Dental Health: শিশুর দাঁতের পরিচর্যায় এই ভুলগুলো আপনিও করছেন নাকি! সাবধান হোন আজ থেকেই

শিশুসন্তানকে আপনিই ব্রাশ করিয়ে দেন? ভুল করছেন না তো? দন্তরোগ বিশেষজ্ঞরা কিন্তু সওয়াল করছেন শিশুর স্বাধীনতার পক্ষে! দেখা যাক সন্তানের মুখগহ্বরের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে গিয়ে অভিভাবকরা কী কী ভুল করে ফেলেন।

Dental Health: শিশুর দাঁতের পরিচর্যায় এই ভুলগুলো আপনিও করছেন নাকি! সাবধান হোন আজ থেকেই
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 13, 2022 | 4:13 PM

মুখগহ্বর অপরিষ্কার রাখার (Poor oral hygiene) অভ্যেস মোটেই ভাল না। বিশেষ করে মিষ্টিজাতীয় খাদ্য খাওয়ার পর সঠিকভাবে মুখ ধোয়া অত্যন্ত জরুরি ব্যাপার। কারণ মিষ্টিজাতীয় উপাদান দাঁতে লেগে থাকে। ফলে তা থেকে দাঁতে ক্ষয়  হয়। বিশেষ করে শিশুরা ঘনঘন চকোলেট খায়। চকোলেট দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকে ও এমন অভ্যেসে দাঁতের (dental practices) ব্যাপক ক্ষতি হয়। তাই ভিটামিন, খনিজ ও প্রোটিনযুক্ত শাকসব্জি, ফল, মাছ-মাংস খাওয়ার ব্যাপারে শিক্ষা দেওয়ার সঙ্গে শিশুকে মুখগহ্বরের স্বাস্থ্যবিধি (child’s dental health) মেনে চলার ব্যাপারেও উৎসাহিত করতে হবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশুকে নিজের হাতেই ব্রাশ করতে দিন। এর ফলে তারা আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী ও স্বনির্ভর হয়ে উঠবে। একইসঙ্গে আঙুল চোষা ও বারবার জিভ দিয়ে দাঁত ঠেলার বদভ্যাসও ত্যাগ করার শিক্ষা দিতে হবে। দন্তরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশুর মুখগহ্বরের স্বাস্থ্যরক্ষার ক্ষেত্রে অভিভাবকদের বিরাট ভূমিকা রয়েছে। ওরাল হাইজিন-এর শিক্ষা শুরু হওয়া উচিত খুব কম বয়স থেকেই। এই শিক্ষা জারি রাখতে হবে বয়ঃসন্ধি পর্যন্ত। সমস্যা হল, শিশুকে ক্ষয়হীন দাঁত সহ বড় করার ক্ষেত্রে বহু অভিভাবকই বড়সড় ভুল করে ফেলেন। সেই ভুলগুলি কী? ভ্রান্তি দূর করার উপায়ই বা কী?

কীভাবে ব্রাশ করছে দেখার দরকার নেই

শিশু নিজে ব্রাশ করছে কি? উত্তর হ্যাঁ হলে ভাবার দরকার নেই। ওদের দাঁত মাজায় তদারকি করবেন না। আমরা ওদের স্বনির্ভর তৈরি করতে চাই, তাই না? তাহলে কেন ওদের বড় হয়ে যাওয়ার পরেও ব্রাশ করা নিয়ে খবরদারি করেন? হ্যাঁ, ওদের অবশ্যই সঠিকভাবে ব্রাশ করার পদ্ধতি শিখিয়ে দিন। তাই বলে ওদের অতিষ্ঠ করবেন না।

একটা কথা মনে রাখবেন, ৬ থেকে ৭ বছর বয়স না হওয়া অবধি ওদের হাত-পায়ের ক্রিয়াশীলতার প্রতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ আসে না। তাই ব্রাশ করা শুরু করলে প্রথমদিকে একটু নজর রাখুন ওদের উপর। সঠিক প্রক্রিয়া শিখিয়ে দিন। তবে বাড়াবাড়ি করবেন না। তাহলেই দেখবেন ভালো রেজাল্ট পাচ্ছেন। শিশুর সঙ্গে আপনিও ব্রাশ করুন। দেখবেন আপনাকে দেখে ও আরও উৎসাহ পাবে। ফলাফলও ভালো মিলবে।

দাঁতে আটকে যায় না এমন খাদ্য দিন

দাঁতে খাবার আটকে থাকলে সেখানে ব্যাকটেরিয়া বেড়ে ওঠে ও বিশেষ ধরনের অ্যাসিড তৈরি হয়। এরফলে দাঁতের সুরক্ষাবরণী বা এনামেল নষ্ট হয় ও দাঁত ক্ষয়ে যায়। তাই মাত্রাতিরিক্ত মিষ্টি, চকোলেট ওদের খেতে দেবেন না। এমন খাদ্য খাওয়ার পর ওদের মুখ ধুয়ে নিতে শেখান। এছাড়া চকোলেট, মিষ্টি খাওয়ার পরে ওদের শসা খেতে দিতে পারেন। শসায় জলীয় উপাদান বেশি থাকে। ফলে দাঁতে লেগে থাকা খাদ্যও সরে যায়। ফলের জ্যুস খেলেও মুখ ধুয়ে নিতে বলুন। কারণ ফলের রসেও থাকে মিষ্টিজাতীয় উপাদান।

আঙুল চোষার বদভ্যাস

বাচ্চারা আঙুল চুষবেই। প্রথম বছরে এমন স্বভাব স্বাভাবিক। কারণ মাতৃদুগ্ধ পানের ইচ্ছে জাগলেই ওরা আঙুল চুষতে থাকে। তবে পূর্ণরূপে শিশুর দাঁত বেরনোর পরে আঙুল চোষার স্বভাব ওদের মুখগহ্বরের স্বাস্থ্যের ক্ষতিই করে। কারণ আঙুল চুষতে গিয়ে সামনের দাঁতে চাপ পড়ে। সেই চাপে দাঁতের সজ্জা নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে। সামনের দাঁত এগিয়ে আসার আশঙ্কাও থাকে। এমনকী এই কারণে মুখে বুলি ফুটতেও বিলম্ব হয়। সুতরাং ধীরে ধীরে ওদের আঙুল চোষার স্বভাব ত্যাগ করা শেখাতে হবে অভিভাবকদের।

জিভ দিয়ে দাঁত ঠেলা

মুখগহ্বরের ভিতর থেকে সামনের দিকে জিভ দিয়ে দাঁত ঠেলার অভ্যেস অস্বাভাবিক রকমের সমস্যা তৈরি করতে পারে যার নাম ‘ওপেন বাইট’। এই কুঅভ্যেস ত্যাগ করানোর শিশুকে ধৈর্য ধরে খাদ্য গেলার পদ্ধতি শেখাতে হবে। নাহলে দাঁতের সজ্জা বিকৃত হওয়ার ভয় এড়ানো যাবে না।

আরও পড়ুন: Benefits Of Black Grapes: গ্লোয়িং স্কিন থেকে ঘন চুল, কালো আঙুরের গুণাবলী জানলে অবাক হবেন!