Quarantine: কোভিড হোক বা না হোক, শরীর একটু খারাপ হলে কোয়ারেন্টাইনই হল সবচেয়ে ভাল অভ্যাস
Coronavirus Infection: কোভিডকালে কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম মেনে চলা কিন্তু বাধ্যতামূলক ছিল। বর্তমানে কোভিডের প্রকোপ কমে আসলেও অন্যান্য সংক্রামক ব্যাধি রুখতেই কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম মেনে চলতে বলছেন চিকিৎসকরা
গত দু’বছর ধরে কোভিডের সঙ্গে লড়াই করতে করতে কিছু বিষয় মানুষের আয়ত্তে এসেছে। তা হল মানুষ তার নিজের স্বাস্থ্য সম্বন্ধে সচেতন হয়েছেন। সবার উপরে যে স্বাস্থ্য, স্বাস্থ্য ভাল থাকলে তবেই যে বাকিসবকিছু ঠিক থাকবে তা এখন সবাই বুঝেছেন। কোভিড এড়াতে মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চলা, নিয়মিত ভাবে হাত ধোওয়া এবং স্যানিটাইজারের ব্যবহার এসব অভ্যাস কিন্তু আমাদের অনেক রোগের হাত থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে। কোভিডের প্রকোপ কমতে থাকায় বেশ কিছু বিধি-নিষেধ শিথিল করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বলা হয়েছে মাস্কেরও তেমন প্রয়োজন নেই। তবে এরপরও কিন্তু বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যেহেতু কোভিডের সংক্রমণ থেকে আমরা এখনও মুক্তি পাইনি তাই মাস্ক পরা এবং সামাজিক দূরত্ববিধি বজায় রেখে চলতে হবে। কোভিডের প্রকোপ শুরু হওয়ার পর থেকে বিশ্বজুড়েই শুরু হয়েছিল কোয়ারেন্টাইন। সংক্রমণ এড়াতেই শুরু হয় কোয়ারেন্টাইন বিধি এবং সেফ হোম।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফ থেকে বলা হয়েছিল, যে সব মানুষ কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন এবং RT-PCR রিপোর্ট পজিটিভ আসলে তাদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক। রোগ এবং সংক্রমণ ঠেকাতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কোয়ারেন্টাইন শব্দটি এসেছে ইতালীয় কোয়ারান্টা থেকে। যার অর্থ হল সংক্রামক রোগের সংস্পর্শে আসা প্রাণীদের অন্য়দের থেকে আলাদা করা। চতুর্দশ শতাব্দী থেকেই কিন্তু এই কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থা চালু ছিল। আগেকার দিনে জাহাজ যখন বন্দরে ভিড়ত তখনও যাঁরা অসুস্থ থাকতেন তাঁদের আলাদা করে কোয়ারেন্টাইন করা হত। গত দু’বছরে কোভিড চলাকালীন যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের সকলেই কিন্তু মেনে চলতে হয়েছে এই কোয়ারেন্টাইন বিধি। এমনকী কোয়ারেন্টাইন অমান্য করলে শাস্তিও পেয়েছেন অনেকে। পরবর্তীতে দেখা গিয়েছিল এই কোয়ারেন্টাইন পদ্ধতি মানতেই কিন্তু সাফল্য এসেছে।
সংক্রমণ অনেকটাই এড়ানো গিয়েছিল। পরবর্তীতে ভ্যাকসিন এসেছেন। ভ্যাকসিন নেওয়ার পরও প্রচুর মানুষ কিন্তু আক্রান্ত হয়েছেন। তবে কোয়ারেন্টাইন এখন ১৪ দিনের পরবর্তে ৭ দিনের কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে কোনও সংক্রামক ব্যাধি এড়ানোর জন্যই কিন্তু ভাল এই কোয়ারেন্টাইন পদ্ধতি। সর্দি, কশি বা সংক্রামক কোনও উপসর্গ থাকলে নিজেকে অন্যদের থেকে আলাদা রাখুন। নিজের ব্যবহারের সব সামগ্রী আলাদা করে রাখুন। এতে নিজেও সুস্থ থাকবেন সেই সঙ্গে অন্যরাও সুস্থ থাকবে।
এছাড়াও আরও যা কিছু মেনে চলবেন-
বায়ু চলাচল করে এমন ঘরে থাকুন। সেই ঘর যেন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকে।
আলাদা বাথরুম ব্যবহার করুন।
নিজের থালা, টাওয়েল, ব্রাশ এসব অন্যদের থেকে আলাদা করে রাখুন।
বাড়ির বয়স্ক, শিশু-গর্ভবতীদের থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখুন।
কোয়ারেন্টাইনের মেয়াদ শেষ হলে কিন্তু একবার চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে কিন্তু ভুলবেন না।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
আরও পড়ুন: Liver failure: যে লক্ষণগুলি দেখে বুঝবেন লিভার ঠিকমত কাজ করছে না…