Dry Cough: শুকনো কাশির চোটে ঘুম হচ্ছে না রাতে? ওষুধ নয়, কাজে লাগান ঘরোয়া এই সব টোটকাই
Dry Cough Causes & Treatment: শুকনো কাশির সমস্যায় সবচাইতে ভাল হল মধু। মধুর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান
কাশির সমস্যা এখন সারাবছরই লেগে থাকে। বিশেষত কোভিডের পর থেকে কাশি, কফের সমস্যা লেগেই রয়েছে। কোভিডের প্রধান উপসর্গ ছিল শুকনো কাশি। সেই কাশি সারতেও বেশ সময় লাগছে। অ্যালার্জি, ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাসই মূলত এর জন্য দায়ী। সাধারণত ২-৫ দিনের মধ্যে কাশি সেরে যায়। তবে অনেকের ক্ষেত্রে শুষ্ক কাশি চলতেই থাকে। কোনওভাবেই তা কাটতে চায় না। শুকনো কাশি হলে সারারাত ঘুম হয় না। মূলত রাতের দিকেই বাড়ে এই কাশি। তখন গলা চিরে যায়, অনেকের ক্ষেত্রে বমি পর্যন্ত হয়ে যায়। শুধুমাত্র ওষুধ খেয়ে শুকনো কাশি কমানো যায় না। আর ওষুধ খেলেই যে কাশি কমে যাবে এমনটাও নয়। যে কারণে সবচেয়ে ভাল হল ঘরোয়া উপায়। ঘরোয়া এই সব টোটকা মেনে চলতে পারলেই সারবে শুকনো কাশি।
শুকনো কাশির সমস্যায় সবচাইতে ভাল হল মধু। মধুর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান। ছোটদের কাশি সারাতে যেমন দারুণ কার্যকরী তেমনই বড়দেরও কাশি সারাতে কাজে আসে মধু। রোজ গরম জলে মিশিয়ে খেলেই উপকার পাবেন।
কাঁচা হলুদও শরীরের জন্য খুব ভাল। এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি গুণ। এছাড়াও হলুদের মধ্যে যে কারকিউমিন যৌগ থাকে তা ভাইরাস ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। রেসপিরেটরি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন দূর করতেও কার্যকরী কাঁচা হলুদ।
শুকনো কাশির সমস্যায় কাজে আসে আদা। চায়ের সঙ্গে আদা মিশিয়ে খেতে পারেন। শুকনো কাশিতে এই আদা খুব ভাল কাজ করে। সামান্য নুন এর সঙ্গে আদা মিশিয়ে খান। এর মধ্যে থাকে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান। যা কাশি কমায়।
কোভিড কাল থেকেই জনপ্রিয় কাড়া। জলের মধ্যে আদা থেঁতো করে ফেলে দিন। এবার এতে লবঙ্গ, গোলমরিচ, দারুচিনি, তুলসিপাতা, মধু দিয়ে ভাল করে ছেঁকে নিয়ে খান। এতে যেমন কাশিও দূর হবে তেমনই গলা আরাম পাবে।