Coronavirus Infection: কোভিড টেস্ট করলেই কি ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়? জেনে নিন…
Coronavirus: কোভিড আক্রান্ত কিনা তা জানতে বরাবরই RT-PCR পরীক্ষার উপর জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। শরীরে ভাইরাল লোড কতখানি তাও কিন্তু বোঝা যায় এই পরীক্ষার মাধ্যমেই
২০১৯ -এর নভেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব মেলে চিনে। এরপর কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তা বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে এবং ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে তা মারণ আকার নেয়। এরপর প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ঢেউয়ের কথা সকলেই জানেন। যখনই বিশেষজ্ঞরা বলেন, এরপর হয়তো আবারও স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসতে পারে তখনই কিন্তু হাজির হচ্ছে নতুন ভ্যারিয়েন্ট। সেই সঙ্গে জিনোম গঠনেও থাকছে ফারাক। যে কারণে ঝুঁকিও থাকছে। নতুন যে সব ভ্যারিয়েন্ট আসছে তার প্রায় সবকটিরই উপসর্গ একরকম। কিন্তু কোন ভ্যারিয়েন্ট দ্বারা আপনি সংক্রমিত হবেন তা কিন্তু বলা বেশ মুশকিলের।
শরীরে করোনার সংক্রমণ হয়েছে কিনা, তা জানতে RT-PCR পরীক্ষা করানোর কথা বলা হয়। এই পরীক্ষার মাধ্যমেই বোঝা যায় শরীরে ভাইরাসের কোনও সংক্রমণ হয়েছে কিনা। সেই সঙ্গে শরীরে ভাইরাল লোড কতখানি, তাও কিন্তু বোঝা যায় এই RT-PCR পরীক্ষার মাধ্যমেই। তবে এই পরীক্ষার মাধ্যমে কিন্তু মোটেই বোঝা যায় না যে আপনি কোন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত। নির্দিষ্ট ভ্যারিয়েন্টে কেবলমাত্র জানা যায় জিনোম সিকোয়েন্স পরীক্ষার দ্বারাই। তবে এই পরীক্ষা খুব প্রয়োজন থাকলে চিকিৎসকরাই করে থাকেন। জিনোম সিকোয়েন্স পরীক্ষা হল কোনও প্রানীর ডিএনএ- সিকোয়েন্স নির্ধারণ প্রক্রিয়া। এই পরীক্ষা ভাইরাসের ক্রম পরিবর্তন নিরীক্ষণ করতেই ব্যবহার করা হয়। আসল ভাইরাসের থেকে মিউট্যান্টের গতিপ্রকৃতি কতটা আলাদা তা নির্ধারণ করতেই কিন্তু এই পরীক্ষা করা হয়। এমনকী সেই ব্যারিয়েন্ট পরিবেশের উপর কতটা প্রবাব ফেলতে পারে, কতটা সংক্রামক হতে পারে তাও কিন্তু জানা যায় এই পরীক্ষা থেকেই। আর তাই এই পরীক্ষা কিন্তু গবেষণার জন্যই অনেক বেশি কার্যকরী, চিকিৎসার জন্য নয়। জিনোম সিকোয়েন্স পরীক্ষায় ভাইরাল লোড বোঝা যায় না। যা কিন্তু কোভিড আক্রান্ত রোগীর জন্য অন্যন্ত জরুরি।
ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন কিনা তা জানতে দ্রুত চিকিৎসকদের পরামর্শ নিন। সেই সঙ্গে আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করান। পরীক্ষার রিপোর্ট যদি পজিটিভ আসে তাহলে সময় নষ্ট না করে চিকিৎসা শুরু করুন। নিজেকে অন্যদের থেকে আলাদা রাখুন এবং যাবতীয় নিয়ম মেনে চলুন। তবে ভাইরাস বিষয়ে যাঁরা গবেষণা করেন তাঁদের জন্য এই সিকোয়েন্স পরীক্ষা আবশ্যক।
করোনায় আক্রান্ত কিনা তার জন্য সবচেয়ে কার্যকরী পরীক্ষা হল RT-PCR। এছাড়াও অনেকে Rapid Antigen পরীক্ষাও করিয়ে থাকেন। তবে নিরাপদে থাকতে মাস্ক পরুন, দূরত্ব বজায় রাখুন এবং মেনে চলুন যথাযথ কোভিড বিধি। সেই সঙ্গে ভিড় এড়িয়ে চলুন। হাঁচি বা কাশি হলে কিন্তু নিজেকে অন্যদের থেকে আলাদা রাখতে ভুলবেন না।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।