Omicron In Kids: ওমিক্রনের এই ৫ লক্ষণই দেখা যাচ্ছে বেশিরভাগ শিশুদের মধ্যেই! সতর্কতা জারি বিশেষজ্ঞদের
আমেরিকা এবং ইংল্যান্ডে বেশিরভাগ শিশুই কোভিডের টিকা পেয়েছে। যে কারণে তাদের রোগ লক্ষণ তুলনায় অনেকটাই হালকা। তবে শিশুরা করোনায় আক্রান্ত হলে তার প্রধান উপসর্গ হল ক্লান্তি
প্রথম যখন কোভিডের ( Covid-19) সংক্রমণ শুরু হয় তখন অনেকেই বলেছিলেন শিশুদের মধ্যে সংক্রমণের সম্ভাবনা নেই। ডেল্টা আসলে দেখা যায় বেশ কিছু শিশুও আক্রান্ত হয়েছে কোভিডে। আর ওমিক্রনের সংক্রমণ যে ভাবে বাড়ছে তাতে কিন্তু ছাড় পাচ্ছে না শিশুরাও ( Covid vaccination on child)। বরং সেই সংখ্যাটা বেড়েছে অনেকখানি। এমনকী বেশ কিছু শিশুকে হাসপাতালে রেখেও চিকিৎসা করাতে হয়েছে। বেড়েছে স্বাস্থ্য ঝুঁকিও। অনেক বাচ্চার ক্ষেত্রেই কিন্তু গুরুতর সমস্যা থাকছে। এর আগে বাচ্চাদের টিকাকরণের সুযোগ ছিল না। কিন্তু বর্তমানে বাচ্চাদের ( Child Health)জন্যেও কিন্তু শুরু হয়েছে টিকাকরণের প্রক্রিয়া। ১৫- ১৮ বছর বয়সীদের জন্য শুরু হয়েছে এই টিকাকরণ প্রক্রিয়া। আর তাই বাচ্চাদের ওমিক্রণের লক্ষণ হিসেবে বেশ কয়েকটি উপসর্গের কথা তুলে ধরেছেন বিশেষজ্ঞরা।
জো কোভিড সিম্পটম স্টাডি অনুসারে, বাচ্চাদের মধ্যে ক্লান্তি হল করোনা সংক্রমণের সবচেয়ে বড় লক্ষণ। বাচ্চা প্রথমে খুব ক্লান্ত হয়ে পড়ছে, এরপর মাথাব্যথা, গলা ব্যথা, সর্দি নাক এবং হাঁচির সমস্যা এসব তো থাকছেই। লন্ডনে জো কোভিড অ্যাপের মাধ্যমেই যাবতীয় করোনা সংক্রান্ত গবেষণা চলছে। আর সেই অ্যাপ থেকেই বিশেষজ্ঞরা কোভিডের এসব রোগ লক্ষণ সম্বন্ধে নতুন সব তথ্য তুলে ধরছেন। বাচ্চাদের মধ্যে এবং বড়দের মধ্যে কিন্তু রোগ লক্ষণে বেশ ফারাক রয়েছে। বড়দের ক্ষেত্রে প্রথমেই নাক দিয়ে জল পড়া, সর্দি, কাশি, জ্বর এসব সমস্যা ছিল। কিন্তু বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ক্লান্তির পর আসে এসব সমস্যা।
কোভিডে মূলত শ্বাসযন্ত্রের উপরই বেশি প্রভাব পড়ছিল। যদিও ওমিক্রনের ক্ষেত্রে তা কিন্তু আলাদা। গলায় সংক্রমণ হলেও তা কিন্তু শরীরের অন্যান্য অঙ্গগুলিকেও প্রভাবিত করে। সেই সঙ্গে ডায়ারিয়া, ত্বকে ফুসকুড়ি এসবও কিন্তু থাকে লক্ষণ হিসেবে। তবে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে গলা ব্যথা, কাশির সমস্যা থাকলেও কিন্তু এই সব সমস্যা আসেনি।
তবে আমেরিকা ও ইংল্যান্ডে বেশিরভাগ বাচ্চাদের কোভিডের টিকা দেওয়া হয়েছে, তাই ওমিক্রনের লক্ষণগুলি তাদের ক্ষেত্রে ততটাও গুরুতর হয়নি। তাই সর্দি, কাশি, হাঁচির সমস্যা এসবই ছিল মূলত। এখনও অবধি বাচ্চাদের কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসকা করাতে হয়েছে এমন নজির নেই। এমনকী কোভিডে শিশু মৃত্যুর নজিরও নেই। তবে ভারতে যেহেতু বাচ্চাদের কোনও টিকা দেওয়া হয়নি তাই সেক্ষেত্রে বেশ কিছু বাচ্চাকে কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা করাতে হয়েছে। তাই ভ্যাকসিনেশন সংক্রমণ ঠেকাতে না পারলেও ভয়াবহতা কমিয়েছে অনেকখানি। কোভিডের এই ভ্যারিয়েন্টটি অনেক বেশি সংক্রমণযোগ্য। যে কারণে বাচ্চারাও বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।
চিকিৎসকদের পরামর্শ, বর্তমানে ভারতে ১৫-১৭ বছর বয়সীদের টিকাকরণ চলছে। আর তাই যত দ্রুত সম্ভব সন্তানের টিকাকরণ করান। সেই সঙ্গে মেনে চলতে হবে বেশ কিছু বিধিনিষেধও। ভিড় এড়িয়ে চলা, মাস্ক পরা, বার বার হাত ধোওয়া এবং স্যানিটাইজেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।