Panic Disorder: মানসিক রোগে আক্রান্ত হলে প্যানিক ডিসঅর্ডারের উপসর্গগুলি সম্পর্কে সচেতন হয়ে যান!

মানসিক রোগের ক্ষেত্রে শরীরের বাহ্যিক অংশে যে প্রভাব পড়ে বা যে উপসর্গগুলি দেখা দেয়, তাকে আমরা মূলত প্যানিক ডিসঅর্ডার বলে থাকি। প্যানিক ডিসঅর্ডারে হার্ট রেট বেড়ে যাওয়া, হাত পা ঝিনঝিন করা, অতিরিক্ত পরিমাণে ঘাম হওয়া ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেয়। তবে সমস্যা হল এমারজেন্সি রুমে এই ধরনের উপসর্গের আসল কারণ সহজে ধরা পড়ে না।

Panic Disorder: মানসিক রোগে আক্রান্ত হলে প্যানিক ডিসঅর্ডারের উপসর্গগুলি সম্পর্কে সচেতন হয়ে যান!
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 06, 2021 | 7:42 PM

ডিপ্রেশন, অ্যানাজাইটি এগুলি এক প্রকার মানসিক রোগ। বিষণ্ণতা, দুশ্চিন্তা ও ভিন্ন ধরনের কারণ থেকে এই ধরনের মানসিক ব্যাধিগুলির সৃষ্টি হয়। তবে এমনটা নয় যে, মানসিক রোগে শুধুমাত্র মনের ওপরই চাপ পড়ে। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই রোগেও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া শরীরের বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ ভাবেও লক্ষ্য করা যায়।

মানসিক রোগের ক্ষেত্রে শরীরের বাহ্যিক অংশে যে প্রভাব পড়ে বা যে উপসর্গগুলি দেখা দেয়, তাকে আমরা মূলত প্যানিক ডিসঅর্ডার বলে থাকি। প্যানিক ডিসঅর্ডারে হার্ট রেট বেড়ে যাওয়া, হাত পা ঝিনঝিন করা, অতিরিক্ত পরিমাণে ঘাম হওয়া ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেয়। তবে সমস্যা হল এমারজেন্সি রুমে এই ধরনের উপসর্গের আসল কারণ সহজে ধরা পড়ে না। তবে রোগ নির্ণয়ের আগে জরুরি উপসর্গ গুলি সম্পর্কে সচেতন হওয়া।

প্যানিক ডিসঅর্ডারে বুকে ব্যথা হওয়া খুব স্বাভাবিক। এই ক্ষেত্রে অনেকে মনে করেন যে হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। এমারজেন্সিতে চিকিৎসাও হয় কিন্তু কিছু ধরা পড়ে না। মানসিক রোগে ভুগলে হঠাৎ করেই বুকে ব্যথা শুরু হয়। যদিও প্যানিক অ্যাটাক ডিসঅর্ডারের কোনও উপসর্গ‌ই প্রাণঘাতি নয়।

অনেকের প্যানিক অ্যাটাক ডিসঅর্ডার হলে নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা হয়। কেউ কেউ এটাকে শ্বাসরুদ্ধকর বা দমবন্ধ করা অনুভূতি হিসাবে বর্ণনা করেন। তবে যে যাই মনে করুক না কেন, এই নিঃশ্বাস নেওয়ার সমস্যা হলে, অনেকে অজ্ঞান হয়ে যায়। তাই এই ধরনের সমস্যা হলে আগে থেকে সচেতন হন।

প্যানিক ডিসঅর্ডারে বেশির ভাগ ব্যক্তিদের মধ্যে মাথা ব্যথা ও মাইগ্রেনের সমস্যা দেখা দেয়। অনেকেই মনে করেন কম পরিমাণ জল খাওয়ার জন্য কিংবা অন্য কোনও কারণে মাথার যন্ত্রণা হচ্ছে। এমনকি নিয়মিত মাথার যন্ত্রণা হলেই মনে করেন যে তাঁর মাইগ্রেনের সমস্যা শুরু হয়ে গেছে। কিন্তু বিষয়টা সেটা হয় না। মাইগ্রেনের উপসর্গের সঙ্গে প্যানিক ডিসঅর্ডারের উপসর্গের কোনও মিল নেই। তাই এই ধরনের সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকদের সঙ্গে সঠিক ভাবে পরামর্শ করুন।

প্যানিক ডিসঅর্ডারের অন্যতম উপসর্গ হল পেটে অস্বস্তি। এটা এমন এক প্রকার সমস্যা যা প্রভাব ফেলে হজমের ওপর। এই উপসর্গের ফলে বদ হজম, পেটে ব্যথা, ডায়েরিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদির সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যা গুলিকে প্রাথমিক ভাবে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। কিন্তু এই ধরনের সমস্যা যাদের অ্যানাজাইটি বেশি তাদের মধ্যে দেখা যায়।

এছাড়াে রাতে ঘুম না ধরা, পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হওয়া, কোনও কারণে অত্যধিক চিন্তা করা এবং সেখান থেকে ঘাম হওয়া, কোনও মাংসপেশীতে হঠাৎ করে যন্ত্রণা শুরু হয়ে যাওয়ার মত একাধিক উপসর্গ রয়েছে। সুতরাং আপনি যদি মানসিক রোগে আক্রান্ত হন তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের সাহায্য নিন। মানসিক রোগ ঠিক হওয়ার সঙ্গেই এই ধরনের প্যানিক ডিসঅর্ডারের উপসর্গগুলিও কমে যাবে।

আরও পড়ুন: বেশি সময় ধরে প্রস্রাব চেপে রাখছেন? জানুন কীভাবে মারাত্মক ক্ষতি করছেন নিজেরই!