ঘন ঘন হাই তুলছেন? হতে পারে হার্ট অ্যাটাক!

কাউকে হাই তুলতে দেখলেই বেশি করে হাই ওঠে। কিন্তু সেই হাই তোলা যদি অস্বাভাবিক রকমভাবে বেড়ে যায়, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। বার বার হাই উঠলে কী কী করবেন, তার কিছু উপায় দেওয়া হল, শুধুমাত্র আপনাদের জন্য...

ঘন ঘন হাই তুলছেন? হতে পারে হার্ট অ্যাটাক!
ছবিটি প্রতীকী
Follow Us:
| Updated on: Apr 09, 2021 | 2:49 PM

অফিসে কাজের ফাঁকে বারবার হাই তোলে নাকি? বাসে, ট্রেনে বড় বড় হাই তুলে আশেপাশে লোকের বিরক্তির কারণ হয়ে ওঠেন? মিটিং চলাকালীন বসের সামনে বেশি করে হাই তোলার রেকর্ড গড়েছেন নাকি! অনেকে আবার হাই তোলার সময় নানারকম আওয়াজ বের করেন। হাত-পা ছড়িয়ে, পিঠ সোজা করে বড় করে হাই তোলেন। একজন স্বাভাবিক মানুষ ৪ সেকেন্ড অন্তর অন্তর হাই তোলেন। মানুষ কেন হাই কেন তোলে? ঘুমের ঘাটতি হলে, ক্লান্তি- অবসাদ গ্রাস করলে, কাজের মধ্যে কোনও উত্‍সাহ খুঁজে না পেলে স্বাভাবিকভাবে হাই উঠতে বাধ্য।

অনেকেরই এই ভুল ধারণা আছে যে, রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়ানো ও অতিরিক্ত কার্বণ-ডাই-অক্সাইড বের করে দেওয়ার জন্য বার বার হাই তোলা হয়। তবে বিজ্ঞানীরা প্রমাণ করে দিয়েছেন, হাই ওঠার আগে ও পরে রক্তে অক্সেজেনের পরিমাণ ঠিকই থাকে। কিন্তু রাতে ভাল করে ঘুমানোর পরও যদি ঘন ঘন হাই  তোলেন তাহলে আর দেরি করবেন না, চিকিত্‍সকের পরামর্শ নিন।

ক্লান্তি-অবসাদ ছাড়াই ঘন ঘন হাই তোলার প্রবণতা থাকলে লিভারের সমস্যা তৈরি হতে পারে। পেটের নানা সমস্যা বেড়ে যায়। অনেকসময় স্ট্রোকের পূর্বলক্ষণ হিসেবেও ঘন ঘন হাই তুলতে পারেন। মস্তিষ্কের নানান কোষ বেশি মাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেলে ঘনঘন হাই তোলার সমস্যা তৈরি হয়। এছাড়া ঘুমের সমস্যা বা ঘাটতি হলে বারবার হাই উঠতে থাকে। যদি নিদ্রাহীনতার সমস্যায় ভোগেন, তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।

কী করলে ঘন ঘন হাই তোলা থেকে মুক্তি পাবেন…

– ঘন ঘন হাই তুললে নাক দিয়ে জোড়ে জোড়ে নিঃশ্বাস নিন। তারপর মুখ দিয়ে ছেড়ে দিন। কয়েকবার এমনটা করুন। দেখবেন আস্তে আস্তে হাই ওঠা কমে গিয়েছে।

– হাই উঠতে উঠতে নিজেই বিরক্ত, তখন ঠান্ডা জল খান। সোডা বা কার্বোনেটেড-যুক্ত পানীয় হাই বন্ধ করতে সাহায্য করে।

– আইসক্রিমও খেতে পারেন। মিষ্টিজাতীয় খাবার খান। শরীরের শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে ক্লান্তি দূর করবে খুব সহজেই।

– সুস্থ জীবনযাপন পালন করুন। খাওয়া দাওয়ার অনিয়ম, দিনে জল পরিমাণে কম খাওয়া, ঘুমানোর সময়ে অন্য কাজ করা- এইগুলি না করলেই শরীরে ক্লান্তি, অবসাদ গ্রাস করবে না। দিনে ৭-৮ ঘন্টা ঘুমান। শরীর সুস্থ থাকবে।

— ঘন ঘন হাই উঠলে খানিকটা হেঁটে নিন। তাতে শরীরের এনার্জি বৃদ্ধি হবে। ক্লান্তি দূর হবে।

– নিয়মিত যোগ-ব্যায়াম করুন।সকালের ব্রেকফাস্টে প্রচুর প্রোটিন আর ফাইবার-যুক্ত খাবার রাখুন। শাক-সবজি, ফল থাকুক প্রতিদিনের ডায়েটে।