Menopause: মেনোপজ নিয়ে চিন্তিত? আপনার জন্য রইল কিছু ঘরোয়া উপায়
ঋতুস্রাবের সময় যেমন শরীরে হরমোনের পরিবর্তন হয়, একই ভাবে মেনোপজের সময়ও শরীরে হরমোনের পরিবর্তন দেখা দেয়। হরমোনের এই পরিবর্তন শরীরে নানান জায়গায় প্রভাব ফেলে।
বয়স ৫০ ছুঁই ছুঁই বা ৫০ ঊর্ধ্ব মহিলাদের মধ্যে মেনোপজ শুরু হয়। মেনোপজের সময় অত্যধিক গরম লাগা, রাতের ঘাম হওয়া, মেজাজ পরিবর্তন হওয়া, বিরক্তি এবং ক্লান্তি সহ একাধিক লক্ষণ দেখা যায়। কয়েক বছর পর্যন্ত এই মেনোপজের লক্ষণ গুলি এই বয়সী মহিলাদের মধ্যে থাকে। কিন্তু এই সময় মহিলাদের অস্টিওপোরোসিস, স্থূলতা, হাড়ে ক্ষয়, হৃদরোগ এবং ডায়াবেটিস সহ বেশ কয়েকটি রোগের ঝুঁকি বেশি থাকে। তাই মেনোপজের এই সব লক্ষণ গুলি থেকে আরাম পাওয়ার জন্য কিছু ঘরোয়া উপায় এখানে দেওয়া হল।
ঋতুস্রাবের সময় যেমন শরীরে হরমোনের পরিবর্তন হয়, একই ভাবে মেনোপজের সময়ও শরীরে হরমোনের পরিবর্তন দেখা দেয়। হরমোনের এই পরিবর্তন শরীরে নানান জায়গায় প্রভাব ফেলে। যার ফলে হাড়ের ক্ষয় ও অস্টিওপোরোসিসের মত সমস্যা দেখা দেয়। মেনোপজের সময় যাতে এই ধরণের সমস্যার সম্মুখীন হতে না হয় তা বেশি পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার খান।
মেনোপজের সময় ওজন বৃদ্ধি হওয়া খুব সাধারণ একটি বিষয়। এটি হরমোন, বয়স, জীবনধারা এবং জিনগত সমস্যার জন্য হয়ে থাকে। কিন্তু অত্যধিক ওজন শরীরে অন্যান্য রোগ সৃষ্টি করে। শরীরে ওজন বেড়ে গেলে ডায়বেটিস ও হৃদ রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই এই সময় খাওয়া-দাওয়া এবং ব্যায়াম ও যোগাসনের মাধ্যমে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন। এতে অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হওয়ায় সম্ভাবনাও কমে যাবে।
বয়স এবং মেনোপজের কারণে যেহেতু একাধিক রোগ সৃষ্টি হয় তাই এই সময় যথাযথ ডায়েট অনুসরণ করা উচিত। প্রচুর পরিমাণে ফল এবং সবুজ শাক ও সবজি খান। এতে আপনার শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা গড়ে উঠবে। তার পাশাপাশি মেনোপজের কারণে হওয়া শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তিও দূর হয়ে যাবে।
মেনোপজের সময় অত্যধিক পরিমাণে ঘাম হওয়া এবং গরম অনুভব হওয়া খুব সাধারণ। তাই এই লক্ষণটিকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ক্যাফেইন এবং অ্যালকোহল জাতীয় খাবার খাবেন না। এছাড়াও মশলাদার ও শর্করা জাতীয় খাবার কম খাবেন। তার সঙ্গে প্রতিদিন ব্যায়াম করুন। ব্যায়াম বা যোগাসন শুধু মাত্র শারীরিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে না, বরং মেনোপজের কারণে হয় ডিপ্রেশন, অ্যানজাইটি সম্পর্কিত যাবতীয় মানসিক সমস্যাও দূর করে।
ফাইটোইস্ট্রোজেন জাতীয় খাবার বেশি করে খান। ফাইটোইস্ট্রোজেন হচ্ছে এমন এক উদ্ভিদজ উপাদান যা শরীরে ইস্টোজেনের মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে। সয়াবিন এবং সয়া পণ্য, টোফু, ফ্ল্যাক্সসিড, তিসি, তিল বীজ এবং মটরশুটি এই ধরণের ফাইটোইস্ট্রোজেন সমৃদ্ধ খাবারকে তালিকায় রাখুন। এতে মেনোপজের সময় হওয়া গরম অনুভূতিকে দূর করে তার সঙ্গে হৃদ রোগের ঝুঁকি কমায়।
এগুলি করার পরও যদি সমস্যা নিয়ন্ত্রণে না আসে তাহলে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। এই সময় অত্যধিক পরিমাণে জল পান করুন, নিয়মিত সময় খাবার খান এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে আরাম করুন।
আরও পড়ুন: ঘরোয়া উপায়ে রেহাই পান যৌনাঙ্গের ইস্ট সংক্রমণ থেকে!