Diwali And Asthma: হিমেল হাওয়া আর বারুদের গন্ধে অ্যাজমার সমস্যা বাড়ছে? বিশেষজ্ঞের পরামর্শ শুনুন…
Asthma Attack: মাস্ক পরার অভ্যাস জারি রাখতেই হবে। কোভিডের প্রকোপ আগের তুলনায় হালকা হলেও এখনও কোভিড পুরোপুরি বিদায় নেয়নি। তাই সতর্ক থাকুন
বছরের এই সময়টা দেশজুড়েই সকলে মেতে ওঠেন উৎসবে। আলো, রোশনাই, বাজি, প্রদীপ, বন্ধু-আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা, ঘরে ঘরে মিষ্টিমুখ- সব মিলিয়ে চলে জমজমাট সেলিব্রেশন। গত ২ বছর শব্দবাজির দাপট কম থাকলেও সেই গ্রাফ এইবার বেশ ঊর্ধবমুখী। রাত পেরিয়েও বাজির শব্দ পাওয়া গিয়েছে অনেক এলাকা থেকেই। প্রতি বছর কালীপুজো মানে বাতাসে একটা ঠাণ্ডা ভাব থাকে। এই বছরও তার ব্যতিক্রম নয়। সকালে বাতাসে শীতের আমেজ থাকছে। ঋতু পরিবর্তনের এই সময়টা সকলেরই তাই ঠাণ্ডা লাগে। ঠাণ্ডা, জ্বর, সর্দি-কাশির সমস্যা থাকে ঘরে ঘরে। কোভিড পরবর্তী সময়ে অ্যালার্জির সমস্যা আগের থেকে অনেকখানি বেড়েছে। ব্রঙ্কাইটিস, হাঁপানি, অ্যালার্জি, শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা জাঁকিয়ে বসেছে। একই সঙ্গে রয়েছে দূষণের প্রকোপ। ফলে হাঁপানির সমস্যাও বেড়েছে। যাঁদের অল্পেই সর্দি, কাশির সমস্যা হয় এই সময়টা তাঁদের বাড়ির বাইরে না বেরনোই ভাল। একই সঙ্গে মেনে চলতে হবে বেশ কিছু নিয়মও।
মাস্ক পরার অভ্যাস জারি রাখতেই হবে। কোভিডের প্রকোপ আগের তুলনায় হালকা হলেও এখনও কোভিড পুরোপুরি বিদায় নেয়নি। আর তাই মাস্ক পরুন। বাড়ির বাইরে মাস্ক পরে বেরোলে দূষণ এবং ধোঁয়ার হাত থেকে বাঁচবেন। এতে শরীরও থাকবে সুস্থ। শ্বাসকষ্টের সমস্যাও হবে না।
ইনহেলার এবং হাঁপানির ওষুধ হাতের সামনে রাখুন। বিশেষজ্ঞদের মতে রোজ ইনহেলার নেওয়া ভাল অভ্যাস। এতে শ্বাসযন্ত্র অনেক পরিষ্কার থাকে। কফ জমে থাকার সম্ভাবনা থাকে না। আর উৎসবের মরশুমে অনেক দোকানও বন্ধ থাকে। তাই ওষুধ, ইনহেলার এসব আগে থেকেই হাতের সামনে রাখুন।
সুষম খাবার খান। ভিটামিন সি বেশি করে খেতে হবে। এছাড়াও রোজকার খাবারের মধ্যে যাতে খনিজ, ভিটামিনের পরিমাণ ঠিক থাকে সেই দিকেও খেয়াল রাখুন। ফল, সবজি এসব রোজ খেতে হবে।
অতিরিক্ত খাবার কিংবা মশলাদার খাবারও একেবারেই চলবে না। বেশি তেল মশলা খেলে শরীর খারাপ হবে। হজম হবে না। অ্যাজমার রোগীদের সামান্যতেই গ্যাস, অম্বলের সমস্যা থেকে যায়। খাবার হজম না হলে সেখান থেকে ারও বিপত্তি হয়। সমস্যাও অনেক বেড়ে যায়। আর তাই এই ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
বাইরের ধোঁয়া যাতে কোনও ভাবেই নাকে ঢুকতে না পারে সেই বিষয়টিও খেয়াল রাখুন। ধোঁয়াতেই সমস্যা হয় সবচাইতে বেশি। এছাড়াএ কিছু ফুলের পরাগ থেকেও এই একই সমস্যা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে মাস্ক ছাড়া আর কোনও উপায় নেই।
সারাদিন প্রচুর পরিমাণে জল খান। নিজেকে হাইড্রেটেড রাখুন। ডাবের জল খান। যত বেশি জল খাবেন ততই শরীরের জন্য ভাল। শরীর হাইড্রেট থাকলে শ্বাসকষ্টের সমস্যাও হবে না।