Omicron: ৬৬ শতাংশ ওমিক্রন আক্রান্তই পূর্বে Covid Positive হয়েছেন, নতুন তথ্য মিলল সমীক্ষায়…

যাঁরা ডেল্টায় আক্রান্ত হয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে টিকাকরণের পরও অনেকে আবার আক্রান্ত হয়েছেন ওমিক্রনে। এক্ষেত্রে যথাযথ কোভিড বিধি মানা হয়নি, এমনটাই কিন্তু ইঙ্গিত করছেন বিশেষজ্ঞরা।

Omicron: ৬৬ শতাংশ ওমিক্রন আক্রান্তই পূর্বে Covid Positive হয়েছেন, নতুন তথ্য মিলল সমীক্ষায়...
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 30, 2022 | 7:03 PM

ওমিক্রনের ( Omicron) সংক্রমণ যে ভাবে বাড়ছে তাতে প্রতিদিনই প্রচুর মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। আর সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যাঁরা এবার ওমিক্রনে আক্রান্ত হচ্ছেন তাঁদের মধ্যে প্রায় দুই তৃতীয়াংশ এর আগে আক্রান্ত হয়েছিলেন কোভিডে। ২০ লক্ষেরও বেশি মানুষের উপর পরীক্ষা চালিয়ে এই তথ্য হাতে এসেছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পুনঃসংক্রমণের শিকার স্বাস্থ্যকর্মীকরা ( Health worker) । এছাড়াও যাঁদের পরিবারে সদস্য সংখ্যা বেশি, বাড়িতে বাচ্চা রয়েছে এবং যাঁরা দীর্ঘক্ষণ বদ্ধ পরিবেশে অনেকের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন তাঁদের মধ্যে আক্রান্তের হার কিন্তু সর্বাধিক। ওমিক্রন বা করোনার B.1.1.529- রূপটিই ওখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ছড়াচ্ছে।

এবং বিশেষজ্ঞরা এই রূপটিকেই এখনও সবচেয়ে বেশি সংক্রামক হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। ২৪ নভেম্বর প্রথম এই ভ্যারিয়েন্ট ধরা পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকায়। এরপর তা প্রচুর পরিমাণে মিউটেশনের মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে থাকে। অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় কোভিডের এই নতুন ভ্যারিয়েন্টটি যে অনেক বেশি সংক্রামক তা ২৬ নভেম্বর জানায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

আমাদের দেশে ওমিক্রন BA.2 এবং ওমিক্রনের সাব স্ট্রেন গুলিই সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। বর্তমানে দেশে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২১,০৫,৬১১। এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুসারে, ওড়িশা, মহারাষ্ট্র এবং পষ্চিমবঙ্গে েখনও পর্যন্ত ডেল্টার প্রভাব কিন্তু সবথেকে বেশি। সম্প্রতি দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুয়ারে, যাঁরা দ্বিতীয় ঢেউয়ে ডেল্টায় আক্রান্ত হয়েছিলেন তাঁরাও ফের আক্রান্ত হয়েছেন ওমিক্রনে। পুনরায় এই সংক্রমণ কিন্তু একেবারেই উপেক্ষা করার বিষয় নয়। যথাযথ কোভিড বিধি মেনে চলা হচ্ছে না, যে কারণে বাড়ছে সংক্রমণ- আর তাই বিশেষজ্ঞরা বার বার এই বিষয়টির উপরেই কিন্তু জোর দিচ্ছেন।

যাঁরা সদ্য ওমিক্রন থেকে সেরে উঠেছেন, তাঁরাও যদি মাস্ক ব্যবহার না করেন এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে না চলেন তাহলেও কিন্তু পরবর্তীতে আবারও থেকে যায় সংক্রমণের ঝুঁকি। ভারতে এখনও পর্যন্ত ওমিক্রনে পুনঃসংক্রমণের কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি। কিন্তু ভাইরৈস যে ভাবে তার রূপ প্রকৃতি বদল করছে তাতে যে কোনও সময়ই সে মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে। এই বিষয়ে সঠিক কোনও তথ্য এখনও পর্যন্ত গবেষকদের হাতে নেই। ভবিষ্যতে নতুন কোন ভ্যারিয়েন্ট আসবে তাও জানা নেই।

আবার ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের একটি সমীক্ষা বলছে, ওমিক্রনের সংক্রমণে কমছে ইমিউনিটি। ফলে ডেল্টার মত ওমিক্রনেও কিন্তু দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা থেকে যায়। যেহেতু কোভিডের এই ভ্যারিয়েন্ট সরাসরি প্রভাব ফেলে আমাদের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতার উপর।

গত সপ্তাহে প্রতিদিন প্রায় তিন লক্ষ মানুষ প্রতিদিন আক্রান্ত হয়েছেন কোভিডে। সংক্রমণ এখন অনেক দ্রুত ছড়াচ্ছে। মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, ওড়িশা, হরিয়ানা, পশ্চিমবঙ্গে কোভিড কেস কমতে শুরু করলেও কর্ণাটক, কেরালা, তামিলনাড়ু, গুজরাট, অন্ধ্রপ্রদেশ, রাজস্থানে প্রতিদিন নতুন করে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও কিন্তু কমতে শুরু করেছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা।

লন্ডনের হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সির মুখ্য উপদেষ্টা ডাঃ জেনি হ্যারিস যেমন বলেছেন, কোভিড ঠেকাতে টিকাকরণ ছাড়া কোনও গতি নেই। সকলকেই টিকা নিতে হবে। সেই সঙ্গে যত দ্রুত সম্ভব বুস্টার ডোট দেওয়া যায় সেদিকে নজর দিতে হবে। সবাই সঠিক সময়ে টিকা পেলে তবেই কমবে হাসপাতালে ভর্তির হার।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন। 

আরও পড়ুন: Omicron Update: কোভিড পরবর্তী সময়ে অতিরিক্ত পরিশ্রমের জন্য দীর্ঘায়িত হতে পারে এই সব সংক্রমণ জনিত সমস্যা!