Coronavirus: অতিমারীতে অবসাদে ভুগছেন গর্ভবতী মায়েরা, এমনটাই বলছে সমীক্ষা!

গর্ভাবস্থায় মায়ের সঙ্গে শিশুর যে নাড়ির টান তৈরি হয় তা যেন কোনও ভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা কর্তব্য পরিবারের অন্য সদস্যদের। হবু বাবাকেও সর্বদা ভরসা দিতে হবে হবু মা-কে।

Coronavirus: অতিমারীতে অবসাদে ভুগছেন গর্ভবতী মায়েরা, এমনটাই বলছে সমীক্ষা!
গর্ভবতী মায়েদের মধ্যে বাড়ছে অবসাদ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 08, 2022 | 8:14 AM

সম্প্রতি এসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে একটি গবেষণায় প্রকাশিত হয়েছে করোনাভাইরাস গর্ভবতী মায়েদের মধ্যে হতাশা এবং উদ্বেগ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিএমসি প্রেগন্যান্সি অ্যান্ড চাইল্ডবার্থে- এই গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, অতিমারী আমাদের সকলেরই মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলেছে। সেই সঙ্গে অন্যান্য শারীরিক সমস্যাও ডেকে আনছে। আর এই অতিমারী বাড়িয়ে তুলছে হবু মায়েদের মানসিক চাপ। ডাঃ সিলভিয়া রিগাটো সম্প্রতি তাঁর একটি সমীক্ষায় বলেন, গর্ভাবস্থা এবং গর্ভস্থ শিশুর স্বাস্থ্য আমাদের সকলের কাছেই খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ জীবনের একেবারের শুরুর এই দিনগুলিতে যাতে নতুন পরিবারগুলি সবরকম সুরক্ষা পায়, সেদিকে নজর রাখাও কিন্তু আমাদের কর্তব্য।

সেই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যেখানে কোভিড পূর্ববর্তী সময়ে এই বিষণ্ণতার হার ছিল ৩০ শতাংশ, সেখানে পরবর্তীতে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৭ শতাংশ। এমনকী উদ্বেগের হারও ৩৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ৬০ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছিল। এপ্রিল ২০২০ থেকে জানুয়ারি ২০২১ পর্যন্ত এই সংখ্যাটা ছিল সবচেয়ে বেশি। টিকাকরণ শুরু হওয়ার আগেই ১৫০ জন গর্ভবতী মায়ের উপর এই সমীক্ষা চালানো হয়। এসেক্স ব্যাবিল্যাবের গবেষক ডঃ মারিয়া লরা ফিলিপেট্টি এবং ডাঃ রিগাটো এই সমীক্ষা চালান। সেখানেই দেখা গিয়েছে, প্রসবের আগের মুহূর্ত পর্যন্ত একরকম ট্রমায় রয়েছেন মায়েরা। সেই সঙ্গে তাঁদের মধ্যে ডিপ্রেশন আগের চাইতে আরও অনেকখানি বেড়ে গিয়েছে। সম্প্রতি দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে এমনটাই।

গর্ভাবস্থায় মা যদি দুঃখে থাকেন, যদি অতিরিক্ত ডিপ্রেশন থাকে তাহলে কিন্তু সেই প্রভাব পড়ে সন্তানের স্বাস্থ্যের উপরেও। শিশুর বিকাশও ব্যাহত হয়। আর তাই এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। কারণ এতে শিশুর মন-মেজাজ খারাপ থাকে। সব সময় অতিরিক্ত চিৎকার, রেগে যাওয়ার মত সমস্যা হয়। যে কারণে এই সময় গর্ভবতী মায়েদের সামাজিক সাহায্যও কিন্তু ভীষণ ভাবে প্রয়োজন।

পরিবারের প্রতিটি সদস্যদের তাঁদের পাশে থাকতে হবে। পরিবার, বন্ধু সকলের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখাও প্রয়োজন। গর্ভাবস্থায় মা-শিশুর বন্ধনও কিন্তু ভাল হওয়া জরুরি। নইলে তা পরবর্তীতে প্রভাব ফেলে মা-শিশুর সম্পর্কে। তৈরি হয় মানসিক সংকটও। এছাড়াও পরবর্তীতে কিন্তু শিশুর বিকাশও ব্যাহত হয়। তাই প্রসব পরবর্তী যাতে কোনও সমস্যা না আসে সেকারণে প্রথম থেকেই আমাদের নজর রাখতে হবে। এ প্রসঙ্গে হবু বাবাকেও অনেক বেশি যত্নশীল হতে হবে। গর্ভস্থ সন্তান আর মায়ের যত্ন যাতে ঠিকমতো হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। তবেই মায়েরা এই ট্রমা থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

আরও পড়ুন: COVID booster shot: কোভিডের বুস্টার ডোজের পর অনেকেই দীর্ঘস্থায়ী এই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন…