সাবধান! কাদের জন্য পেয়ারা একেবারেই উপযুক্ত নয়, জানেন?
বিজ্ঞানীদের পতে, পেয়ারা পাতার রসেও ফলের সমান পুষ্টিগুণ রয়েছে। নিয়িমিত পেয়ারা খেলে বিভিন্ন ধরনের ক্যানসার যেমন স্তন ক্যানসার, মুখের ও ত্বকের, পাকস্থলী ও ফুসফুসের ক্যানসার প্রতিরোধ করা সম্ভব।
সাধারণ ও সহজলভ্য় এই ফলের পুষ্টিগুণের বহর শুনলে চমকে যেতে হয়। দেশি ফলগুলির মধ্যে পেয়ারা বেশ জনপ্রিয়ও বটে। স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য প্রতিদিন একটি করে পেয়ারা ডায়েটের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। ডায়াবেটিস ও হার্টের রোগীদের জন্য পেয়ারা অত্যন্ত উপকারী। পেটের সমস্যা, মুখের মধ্যে সংক্রমণ-এই সব সমস্যা থেকে চটজলদি রেহাই পেতে প্রতিদিন একটি করে পেয়ারা খাওয়া খুব ভাল।
পেয়ারা শুধু একটি ফল নয়, স্বাস্থ্যের জন্য এর গুণ অপরিহার্য। বিজ্ঞানীদের মতে, পেয়ারা পাতার রসেও ফলের সমান পুষ্টিগুণ রয়েছে। নিয়মিত পেয়ারা খেলে বিভিন্ন ধরনের ক্যানসার যেমন স্তন ক্যানসার, মুখের ও ত্বকের, পাকস্থলী ও ফুসফুসের ক্যানসার প্রতিরোধ করা সম্ভব।
পেয়ারাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি ও পটাসিয়াম। একটি পেয়ারায় মাত্র ১১২ ক্যালোরি ও ২৩ গ্রামের বেশি কার্বোহাইড্রেটস রয়েছে। এছাড়া ৯ গ্রাম ফাইবারও থাকে। ১ কাপ পেয়ারা টুকরো ১.৬ গ্রাম ফ্যাট ও ৪ গ্রামের বেশি প্রোটিন থাকে। সমীক্ষা বলছে, ডায়াবেটিসের জন্য পেয়ারা সুপার ফুড হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এতে বেটা ক্যারোটিন, ফোলাইটের মতো খনিজ থাকায় শরীরের জন্য পেয়ারা এতটাই গুরুত্বপূর্ণ। তবে সবার জন্য পেয়ারা পুষ্টিকর নাও হতে পারে। কারা কারা পেয়ারা এড়িয়ে যাবেন, জেনে নিন এখানে…
পেয়ারায় রয়েছে ভিটামিন সি ও ফ্রুকটোজ। তাই দুটির বেশি খেলেই পেটে ব্যাথা ও পেট ফুলে যাওয়া অনুভব করতে পারেন অনেকে। জলের মধ্যে ভিটামিন মিশে গিয়ে দেহে অতিরিক্ত ভিটামিন সি শোষণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। অতিরিক্ত পেয়ারা গ্রহণের জন্য এমনটা অস্বাভাবিক কিছু নয়।
পেয়ারাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ও হজমতন্ত্রকে উন্নত করতে সাহায্য করে। তবে অতিরিক্ত পরিমাণে পেয়ারা খেলে হজম ব্যবস্থা বিঘ্নিত হতে পারে। বিশেষ করে আপনি যদি ইরিটেটেড বাওয়েল সিনড্রোমে আক্রান্ত হোন, তাহলে তা মারাত্মক আকার ধারণ করে।
কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের কারণ ডায়াবেটিস আক্রান্তদের ব্যক্তিদের জন্য পেয়ারা অন্য়তম পছন্দের একটি ফল। তবে ডায়েটে এই ফলটি তখনই রাখুন, যখন আপনার রক্তে শর্করার পরিমাণ সঠিক থাকে। ১০০ গ্রাম কাটা পেয়ারায় ৯ গ্রাম প্রাকৃতিক চিনি থাকে। তাই অতিরিক্ত পেয়ারা রক্তে শর্করার মাত্রার বাড়িয়ে দিতে পারে।
দিনে একটি পেয়ারাই যথেষ্ট। এর চেয়ে বেশি খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। দুটি ভারী খাবারের মাঝখানে একটি ফল খাওয়া ভাল। সেইসময় পেয়ারা খান রোজ একটি করে। রাতে ফল খাওয়া এড়িয়ে চলুন, কারণ এর জেরে ঠান্ডা লেগে কাশি হতে পারে।
আরও পড়ুন: World Breastfeeding Week 2021: নবজাতককে এই কঠিন রোগগুলি থেকে বাঁচাতে মাতৃদুগ্ধ অপরিহার্য!