছাড়াও আরও কয়েকটি ছোট খাটো টিপস মাথায় রাখা দরকার:
দিনে অন্তত দু’বার দাঁত মাজুন। সম্ভব হলে প্রতিবার খাবার পরেই দাঁত মাজুন, তবে যদি সেটা সম্ভব না হয় তাহলে অন্তত ভাল করে মাউথওয়াশ দিয়ে কুলকুচি করে নিন।
নরম অথবা মিডিয়াম ব্রিসল যুক্ত টুথব্রাশ ব্যবহার করুন। হালকা হাতে দাঁত মাজুন, শরীরের সমস্ত শক্তি প্রয়োগ করবেন না।
খাবারে ফল এবং সব্জি যোগ করুন। এতে শরীর যেমন ভাল থাকে তেমনি মাড়িও সুস্থ থাকে।
মুখে কোনও রকম দুর্গন্ধ হলে অথবা দাঁত মাজতে গিয়ে রক্ত পড়লে সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের সাহায্য নিন।
আরও পড়ুন: Omicron: ডেল্টার থেকে ৩ গুণ বেশি সংক্রমণ ছড়াতে সক্ষম ওমিক্রন! বলছে দক্ষিণ আফ্রিকার এক সমীক্ষা
আরও পড়ুন: Iron Deficiency: শুধু রক্তাল্পতা নয়, আয়রনের অভাবে একাধিক রোগের উৎপত্তি হতে পারে জানেন?