Diabetes: এই আয়ুর্বেদিক ভেষজ খেলে কমতে পারে রক্তে শর্করার মাত্রা! নতুন তথ্য প্রকাশ গবেষণায়

বিশেষজ্ঞদের মতে, খাদ্যাভ্যাস ও জীবনধারার কারণে ডায়াবেটিস একটি সাধারণ রোগে পরিণত হয়েছে। তবে সঠিকভাবে ম্যানেজ করা না হলে তা বিপজ্জনক রূপ নিতে পারে।

Diabetes: এই আয়ুর্বেদিক ভেষজ খেলে কমতে পারে রক্তে শর্করার মাত্রা! নতুন তথ্য প্রকাশ গবেষণায়
গুড়মার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 17, 2022 | 12:24 PM

ডায়াবেটিস (Diabetes) বর্তমানে মহামারীতে পরিণত হয়েছে। বিশ্ব জুড়ে কয়েক লক্ষ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। শুধু তাই নয়, ডায়াবেটিস বেড়ে গেলে অন্যান্য রোগও হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই রোগ নিয়ন্ত্রণযোগ্য। তবে এমন কোনও চিকিৎসা (Treatment) নেই, যা এর মূল থেকে নির্মূল করতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, খাদ্যাভ্যাস (Food Habits) ও জীবনধারার (Lifestyle) কারণে ডায়াবেটিস একটি সাধারণ রোগে পরিণত হয়েছে। তবে সঠিকভাবে ম্যানেজ করা না হলে তা বিপজ্জনক রূপ নিতে পারে।

আপনিও যদি ডায়াবেটিক রোগী হয়ে থাকেন এবং ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে চান, তাহলে গুড়মার বা মেষশৃঙ্গ খেতে পারেন। বহু গবেষণায় এটা প্রমাণিত হয়েছে যে গুড়মার ডায়াবেটিসের জন্য একটি ওষুধ। গুড়মারের মিষ্টতা কমানোর কারণে এর নামকরণ করা হয়েছে। গুড়মার হল জিমনেমা সিলভেস্ট্রে নামক একটি উদ্ভিদ, যা ম্যালেরিয়া এবং সাপের কামড়ের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। বর্তমানে এটি এর অ্যান্টিডায়াবেটিক বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত।

এক্সপ্রেস ইউকের দ্বারা করা একটি সমীক্ষায় দেখানো হয়েছে যে কীভাবে জিমনেমা অন্ত্রে শোষিত চিনির পরিমাণ হ্রাস করে। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এই গবেষণায় ২২ জন রোগীর নমুনার উপর জিমনেমা নির্যাসের প্রভাবের দিকে নজর দেওয়া হয়েছে। গবেষণার লেখকরা লিখেছেন যে ২২ জনের মধ্যে ৫ জন ডায়াবেটিক রোগী তাদের প্রচলিত ওষুধ বন্ধ করতে পেরেছিলেন এবং শুধুমাত্র GS4 দিয়ে তাদের রক্তের গ্লুকোজ হোমিওস্টেসিস বজায় রাখতে পেরেছিলেন।

গুড়মার সম্পর্কে এই জিনিসগুলি অবশ্যই জানা উচিত

গুড়মার একটি ইনসুলিন সংবেদনশীল। এই গাছের পাতায় রেজিন, অ্যালবুমিন, ক্লোরোফিল, কার্বোহাইড্রেট, টারটারিক অ্যাসিড, ফরমিক অ্যাসিড, বিউটেরিক অ্যাসিড এবং অ্যানথ্রাকুইনোন ডেরিভেটিভ থাকে। তাই এর পাতা চিবিয়ে খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ে না।

এই প্রতিকারটি ঐতিহ্যগতভাবে ম্যালেরিয়া এবং সাপের কামড়ের চিকিৎসার জন্যও ব্যবহৃত হয়। যদিও এটি তার অ্যান্টি-ডায়াবেটিক বৈশিষ্ট্যের জন্যও বিখ্যাত। গুড়মারের হাইপোগ্লাইসেমিয়া সৃষ্টি না করেই গ্লুকোজ কমানোর ক্ষমতা রয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে যে খাবারের ৩০ মিনিট আগে এটি খাওয়া হলে, এটি টেস্ট বাডগুলিকে অবেদন দেয় এবং ক্ষুধা ও মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছা কমায়। গুড়মার ওজন কমাতে খুবই সহায়ক। এটির টাইপ ২ ডায়াবেটিসের অ্যাটিওলজি এবং প্যাথোফিজিওলজির সঙ্গে যুক্ত একাধিক কারণকে একই সঙ্গে প্রভাবিত করার ক্ষমতা আছে।

টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের জন্য গুড়মার উপকারী

গবেষণায় দেখা গেছে যে টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা, যাঁরা ১৮ থেকে ২০ মাস ধরে প্রতিদিন ৪০০ মিলিগ্রাম জিমনেমা পাতার নির্যাস খান, তাঁদের রক্তে শর্করার পরিমাণ ২৯ শতাংশ কমে যায়। আশ্চর্যজনকভাবে, এটি গবেষণায় দেখা গেছে যে এটির ব্যবহার A1C এর মাত্রা প্রাথমিকভাবে ১১.৯ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৮.৪৮ শতাংশ করেছে। গবেষকরা দাবি করেছেন যে এতে জাইরামিক অ্যাসিড নামে একটি যৌগ রয়েছে, যা চিনির স্বাদকে দমন করে।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন। 

আরও পড়ুন: হাইপারটেনশন রোগীদের খাদ্যতালিকা কেমন হওয়া উচিত? পরামর্শ বিশিষ্ট পুষ্টিবিদের