Sugarcane Juice: ডায়াবেটিস রোগীদের কি আখের রস খাওয়া উচিত?

Sugarcane Juice for Diabetes Patients: ICMR বলছে যে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির ২৪ ঘণ্টায় ৩০ গ্রামের বেশি চিনি খাওয়া উচিত নয়। এছাড়া ৭-১০ বছরের শিশুদের ২৪ গ্রামের বেশি চিনি খাওয়া উচিত নয়। আর ১০০ মিলি আখের রসে ১৩-১৫ গ্রাম চিনি থাকে। ফলে বেশি পরিমাণে আখের রস পান করলে শরীরে শর্করার মাত্রা বাড়তে পারে।

Sugarcane Juice: ডায়াবেটিস রোগীদের কি আখের রস খাওয়া উচিত?
Follow Us:
| Updated on: Jun 06, 2024 | 7:55 PM

নয়া দিল্লি: ফের তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছে। ফের প্রচণ্ড গরমে নাভিশ্বাস উঠছে কলকাতাবাসীর। দিল্লি-সহ উত্তর ভারতের রাজ্যগুলিতেও প্রটণ্ড গরম। স্বাভাবিকভাবেই এই গরমে রাস্তায় বেরোলেই ঠান্ডা, তরল পানীয় খেতে ইচ্ছা করে। শরীর হাইড্রেটেড রাখতে আখের রসও পান করেন অনেকে। কিন্তু, ডায়াবেটিস রোগীদের কি আখের রস খাওয়া উচিত? এই প্রশ্ন অনেকের মনেই উঁকি দেয়। এব্যাপারে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করেছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ অর্থাৎ ICMR।

ICMR-এর নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, অত্যধিক আখের রস পান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে শর্করা থাকে, যা স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে। বিশেষত, ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকর। তবে প্রচণ্ড গরমে অল্প পরিমাণে আখের রস খাওয়া যেতে পারে বলেও ICMR জানিয়েছে।

চিনির পরিমাণ কত থাকে?

ICMR বলছে যে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির ২৪ ঘণ্টায় ৩০ গ্রামের বেশি চিনি খাওয়া উচিত নয়। এছাড়া ৭-১০ বছরের শিশুদের ২৪ গ্রামের বেশি চিনি খাওয়া উচিত নয়। আর ১০০ মিলি আখের রসে ১৩-১৫ গ্রাম চিনি থাকে। ফলে বেশি পরিমাণে আখের রস পান করলে শরীরে শর্করার মাত্রা বাড়তে পারে। অতিরিক্ত দীর্ঘ সময় ধরে আখের রস পান করলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে। আর যাদের আগে থেকেই ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের জন্য আখের রস ক্ষতিকর।

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস রোগীদের আখের রস পান করা এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ এতে রয়েছে প্রাকৃতিক চিনি। আখের রসে গ্লাইসেমিক উপাদানও অনেক বেশি। ফলে আখের রস খেলে ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে যাদের ডায়াবেটিস নেই তাদেরও সীমিত পরিমাণে আখের রস পান করা উচিত। দিনে এক গ্লাস আখের রসই যথেষ্ট। তবে এটি প্রতিদিন পান করবেন না। ২-৩ দিনে একবার এক গ্লাস আখের রস পান করতে পারেন। আখের রস ছাড়া শরীর হাইড্রেটেড রাখতে দিনে অন্তত ৭-৮ গ্লাস জল এবং শসা, তরমুজ, তালশাঁসের মতো রসাল ফল ও সবজি খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।