Miscarriage: পারিবারিক ইতিহাসেই রয়েছে গর্ভপাত? প্রেগন্যান্সিতে সমস্যা এড়াতে যে সব পরীক্ষা খুবই জরুরি

Miscarriage Symptoms: আজকাল অনেকেই এক্টোপিক প্রেগন্যান্সির (  Ectopic Pregnancy) শিকার। যেখান থেকে কিন্তু মিসক্যারেজের প্রবল সম্ভাবনা থাকে

Miscarriage: পারিবারিক ইতিহাসেই রয়েছে গর্ভপাত? প্রেগন্যান্সিতে সমস্যা এড়াতে যে সব পরীক্ষা খুবই জরুরি
প্রথম থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং যাবতীয় পরীক্ষা করান
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 21, 2022 | 2:04 PM

গর্ভপাতের ঘটনা আগের তুলনায় কিন্তু অনেকখানি বেড়েছে। সাধারণত গর্ভাবস্থার ২৮ সপ্তাহের আগে যদি মাতৃজঠরেই শিশুর মৃত্যু হয় তাহলে সেই ঘটনাকে গর্ভপাত বলা হয়। আইনত ভাবে গর্ভপাত নিষিদ্ধ। এমনকী সব সময় গর্ভপাতকে যে সমাজ ভাল চোখে দেখে এমনটাও কিন্তু নয়। কারণ এই গর্ভপাত ঘিয়ে অনেক রকম মিথ প্রচলিত রয়েছে। এখনও গর্ভপাত হলে কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে মা-কেই দায়ী করা হয়। গর্ভাবস্থায় নিয়মিত ভাবে শরীরের যত্ন না নিলে, স্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া, শরীরচর্চা না হলে এবং ধূমপান, মদ্যপানের অভ্যাস থাকলে কিন্তু সেখান থেকে গর্ভপাতের সম্ভাবনা অনেকখানি বেড়ে যায়। আর তাই গর্ভপাত রুখতে ধূমপান, মদ্যপান কিন্তু একেবারেই এড়িয়ে চলতে হবে। সেই সঙ্গে কফিও যতটা সম্ভব কম খাওয়াই কিন্তু ভাল। তার সঙ্গে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং মানসিক চাপ কম করাও ভীষণ ভাবে জরুরি।

বর্তমানে চিকিৎসকরা কিন্তু বলছেন, গর্ভপাতের উপর প্রভাব রয়েছে জিনেরও। আর তাই প্রথম থেকে জিনের কিছু পরীক্ষা করিয়ে নেওয়াই ভাল। ডাক্তাররা যেমন বলছেন, গর্ভপাতের সাধারণ কারণ হল ক্রোমোজমের অস্বাভাবিকতা, যা মূলত জেনেটিক পরীক্ষা দ্বারা বোঝা যায়। ক্রোমোজমের মধ্যেকার প্রোটিনের পরিবর্তন হলে তা থেকেও কিন্তু বোঝা যায় যে গর্ভপাতের আশঙ্কা আছে কিনা। সেই সঙ্গে যদি জেনেটিক কোনও ডিসঅর্ডার থাকে তাও কিন্তু ধরা পড়ে এই পরীক্ষায়।

তবে নিয়মিত ভাবে হেলথ চেকআপ কিন্তু জরুরি। সেই সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শমতো প্রয়োজনীয় যাবতীয় পরীক্ষাও কিন্তু করাতে ভুলবেন না। যদি কোনও সমস্যা হয় তাহলে প্রথম তেকেই প্রতিরোধমূলক কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। প্রথম তিনমাসের মধ্যে যাদের গর্ভপাত হয় তার মধ্যে অর্ধেকই ভ্রূণের ক্রোমোসোমাল অস্বাভাবিকতার কারণে হয়। তবে যাঁরা আইভিএফ পদ্ধতির সাহায্যে গর্ভবতী হন কিংবা যাদের পরিবারে জেনেটিক সমস্যার কোনও ইতিহাস রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে কিন্তু বারবার জিনের পরীক্ষা (মাইক্রোয়ারে ক্রোমোজোমাল) করে দেখার পরামর্শ দেওয়া হয়। কোনও ক্রোমোজমের মধ্যে অস্বাভাবিকতা থাকলে তা কিন্তু ধরা পড়ে এই পরীক্ষায়।

আজকাল অনেকেই এক্টোপিক প্রেগন্যান্সির (  Ectopic Pregnancy) শিকার। যেখান থেকে কিন্তু মিসক্যারেজের প্রবল সম্ভাবনা থাকে।  এই প্রেগন্যান্সিতে ভ্রূণ গর্ভাশয়ের বাইরে প্রোথিত হয়। এই গর্ভাবস্থা কিন্তু ভীষণ বিপজ্জনক। কারণ এতে মায়ের মৃত্যুঝুঁকি থাকে। গর্ভাবস্থার একেবারে প্রথম দিকে যদি কোনও উপসর্গ থাকে বা কোনও অস্বস্তি থাকে তাহলে কিন্ত চিকিৎসককে জানাতে ভুলবেন না। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, প্রতি ৮৫টি গর্ভধারণের মধ্যে ১টি  এক্টোপিক প্রেগন্যান্সি হয়। বছরে মোটামুটি এক লক্ষেরও বেশি এই এক্টোপিক প্রেগন্যান্সির ঘটনা ঘটে। কিন্তু কেন এই গর্ভাবস্থা আসে তার সঠুক কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। জরায়ুতে কোনও ক্ষত থাকলে বা পেলভিসে কোনও সমস্যা থাকলে সেখান থেকেও কিন্তু হতে পারে এই প্রেগন্যান্সি। যদি আগে কোনও গর্ভপাত হয়ে থাকে আর সেখান থেকে ফ্যালোপিয়ান টিউবে কোনও আঘাত লাগে, সেখান থেকেও কিন্তু তৈরি হতে পারে এই জটিল অবস্থা। তাই সব সময় চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলুন, প্রয়োজনে সমস্যা এড়াতে গর্ভধারণের আগেই চিকিৎসকের থেকে সুপরামর্শ নিয়ে নিন।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

আরও পড়ুন: Diabetes: ডায়াবিটিস রয়েছে? গরমে মেনে চলুন এই কয়েকটি ডায়েট টিপস