Urine: বেশি সময় ধরে প্রস্রাব চেপে রাখছেন? জানুন কীভাবে মারাত্মক ক্ষতি করছেন নিজেরই!

এমন অনেক সময় আসে যখন আপনি অনেকক্ষণ সময় ধরে প্রস্রাব চেপে রাখেন বা অনেক পরিস্থিতিতে আপনি প্রস্রাব নির্গত করতে পারেন না। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে রাতে ঘুমিয়ে পড়লে অনেকেই প্রস্রাবকে চেপে রাখেন। এতে মারাত্মক ক্ষতি হয় আপনার শরীরের।

Urine: বেশি সময় ধরে প্রস্রাব চেপে রাখছেন? জানুন কীভাবে মারাত্মক ক্ষতি করছেন নিজেরই!
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 06, 2021 | 4:24 PM

আপনার শরীরের প্রতিটি অঙ্গ দৈনন্দিন চাহিদা পূরণের জন্য নির্দিষ্ট কাজ করে। খাদ্য গ্রহণ করা এবং তা শরীর থেকে বর্জ‌ন করা একটি রুটিনের পর্যায়ে রয়েছে। কিন্তু এই দুটি বিষয় যেমন একে অপরের অবিচ্ছিদ্য অংশ, তেমনই দুটোই আমাদের বেঁচে থাকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। মল ও প্রস্রাব নিষ্কাশনের মাধ্যমে বিষাক্ত পদার্থ গুলিকে আমরা শরীর থেকে অপসারণ করি। এতে শরীর সুস্থ থাকে।

যখন আপনার মূত্রাশয় সম্পূর্ণ হয়ে যায়, তখন এটি আপনার মস্তিষ্ককে সংকেত প্রেরণ করে এবং আপনি প্রস্রাবের মাধ্যমে তা শরীর থেকে নির্গত করে। এমন অনেক সময় আসে যখন আপনি অনেকক্ষণ সময় ধরে প্রস্রাব চেপে রাখেন বা অনেক পরিস্থিতিতে আপনি প্রস্রাব নির্গত করতে পারেন না। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে রাতে ঘুমিয়ে পড়লে অনেকেই প্রস্রাবকে চেপে রাখেন। এতে মারাত্মক ক্ষতি হয় আপনার শরীরের।

দীর্ঘ সময় ধরে প্রস্রাব না করলে এটি আপনার মূত্রাশয়ের আকার বৃদ্ধি করতে পারে। যার ফলে পরবর্তী সময় আপনার প্রস্রাবের ক্ষেত্রে একাধিক সমস্যা হতে পারে। এটি আপনার প্রস্রাব প্রক্রিয়ার সময় সংকোচন এবং সম্প্রসারণের নিয়মিত কার্যকারিতাকে বাধা দিতে পারে। যখন এই সমস্যা দেখা দেয় তখনই ক্যাথিটার ব্যবহার করতে হয় প্রস্রাবকে শরীর থেকে বার করার জন্য।

অন্যদিকে, আপনি যদি বেশিক্ষণ প্রস্রাব ধরে রাখেন তাহলে এটি মুত্রনালীতে সংক্রমণ সৃষ্টি করে, যার ফলে ব্যথা, প্রদাহ ও জ্বলন সৃষ্টি হয়। তার সঙ্গে বেশিক্ষণ প্রস্রাব ধরে রাখলে এটি পেটেও ব্যথা শুরু করে। যেখান থেকে ধীরে ধীরে মাংসপেশীগুলিও নিজেদের শক্তি হারায় এবং সেখান থেকেও মূত্রাশয়েও অস্বস্তির সৃষ্টি হয়।

যেমন সারাদিনে পর্যাপ্ত জল পান করা উচিত তেমনি ঘন ঘন প্রস্রাব নির্গত করারও জরুরি। প্রস্রাব নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা কখনও কখনও মূত্রাশয় বাস্ট করে বা ফেটে যায়। এই ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচার করা ছাড়া চিকিৎসকদের কাছে আর কোনও বিকল্প থাকে না। আপনার মূত্রাশয় নিয়ন্ত্রণ হারালে প্রস্রাব পেটে ভরে যায়। সেই ক্ষেত্রে এটি গুরুতর রোগে পরিণত হয়।

প্রস্রাব ধরে রাখা অসংযমের সমস্যা হতে পারে। এটি শ্রোণীর পেশীগুলিকে দুর্বল করে দেয় এবং নিজে থেকেই প্রস্রাব লিকেজের সৃষ্টি হয়। এই লিকেজের সমস্যাটি কাশি বা হাঁচির মত শরীরে কোনও ঝটকা জাতীয় প্রক্রিয়া হলেই দেখা দেয়। ক্রমাগত প্রস্রাব জমতে জমতে এই রাসায়নিক ও মিনারেল গুলি কিডনিতে পাথর তৈরি করতে শুরু করে। যদি পাথরের আকার ছোট হয় তাহলে তা সহজেই অপসারণ করা যায়, অন্যথায় এটি অস্ত্রোপচার করতে হয় এবং অত্যন্ত বেদনাদায়ক শারীরিক অবস্থা তৈরি হয়।

আরও পড়ুন: মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য এই খাবারগুলো খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ…

আরও পড়ুন: মুখের দুর্গন্ধের কারণগুলো জেনে নিন, তার সঙ্গে থাকছে এগুলো নিরাময়ের সহজ উপায়…