Eating on Floor: মাটিতে বসে খাওয়ার রয়েছে একাধিক স্বাস্থ্যকর উপকারিতা, নিজের স্বাস্থ্যের কথা ভেবেই শুরু করতে পারেন এই অভ্যেস…

মাটিতে বসে খাওয়ার সময় আমরা একাধিকবার উঁচু-নীচু হই। যার ফলে বেশ কিছু পাচন রসের ক্ষরণ যায় বেড়ে। ফলে হজম খুব তাড়াতাড়ি হয়। সঙ্গে গ্যাস, অম্বলের মতো সমস্যাও থাকে না। 

Eating on Floor: মাটিতে বসে খাওয়ার রয়েছে একাধিক স্বাস্থ্যকর উপকারিতা, নিজের স্বাস্থ্যের কথা ভেবেই শুরু করতে পারেন এই অভ্যেস...
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 25, 2021 | 8:15 AM

আজকের দিনে মাটিতে বসার কথা তো ভাবাই যায় না। চেয়ার টেবিল ছাড়া খাওয়া দাওয়া? ভাবলেই কেমন অদ্ভুত লাগে। কিন্তু, মাটিতে বসে খাওয়ার একাধিক উপকারিতাও রয়েছে। সে বিষয়ে হয়তো সবাই কম বেশি জানে। এখন বিষয়টা হল, আমরা অনেকেই অনেক কিছুই জানি, কিন্তু মেনে চলাতেই যত রকমের সমস্যা। আসলে, একটা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা অভ্যেস এভাবে হঠাৎ বদলে দেওয়া খুব কঠিন ব্যাপার। 

আগেকার দিনে বেশিরভাগ বাড়িতেই মাটিতে বসে খাওয়া হত। সেই অভ্যেসটাও টেবিল চেয়ারে রাতারাতি আসেনি। বেশ কিছুটা সময় লেগেছে। তবে যত দিন যাচ্ছে টেবিল-চেয়ারে বসে খাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। মাটিতে বাবু হয়ে বসে খাওয়ার কিন্তু একাধিক উপকারিতা আছে। মাটিতে বসে খাওয়ার সময় আমরা একাধিকবার উঁচু-নীচু হই। যার ফলে বেশ কিছু পাচন রসের ক্ষরণ যায় বেড়ে। ফলে হজম খুব তাড়াতাড়ি হয়। সঙ্গে গ্যাস, অম্বলের মতো সমস্যাও থাকে না। 

Benefits of eating on floor

শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে:

মাটিতে পা ভাজ করে বাবু হয়ে বসলে শরীরে অক্সিজেন সরবরাহের পরিমাণও বেড়ে যায়। যার প্রভাব পড়ে সোজা হার্টের ওপর। হার্ট ভাল থাকে। এছাড়াও রক্ত সঞ্চালন ভাল হওয়ার কারণে আমাদের শরীরের ফ্রি র‍্যাডিক্যালগুলো খুব সহজেই শরীর থেকে অন্ত্রের মাধ্যমে বেরিয়ে যেতে পারে।

মেরুদণ্ড ভাল থাকে:

মাটিতে বাবু হয়ে বসা মানেই পদ্মাসনে বসা। যার ফলে স্পাইনাল কর্ডের নিচের অংশের ক্ষমতা বাড়তে শুরু করে। এতে কোমর ব্যথার সমস্যা অনেকটাই দূর হয়। আর যদি আপনি শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকেন তবে সেক্ষেত্রে আপনার মানসিক স্বাস্থ্যও ভাল থাকে। মানসিক স্বাস্থ্য ভাল থাকলে আমাদের মেজাজ উন্নত হয়। যার ফলে কাজ করার ক্ষমতা বেড়ে যায়। সারাদিনের ক্লান্তির পরেও ফুরফুরে মেজাজ অনেকটা মানসিক শান্তি রাখতে পারে। 

ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে:

অনেকেই মনে করেন, চেয়ার টেবিলে বসে খেলে ভেগাস নার্ভ ব্রেনে ঠিকমতো সংকেত পাঠাতে পারে না। আর এমনটা হওয়ার কারণে স্বাভাবিকভাবেই বেশি মাত্রায় খাওয়া হয়ে যায়। ফলে ওজন বাড়ে সঙ্গে বাড়ে ভুড়ির সমস্যা। ওজন একবার বাড়া শুরু হয়ে গেলে তা কমানো অত্যন্ত চাপের বিষয় হয়। তাই ওজন বাড়ার আগেই ব্যবস্থা নিয়ে রাখা স্বাস্থ্যকর এবং ভাল সিদ্ধান্ত। 

আরও পড়ুন: Side Effects Of Garlic: দ্রুত ফল পেতে বেশি পরিমাণে রসুন খাচ্ছেন? জেনে নিন এতে কী কী ক্ষতি হতে পারে আপনার

আরও পড়ুন: Haldi Water: নিয়মিত হলুদ-জল খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে! এছাড়া রয়েছে হাজারো গুণ

আরও পড়ুন: Weight Loss Tips: ওজন কমানোর জন্য দিনের শুরু করুন এই পানীয়গুলির মাধ্যমে, এগুলো আপনার স্বাস্থ্যও ভাল রাখবে…