শ্রবণশক্তি লোপ, ডায়েরিয়া, ত্বকের মারাত্মক সমস্যা- সবই করোনার নয়া উপসর্গ!

কোভিডের প্রথম তরঙ্গের তুলনায় দ্বিতীয় তরঙ্গ যে আরও ভয়ংকর, তার প্রমাণ হাতেনাতে পেয়ে গিয়েছে ভারত। দ্বিতীয় সুনামিতে যে হারে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে, তাতে আরও উদ্বেগ বাড়চ্ছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুসংখ্যাও।

শ্রবণশক্তি লোপ, ডায়েরিয়া, ত্বকের মারাত্মক সমস্যা- সবই করোনার নয়া উপসর্গ!
ছবিটি প্রতীকী
Follow Us:
| Updated on: May 12, 2021 | 6:15 PM

করোনার প্রথম তরঙ্গে আক্রান্তদের যে উপসর্গগুলি চিহ্নিত করা গিয়েছিল, তার মধ্যে প্রধান হল জ্বর, সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট, মাথাব্যাথা, শরীরের বিভিন্ন অংশে, গলা ব্যাথা, গন্ধ নষ্ট হয়ে যাওয়া প্রভৃতি। কিন্তু করোনার নয়া মিউট্যান্টে আক্রান্তের শরীরে পাওয়া গিয়েছে আরও নতুন লক্ষণ। দেশে যে দ্রুততার সঙ্গে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে তাতে নতুন উপসর্গগুলি আরও মাথাচাড়া দিচ্ছে। বাড়ছে উদ্বেগও।

সংক্রমণের নয়া উপসর্গগুলি সম্পর্কে একঝলকে জেনে নিন…

অসম্ভব দুর্বলভাব– দ্বিতীয় তরঙ্গে আক্রান্তদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে চরম অলসভাব ও শরীরের দুর্বলভাব। চিকিত্‍সকদের মতে, একবার এই মারণভাইরাস দেহের মধ্যে প্রবেশ করার পরই দেহের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলিতে আক্রমণ করে। শক্তিশালী ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য যে প্রতিরোধ ক্ষমতা প্রয়োগ করতে হয়, তাতে সংক্রামিত ব্যক্তির দুর্বল ও ক্লান্তবোধ থাকা স্বাভাবিক।

আরও পড়ুন- সারা গায়ে গোবর মেখে চলছে করোনা-রোধ, বিপদ বাড়তে পারে বলে সতর্ক করলেন চিকিৎসকেরা

মুখের মধ্যে লালা বা সালিভা শুকিয়ে যাওয়া- মুখের মধ্যে থাকা সালিভা বা লালা হজমে সাহায্য করে। মুখের ও দাঁতের আদ্রতা ধরে রাখতে এই লালা অত্যন্ত গুরুত্বের। কিন্তু সংক্রামিতের পর রোগীর মুখের লালা শুকিয়ে যেতে শুরু করছে। লালা উত্‍পাদনে ঘাটতি থাকায় মুখের নানান সমস্যা তৈরি হচ্ছে। করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গের এটি একটি অন্যতম সাধারণ লক্ষণ।

ডায়েরিয়া- করোনার ভয়ংকর ও নয়া মিউট্যান্টে আক্রান্ত হলে বহুজনের ডায়েরিয়ার সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আক্রান্তদের প্রায় ১৪দিন ধরে ডায়েরিয়া থেকে যাচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। অনেকে এই লক্ষণকে এড়িয়ে গেলেও, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একসপ্তাহ বা ১৪দিন ধরে ডায়েরিয়া হওয়াও একপ্রকার করোনার লক্ষণ।, তাই অবিলম্বে পরীক্ষা করা আবশ্যিক।

অবিরাম মাথাব্যাথা- কোভিড সংক্রমণের এই দ্বিতীয় তরঙ্গের জেরে রোগীর অসম্ভব মাথাব্যাথার মতো সমস্যা তৈরি হচ্ছে।

আরও পড়ুন- শুষে নিয়েছে মস্তিষ্কের রস, মধ্যপ্রদেশে ইতিমধ্যেই মৃত ২! করোনার মাঝেই নয়া ত্রাস ‘ব্ল্যাক ফাঙ্কাস’

জি আই ট্রাক্ট ইনফেকশন- করোনাভাইরাসের জেরে রোগী জিআই ট্র্যাক্টের সংক্রমণ আ্ক্রান্ত হচ্ছেন। গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাক্ট হজমের প্রধান অংশগুলি যেমন মুখ, খাদ্যনালী, পেট, দেহের ছোট ও বড় অন্ত্রগুলি পড়ে। সেগুলি মারণভাইরাসের জেরে অনেকটা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে গোটা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে হ্রাস করে গ্যাসের ও পেটের সমস্যা তৈরি করছে। তারফলে খিদে না পাওয়া, বমিভাব, পেটে ব্যাথা, পেট খারাপের মতো সমস্যা তৈরি হচ্ছে।

শ্রবণ ক্ষমতা হ্রাস- করোনায় আক্রান্ত যাঁরা হচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে অধিকাংশেরই এই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। হালকা থেকে মাঝারি, এনকি গুরুতর সমস্যা দেখা দিতে পারে। যদি শ্রবণশক্তি হ্রাস পায় তাহলে ইএনটি চিকিত্‍সকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

ত্বকের সমস্যা- ত্বকের উপর ফুসকুড়ি যদি বের হয়, তাহলে চিন্তা করবেন না। সেটাও কোভিড এফেক্ট। সম্প্রতি একটি গবেষণা জানা গিয়েছে, ত্বকের মধ্যে ছোট-বড় ফুসকুড়ি, র‍্যাশেস-সবই সংক্রমণের নয়া লক্ষণ। এগুলি অবহেলা করবেন না।