AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Antioxidants: কোন খাদ্যে কী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভরপুর পরিমাণে পাবেন জেনে নিন!

আপনি হয়তো এর আগে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শব্দটি শুনেছেন। আপনি হয়তো এটাও জানেন যে শরীরে এই উপাদানের চাহিদা রয়েছে ব্যাপকভাবে। কিন্তু আপনি এর বাইরে এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সম্পর্কে আর কতটা জানেন?

Antioxidants: কোন খাদ্যে কী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভরপুর পরিমাণে পাবেন জেনে নিন!
| Edited By: | Updated on: Oct 05, 2021 | 3:31 PM
Share

আপনি হয়তো এর আগে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শব্দটি শুনেছেন। আপনি হয়তো এটাও জানেন যে শরীরে এই উপাদানের চাহিদা রয়েছে ব্যাপকভাবে। কিন্তু আপনি এর বাইরে এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সম্পর্কে আর কতটা জানেন? আজকে আমরা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যাবতীয় বিষয় আপনাকে জানাবো।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কী এবং কেন এটি প্রয়োজন?

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বোঝার জন্য আমাদের প্রাথমিক বিজ্ঞানটা একটু মনে করে নিতে হবে। পরমাণু তৈরি হয় প্রোটন, ইলেক্ট্রন এবং নিউট্রনের সমন্বয়ে। আর অনু তৈরি হয় দুই বা তার বেশি পরমাণু দিয়ে। একটি অনু তৈরি করতে হলে সঠিক সংখ্যক ইলেক্ট্রনের প্রয়োজন হয়, নাহলেই এটা মুক্ত র‍্যাডিকেলে পরিণত হয়। মুক্ত র‍্যাডিকেলগুলি হল বিপজ্জনক অণু যা শরীরের সেই সব ভাল অণুগুলিকে আক্রমণ করে যেগুলি শরীরের অপরিহার্য ক্রিয়াকলাপগুলিও ওপর কাজ করে। এই “প্রো-অক্সিডেন্ট” অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক এক্সপোজার দ্বারা উৎপাদিত হয়।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি মুক্ত র‍্যাডিকেলগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করে যা ক্যান্সার, ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগের মতো বিভিন্ন রোগের কারণ হয়। মুক্ত র‍্যাডিকেল মানুষের বিপাকের একটি প্রাকৃতিক অংশ, কিন্তু সমস্যা তখনই হয় যখন মুক্ত র‍্যাডিকেল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। এই ভারসাম্যহীনতাকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বলা হয়।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি মুক্ত র‍্যাডিকেল স্ক্যাভেঞ্জার হিসাবে বিবেচিত হয়। বায়ু দূষণ, ভারী ধাতু এবং সিগারেটের ধোঁয়ার সংস্পর্শে মুক্ত র‍্যাডিকেল তৈরি হতে পারে এবং এর কারণে অটোইমিউন রোগ, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, পার্কিনসন রোগ, অ্যালঝাইমার রোগ এবং ক্যান্সারের মত রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।

বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং কোন খাদ্যে রয়েছে তার উৎস

ভিন্ন ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা শরীরের ওপর ভিন্ন প্রভাব ফেলে। উপরন্ত এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি আমরা খাদ্যের মাধ্যমেই গ্রহণ করতে পারি।

অ্যান্থোসায়ানিনস- এগুলি নীল এবং বেগুনি ফল ও সবজির মধ্যে পাওয়া যায়। যেমন বেরি, বেগুন, মিষ্টি আলু, গাজর এবং অ্যাসপারাগাস ইত্যাদির মধ্যে এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি রক্তনালীর স্বাস্থ্যকে উৎসাহিত করতে সহায়তা করে।

রেসভেরাট্রল- এই ধরণের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ডার্ক চকোলেট, রেড ওয়াইন, চিনাবাদাম এবং আঙুরের মধ্যে পাওয়া যায়। এগুলি হৃদযন্ত্র এবং ফুসফুসের স্বাস্থ্যকে উন্নত করতে সহায়তা করতে, নির্দিষ্ট ধরণের ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করতে এবং সামগ্রিকভাবে প্রদাহ হ্রাস করতে সাহায্য করে।

আইসফ্লাভনস- এগুলি সোয়াবিনে পাওয়া যায়। এগুলি হাড়ের স্বাস্থ্য উন্নত করতে, জয়েন্টের প্রদাহ হ্রাস করতে, মেনোপজের লক্ষণগুলির সঙ্গে মোকাবিলা করতে এবং স্তন ক্যান্সারের হাত থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে।

লাইকোপেন- এটি টমেটো এবং টমেটো জাতীয় পণ্যে, লাল আঙুরে, তরমুজ এবং লাল মরিচে পাওয়া যায়। এগুলি প্রস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে এবং হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যকে উন্নত করতে সহায়তা করে।

লিউটেন- এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পালং শাক, ব্রকোলি, লেটুস, কেল, আর্টিচোক এবং কলার যুক্ত সবুজে পাওয়া যায়। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চোখ এবং হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যকে উন্নত করতে সহায়তা করতে পারে এবং নির্দিষ্ট কিছু ক্যান্সার প্রতিরোধের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারে।

আরও পড়ুন: হঠাৎ করেই মোটা হয়ে যাচ্ছেন? এর পিছনে আপনার কোনও বদ অভ্যাস দায়ী নয় তো!