Navratri Fasting: নবরাত্রিতে গর্ভ‌বতী মহিলারা উপবাস রাখবেন ভাবছেন? খাদ্য চয়নের বিষয়ে আগে থেকেই সতর্ক হয়ে যান

গর্ভাবস্থায়, আপনার শিশুর স্বাস্থ্যকর বৃদ্ধির জন্য খাদ্যাভ্যাসের অতিরিক্ত যত্ন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভবতী মহিলাদের প্রায়শই কম সময়ের ব্যবধানে খাদ্য গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়, যাতে তাঁদের রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক থাকে এবং তাঁদের দৈনন্দিন পুষ্টি নিয়মিত বৃদ্ধি হতে থাকে। সেই ক্ষেত্রে গর্ভবতী মহিলাদের কখনওই উপবাস করার পরামর্শ দেন না চিকিৎসকরা।

Navratri Fasting: নবরাত্রিতে গর্ভ‌বতী মহিলারা উপবাস রাখবেন ভাবছেন? খাদ্য চয়নের বিষয়ে আগে থেকেই সতর্ক হয়ে যান
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 05, 2021 | 4:24 PM

গর্ভাবস্থায় সব ছোট ছোট বিষয়ের ওপর বিশেষ নজর দিতে হয়। কারণ আপনি যা করবেন তার প্রথম পড়বে আপনার গর্ভে থাকা শিশুর ওপর। গর্ভাবস্থায়, আপনার শিশুর স্বাস্থ্যকর বৃদ্ধির জন্য খাদ্যাভ্যাসের অতিরিক্ত যত্ন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভবতী মহিলাদের প্রায়শই কম সময়ের ব্যবধানে খাদ্য গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়, যাতে তাঁদের রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক থাকে এবং তাঁদের দৈনন্দিন পুষ্টি নিয়মিত বৃদ্ধি হতে থাকে। সেই ক্ষেত্রে গর্ভবতী মহিলাদের কখনওই উপবাস করার পরামর্শ দেন না চিকিৎসকরা।

এই সময় কোনও ভাবেই উপবাস করা উচিত নয়। তবে সামনেই আসতে নবরাত্রি ও দুর্গাপুজো। নবরাত্রিতে অনেকেই নয় দিন ধরে উপবাস করেন। অনেক গর্ভবতী মহিলা তাঁদের ধর্মীয় বা ব্যক্তিগত বিশ্বাসের জন্য উপবাস করতে চান। এই সময় যদি আপনিও উপবাস করার কথা পরিকল্পনা করে থাকেন, তাহলে সবার প্রথমে আপনার ও আপনার গর্ভের শিশুর স্বাস্থ্য সম্পর্কে খুব সচেতন হতে হবে। কারণ আপনার থেকেই আপনার শিশুর মধ্যে পুষ্টি ও বিকাশ সঞ্চারিত হবে।

তবে আপনি যতটা বিষয়টি কঠিন মনে করছেন, এটা সেরকম নয়। তবে সমস্ত গর্ভবতী মহিলাদের মনে রাখতে হবে যে, দীর্ঘ সময়ের খাদ্যের ব্যবধান প্রভাব ফেলতে পারে আপনার শিশুর ওপর। উপবাসের সময় ঘন ঘন কার্ব‌ গ্রহণ করুন। কার্ব‌োহাইড্রেট আমাদের শরীরের বিকাশের ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধুমাত্র পেশি ও মস্তিষ্কে শক্তির সঞ্চার করে না, বরং সমগ্র শরীরে প্রভাব ফেলে।

এখন প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কী ধরনের বা কী কার্ব‌ গ্রহণ করতে পারবেন গর্ভবতী মহিলারা। মূলত দু ধরনের কার্ব‌ হল- ধীর ও দ্রুত যা নির্ভর করে গ্লাইসেমিক সূচকের তালিকার ওপর। ফাস্ট কার্ব হচ্ছে যেটা গ্লাইসেমিক সূচকের ওপরে রয়েছে এবং এগুলি অনেক বেশি শক্তি জোগায়, আপনাকে সবসময় ক্ষুধার্ত অনুভব করায় এবং দ্রুত ওজন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এই তালিকায় রয়েছে পাউরুটি, শর্করা জাতীয় খাদ্য, স্টার্চযুক্ত শাক-সবজি, ফলের রস এবং অন্যান্য প্রক্রিয়াজাত খাবার।

ধীর বা স্লো কার্ব হচ্ছে যেটা গ্লাইসেমিক সূচকের নীচে রয়েছে এবং আপনার শরীরে কোনও অস্বস্তি বোধ হতে দেবে না এবং আপনার রক্তে শর্করার পরিমাণকেও নিয়ন্ত্রণে রাখবে। ধীর কার্ব‌ হিসাবে আপনি শস্য জাতীয় খাদ্য, বীজ এবং বাদাম, মটরশুটি এবং ডাল, শাকসবজি ইত্যাদি খেতে পারেন।

শীঘ্রই নবরাত্রি শুরু হচ্ছে সুতরাং আপনি আপনার স্বাস্থ্য বুঝে উপবাস রাখার চেষ্টা করুন। এবং সেই অনুযায়ী কার্ব‌োহাইড্রেট জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করুন। ডায়াবেটিস, রক্তাল্পতা, উচ্চ রক্তচাপের মত অসুস্থতাযুক্ত গর্ভবতী মহিলাদের অবশ্যই উপবাস এড়িয়ে যাওয়া উচিত। অন্যদিকে, সঠিক খাদ্য চয়ন না করলে দুর্বলতা, হৃদযন্ত্রের সমস্যা, ত্বকের সমস্যা, ত্রুটিপূর্ণ হাড়ের বৃদ্ধি ইত্যাদির মত সমস্যাও আপনার ও আপনার শিশু মধ্যে দেখা দিতে পারে।

আরও পড়ুন: কোন খাদ্যে কী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভরপুর পরিমাণে পাবেন জেনে নিন!