Crying Room: এবার কাঁদতে চাইলে তার জন্য থাকছে আলাদা ‘কান্না ঘর’! অভিনব এই পদক্ষেপ কমাতে পারে আত্মহত্যার হার…

গত কয়েক বছরে অবসাদগ্রস্ত বহু মানুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। তার উপর গত বছরে করোনার দাপট থাকায় মানসিক দিক থেকে বিপর্যস্ত বহু মানুষ। অনেকেই রুজি রোজগার হারিয়েছেন। অনেকে নিজের প্রিয়জনকে হারিয়েছেন। নানান কারণে অবসাদে ভুগছে পৃথিবীর অনেকেই। এসব কথা মাথায় রেখেই এই কান্না ঘরের ব্যবস্থা করেছে স্পেন।

Crying Room: এবার কাঁদতে চাইলে তার জন্য থাকছে আলাদা 'কান্না ঘর'! অভিনব এই পদক্ষেপ কমাতে পারে আত্মহত্যার হার...
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 25, 2021 | 3:24 PM

এবার থেকে কান্না পেলে আর মুখ লুকিয়ে নিতে হবে না। মন খারাপ করলে আর একগুঁয়ে হয়ে ঘরের একটা কোণে বসেও থাকতে হবে না। আমাদের কান্নার খোরাক নেওয়া হয় অনেক সময়েই। সেই ভয়েই অনেকে কান্নার আবেগকে চাপা দিয়ে রাখেন। প্রকাশ করেন না। পাছে তার অনেক বাকিদের খোরাকের কারণ হয়, সেই ভয়ে। 

মন একটা রহস্য। কখন কীভাবে ফুরফুরে মেজাজ বিগড়ে যাবে তা বোঝা যায় না। আজকের দিনে পাশে থাকার মতো লোক সেভাবে খুঁজে পাওয়া যায় না। বিপদে আপদে তাও পাওয়া গেলেও, আপনার মানসিক পরিস্থিতি কেমন, সেই বিষয়ে জানতে চাওয়া লোকের বড্ড অভাব। আজকের এই প্রযুক্তির যুগে আমরা সবাই অল্প বিস্তর অবসাদে ভুগে থাকি। অনেকে এই অবসাদ লুকিয়ে রাখে। যার কারণে পরবর্তীকালে বড় সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। কঠিন রোগও হতে পারে। এমনকি সেগুলো আখেরে একজনকে আত্মহত্যার দিকেও ঠেলে দিতে পারে। 

Crying Room in Spain

সেই কারণেই স্পেনে ব্যবস্থা করা হল কান্না ঘরের! সেন্ট্রাল মাদ্রিদের একটি ভবনে এমনই ঘর তৈরি করা হয়েছে, যেখানে গিয়ে আপনি চিৎকার করে কাঁদতে পারবেন। মন খারাপ হলে কিছুক্ষণ মনের মানুষের সঙ্গে কথাও বলতে পারবেন। ইচ্ছে করলে মনোবিদের পরামর্শও নিতে পারবেন। 

কীরকম এই কান্না ঘর?

ঘরের ভিতর গোলাপি, লাল রঙের ব্যবহার করা হয়েছে। বাইরে ঝোলানো বোর্ডে লেখা কাঁদতে হলে ভিতরে আসুন। আরেকটি বোর্ডে লেখা রয়েছে মন খারাপ। এই ঘরে ঢুকে প্রিয়জনের সঙ্গে কথা বলা যাবে। এই সব কিছুই একেবারে বিনামূল্যে। 

গত কয়েক বছরে অবসাদগ্রস্ত বহু মানুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। তার উপর গত বছরে করোনার দাপট থাকায় মানসিক দিক থেকে বিপর্যস্ত বহু মানুষ। অনেকেই রুজি রোজগার হারিয়েছেন। অনেকে নিজের প্রিয়জনকে হারিয়েছেন। নানান কারণে অবসাদে ভুগছে পৃথিবীর অনেকেই। এসব কথা মাথায় রেখেই এই কান্না ঘরের ব্যবস্থা করেছে স্পেন।

২০১৯ সালে, স্পেনে ৩,৬৭১ জন আত্মহত্যার কারণে মারা গেছে। যা প্রাকৃতিক কারণে মৃত্যুর পর দ্বিতীয় সাধারণ কারণ। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ১০ জন কিশোর-কিশোরীর মধ্যে একজনের মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ধরা পড়েছে। যখন সামগ্রিক জনসংখ্যার ৫.৮ শতাংশ উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে। 

আরও পড়ুন: Side Effects Of Garlic: দ্রুত ফল পেতে বেশি পরিমাণে রসুন খাচ্ছেন? জেনে নিন এতে কী কী ক্ষতি হতে পারে আপনার

আরও পড়ুন: Haldi Water: নিয়মিত হলুদ-জল খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে! এছাড়া রয়েছে হাজারো গুণ

আরও পড়ুন: Weight Loss Tips: ওজন কমানোর জন্য দিনের শুরু করুন এই পানীয়গুলির মাধ্যমে, এগুলো আপনার স্বাস্থ্যও ভাল রাখবে…