Obesity: আতঙ্কের নাম ওবেসিটি, বাড়তে থাকা এই সমস্যাই বাড়িয়ে দিচ্ছে অসুখের ঝুঁকি: সমীক্ষা
Overweight: অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় এখন সকলেই ভুগছেন। আর এর জন্য দায়ী কিন্তু আমাদের জীবনযাত্রা। দেখে নিন যে ভাবে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখবেন...
ডায়াবিটিস, ক্যানসারের মতই দেশজুড়ে ক্রমশই বাড়ছে ওবেসিটি আক্রান্তের সংখ্যা। কিন্তু দুঢখের কারণ হল এই সমস্যাটি নিয়ে দেশবাসী একেবারেই সচেতন নন। হার্টের সমস্যা, ক্যানসার থেকে শুরু করো কোভিড-এই বিষয়ে যত না আলোচনা হয় তার ছিটেফোঁটাও হয় না ওবেসিটি ( Obesity) নিয়ে। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ১৯৭৫ সালে আমাদের দেশে যত সংখ্যক মানুষ ওবেসিটিতে ভুগতেন সেই সংখ্যাটা এখন প্রায় তিনগুণ হয়ে গয়েছে। ইন্ডিয়ান জার্নাল অফ কমিউনিটি মেডিসিনে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছে ২০৩০ সালের মধ্যে প্রায় ২৮ শতাংশ মানুষ ভুগবেন ওবেসিটিতে। যার মধ্যে ভারতীয় নাগরিকরাই রয়েছেন ৫ শতাংশ। শুধু ভারত নয়, বিশ্বজুড়েই অবহেলিত এই স্থূলতার সমস্যা।
আর তাই WHO-এর বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ কোনও ভাবেই কিন্তু ওবেসিটিকে উপেক্ষা নয়। ওবেসিটি থেকেই বাড়ে অন্যান্য শারীরিক সমস্যার ঝুঁকি। আর তাই এ বিষয়ে প্রথমেই সচেতন না হলে পরবর্তীতে বিপদ আরো বাড়বে। সেই সঙ্গে স্বাভাবিক জীবনযাত্রাতেও ঘটবে ব্যাঘাত।
কখন বুঝবেন যে আপনি ওবেসিটির শিকার?
শরীরে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত ফ্যাট জমললেই তা হল ওবেসিটি। আজকাল বেশিরভাগই এই সমস্যায় ভুগছেন। এর এক এবং একমাত্র কারণ হল খাওয়া দাওয়া। আর্থিক ভাবে মোটামুটি সকলেই এখন স্বচ্ছল। যে কতারণে হাত বাড়ালেই চলে আসছে পছন্দের সব খাবার। এই বাড়তে থাকা ওজনই ডেকে আনে হার্টের সমস্যা, হাইপার টেনশন, ডায়াবিটিস, ক্যানসারেরর সমস্যা।
বিএমআই ( BMI) ২৫ পেরোলেই তা ওবেসিটি বলে ধরে নেওয়া হয়। ৩০ এর উপর গেলে তো কথাই নেই। এই বডিমাস ইনডেক্সের উপরই নির্ভর করে আপনি ওবেসিটির শিকার কিনা! যে কারণে সব মানুষেরই বছরে একটা স্বাস্থ্য পরীক্ষা খুবই জরুরি। নইলে বাড়তে থাকা ওজন কোনও ভাবেই নিয়ন্ত্রণে আসবে না। সেই সঙ্গে ওবেসিটি ধরা পড়লে অবশ্যি চিকিৎসকের পরামর্শ মত চলতে হবে। ওবেসিটি এড়িয়ে গেলে জটিল সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন, হতেই পারে তখন হয়ত পরিস্থিতি নাগালের বাইরে চলে গেল। আর তাই আগে থেকেই সচেতন হন।
ওবেসিটি এবং ক্রনিক সমস্যা
দিনের পর গিন অতিরিক্ত ক্যালোরির খাবার খাওয়া, চিনি খাওয়া, ফ্যাট খাওয়া এবং সেই সঙ্গে যদি একেবারেই কোনও শরীরচর্চা না করেন তাহলে ওবেসিটি আসতে বাধ্য। গ্রামের তুলনায় শহরে ওবেসিটি আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি। সেই সঙ্গে জীবনযাত্রাও এই সমস্যার জন্য দায়ী। কোভিড পরবর্তী সময়ে বেড়েছে ওবেসিটি আক্রান্তের সংখ্যাও।
কারণ সংক্রমণের কারণে অনেকেই নিজেদের একেবারে গৃহবন্দি করে রেখেছেন। সব রকম শরীরচর্চা বন্ধ। অফিস উঠে এসেছে বেডরুমে। বাড়িতে বসে বসে ডিপ্রেশন তো আসছেই, সেই সঙ্গে সকলে মন ভাল রাখতে নজর দিয়েছেন খাওয়া-দাওয়াতে। কোভিড পরবর্তী সময়ে খাওয়া-দাওয়ার এই রুটিনে এসেছে বড় পরিবর্তন। আর তাই আরও বেশি করে বাড়ছে ওবেসিটির সমস্যা। ওবেসিটি থাকলেই কোলেস্টেরল, ফ্যাটি লিভার, হার্টের সমস্যা, রক্ত চাপের সমস্যা এসব আসবেই।
ওবেসিটি এবং বন্ধ্যাত্য
ওবেসিটি একা আসে না, সঙ্গে আরও অনেক রোগ সমস্যাকে আমন্ত্রণ জানায়। আর এর ফলে যেমন মানসিক স্বাস্থ্য বিঘ্নিত হয় তেমনই আসে বন্ধ্যাত্যের সমস্যাও। ওজন বাড়লে মেয়েদের শরীরে অনেক হরমোন ঠিক মত কাজ করে না। এর থেকেই আসে পিসিওএস ( PCOS)-এর মত সমস্যা। আজকাল এই সমস্যা মেয়েদের মধ্য়ে খুবই সাধারণ। আর এই সমস্যার সময়ে চিকিৎসা না হলে আসতে পারে বন্ধ্যাত্য।
স্থূলতা এবং মানসিক সমস্যা
ওজন বাড়লে শরীরের অ্যাক্টিভিটি কমে যায়। এনার্জিতে খামতি হয়। সেই সঙ্গে অল্পেই শরীর হাঁপিয়ে ওঠে। মন খারাপ, ডিপ্রেশন এসব চেপে বসে। আত্মবিশ্বাস কমে যায়। মানসিক চাপ জেঁকে বসলে কর্মক্ষেত্র থেকে ব্যক্তিগত জীবন সর্বত্রই আসে একাধিক সমস্যা।
আরও পড়ুন: Weight loss: কড়া নাড়ছে ডায়াবিটিস? দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসে অবশ্যই আনুন এই সব পরিবর্তন…