Ebola virus: মস্তিষ্কে নীরব ঘাতক হিসেবে থাকে এই ভাইরাস, এমনকী চিকিৎসার পরেও সমস্যায় পরতে পারেন! যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা…
সংক্রমণ থেকে সেরে উঠলেও থেকে যাচ্ছে পুনরায় সংক্রমণের সম্ভাবনা। যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা...
করোনার প্রকোপে এই ভাইরাসটি নিয়ে তেমন উচ্চবাচ্য হয়নি কোথাও। কিন্তু সম্প্রতি এক গবেষণা ফের উস্কে দিল ইবোলা স্মৃতি। নতুন করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ইবোলা ভাইরাস। এ বার আগের চেয়েও ভয়ঙ্কর এই ভাইরাসের প্রকোপ। কঙ্গোয় বসবাসকারী প্রায় ২০ লক্ষ মানুষের মধ্যে দ্রুত ছড়াচ্ছে ইবোলা ভাইরাস। এমনকী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ভাইরাসকে আর্ন্তজাতিক স্বাস্থ্য সংকট হিসেবে চিহ্নিত করেছে। সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা দিয়েছে ইবোলার চিকিৎসায় ব্যবহৃত মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি হতে পারে কোনও প্রাণঘাতী রোগের কারণ। সায়েন্স ট্রান্সনেশনাল মেডিসিন জার্নালো প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণা।
আমেরিকার আর্মি মেডিক্যাল রিসার্চ ইন্সটিটিউট অফ ইনফেকশাস ডিজিজের থেকেই প্রকাশিত হয়েছে একটি গবেষণা পত্র। ইবোলা আক্রান্ত কিছু বানরের উপর মনোক্লোনাল অ্যান্টিববডির এই থেরাপি চালানো হয়। আর সেখানেই দেখা গিয়েছে ২০ শতাংশ বানরের ক্ষেত্রে পরবর্তীতে আবারও মস্তিষ্কে হানা দিয়েছে সেই ভাইরাস। মস্তিষ্কের মধ্যেকার ভেন্ট্রিকুলার সিস্টেমে যে সেরিব্রোস্পাইনাল তরল থাকে সরাসরি সেখানেই আঘাত করেছে ইবোলার ভাইরাস। সেখান থেকেই পরবর্তীতে জটিস রোগ সমস্যা আসে। এবং বানরগুলি মারা যায়।
মস্তিষ্ক ছাড়া অন্য কোথাও কিন্তু সেই ভাইরাস কোনও রকম প্রভাব ফেলেনি। তবে গবেষণায় দেখা গিয়েছে মস্তিষ্ক ছাড়াও চোখের ভিট্রিয়াস চেম্বারে, টেস্টিসের মধ্যেও কিন্তু লুকিয়ে থাকতে পারে এই ভাইরাস। ফলে ভাইরাস পুনরায় সক্রিয় হয়ে আবারও আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে নতুন করে রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটাতে পারে। এমনকী ইবোলা থেকে সেরে ওঠার পর একজন নার্স মেনিনগোয়েনসেফালাইটিসে আক্রান্ত হন।
২০১৩-২০১৬ দক্ষিণ আফ্রিকায় ভয়াবহ ভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল এই ইবোলা ভাইরাস। টিকা নেওয়ার পরও অনেক মানুষ আক্রান্ত হয়েছিলেন। ২০১৮ এর শেষদিকে কঙ্গোর এক অধিবাসী মারও যান এই ইবোলাতে। করোনার থেকেও মারাত্মক সংক্রমণাত্মক এই ভাইরাস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে ২০২১ সালে আফ্রিকাতেই তিনবার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে এই ভাইরাসের। ইবোলা প্রতিরোধের জন্য দুটি ভ্যাকসিন এবং মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি থেরাপির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে চিকিৎসার জন্য। তবে একবার আক্রান্ত হলেও পরবর্তীতে আবারও ফিরে আসছে এই ভাইরাসের সংক্রমণ। তাই এ বিষয়ে আরও বেশি গবেষণার প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
একবার আক্রান্ত হবার পর যাঁরা পুনরায় ইবোলায় আক্রান্ত হচ্ছেন তাঁদের অনেকের মধ্যেই দেখা দিচ্ছে একাধিক স্বাস্থ্য জটিলতা। ফলে ইবোলা থেকে সুস্থ হয়ে উঠলেও নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শে থাকাটা কিন্তু খুবই জরুরি। এতে পরবর্তীতে যেমন স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমে তেমনই পুণরায় সংক্রমণকেও আটকানো সম্ভব।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
আরও পড়ুন: Smartphone Dangers: ফোন না ঘাঁটলে ঘুম আসে না? সাবধান! হতে পারে চরম ক্ষতি…