Chikungunya fever:অতিমারির মধ্যেই বাড়ছে চিকুনগুনিয়া রোগ! ঘরে ও বাইরে মশার উপদ্রব কমাবেন কীভাবে?

চিকুনগুনিয়া হলে যে যে উপসর্গগুলি দেখা যায়, সেগুলি হল, হঠাত করে জ্বর আসা, জয়েন্টে অসহ্য যন্ত্রণা অনুভব করা। এছাড়া পেশীতে ব্যাথা, বমি ভাব, মাথাব্যাথা করা, ক্লান্তি অনুভব করা, ত্বকে র‌্যাসেস বের হওয়া প্রভৃতি।

Chikungunya fever:অতিমারির মধ্যেই বাড়ছে চিকুনগুনিয়া রোগ! ঘরে ও বাইরে মশার উপদ্রব কমাবেন কীভাবে?
অতিমারির মধ্যেই বাড়ছে চিকুনগুনিয়া রোগ!
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 29, 2021 | 4:36 PM

করোনা আতঙ্কের মধ্যেই আবার দেশে উদ্বেগের সঙ্গে বাড়তে শুরু করেছে চিকুনগুনিয়া রোগ। এটি একধরণের ভাইরাল সংক্রমণ, যেটি এডিস নামের এক মহিলা মশার কামড়ের কারণে হয়ে থাকে। এই মশা সাধারণত দিনের বেলায় কামড়ায়। ডেঙ্গি বা চিকুনগুনিয়া দুটিই মশাবাহিত রোগ।ভারতে প্রথম ২০১০ সালে দিল্লিতে এই মারাত্মক রোগটি ধরা পড়ে। তারপর থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই রোগ ছড়িয়ে পড়তে থাকে। ভাইরাসজনিত সংক্রমণ হলেও করোনার মতো বিরাট আকার ধারণ করেনি। তবে ডেঙ্গি চিকুনগুনিয়া নিয়ে প্রতিবছরই উদ্বেগ ছড়ায়। এই রোগটি বহুদিন ধরে স্থায়ী হয়। বিরল অবস্থা হলে মানুষের মৃত্যু পর্যন্তও হয়ে থাকে। শরীরকে একেবারে দুর্বল করে দেয়।, তবে এই রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য টিকা আবিষ্কার না হলেও ওষুধের মাধ্যমে চিকিত্‍সা করালে তা থেকে সুস্থ হওয়া সম্ভব।

চিকুনগুনিয়া হলে যে যে উপসর্গগুলি দেখা যায়, সেগুলি হল, হঠাত করে জ্বর আসা, জয়েন্টে অসহ্য যন্ত্রণা অনুভব করা। এছাড়া পেশীতে ব্যাথা, বমি ভাব, মাথাব্যাথা করা, ক্লান্তি অনুভব করা, ত্বকে র‌্যাসেস বের হওয়া প্রভৃতি।

ঘরে ও বাইরে মশা নিয়ন্ত্রণ করবেন কীভাবে

– দিন-রাত মশা কামড়ায়! চিকুনগুনিয়া ভাইরাসের সংক্রমণের রোঘে কোনও টিকা এখনও বের হয়নি। তাই এই রোগ প্রতিরোধ করার অন্যতম উপায় হয় মশার কামড় থেকে নিজেকে রক্ষা করা।

– ঘরের জানলা ও দরজায় পর্দা বা নেট ব্যবহার করা উচিত। মশাদের বাইরে রাখার জন্য তাদের পর্দা বাইরের রাখাই লক্ষ্য হওয়া উচিত। যদি নেটে কোনওভাবে গর্ত হয়ে থাকে, তাহলে দ্রুত মেরামতের চেষ্টা করুন।

– বর্ষাকালে বাড়িরে চারপাশ পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করুন। এই সময় মসাদের বংশবৃদ্ধি লও প্রজননের সময়। তাই বাড়ির চারপাশে জমা জল যাতে না জমে তা চেষ্টা করুন। এছাড়া প্রজনন বিস্তার করতে পারে, এমন জায়গাগুলিতে ধোঁয়া বা জীবাণুমুক্ত করা প্রয়োজন।

– বর্ষাকালে যে কোনও জিনিসেই বৃষ্টির জল জমে থাকে। তাতে মশার ডিম পাড়তে সহায়ক হয়ে ওঠে। সপ্তাহে একবার বাডির চারপাশে খালি টায়ার, বালতি, প্লান্টার, খেলনা, পুল, পাখির বাসা, ফুলের টব বা আবর্জনা ফেলার জায়গাগুলিতে যাতে জল জমা না হয়, তার জন্য পরিস্কার রাখার চেষ্টা করুন। বাড়ির ভিতরেও বিভিন্ন জায়গায় জল জমে থাকে। সেখানকার জায়গাগুলিও পরীক্ষা করুন ও পরিস্কার রাখার চেষ্টা করুন।

– ঘরের ভিতর এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। তাতে মশার উপদ্রব কম হবে।

– ঘরের বা বাইরে থাকাকালীন মশার কামড় থেকে রেহাই পেতে কীটপতঙ্গ প্রতিরোধক ব্যবহার করুন। শিশু থেকে বয়স্ক সকলেরই এই উপায় অনুসরণ করা উচিত।

আরও পড়ুন: পুজোতে বেড়ানোর প্ল্যান করেছেন? ইমিউনিটি বৃদ্ধির কৌশল জানুন এখানে…