Influenza B Virus: ইনফ্লুয়েঞ্জা বি ভাইরাসে আক্রান্ত দেবিনা, এই রোগ এড়াতে কোন কোন সতর্কতা মানতে হবে?
Debina Bonnerjee: সফর সেরে দেশে ফিরতেই ইনফ্লুয়েঞ্জা বি-তে আক্রান্ত অভিনেত্রী। অসুস্থতার কারণে স্বামী ও মেয়েদের থেকে আলাদা থাকতে হচ্ছে দেবিনাকে।
স্বামী গুরমিত ও দুই কন্যা সন্তানকে শ্রীলঙ্কা ভ্রমণে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী দেবিনা বন্দোপাধ্যায়। সফর সেরে দেশে ফিরতেই ইনফ্লুয়েঞ্জা বি-তে আক্রান্ত অভিনেত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, “মা হওয়া সোজা নয়।” অসুস্থতার কারণে স্বামী ও মেয়েদের থেকে আলাদা থাকতে হচ্ছে দেবিনাকে। দেবিনা জানিয়েছেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে সর্দিতে ভুগছিলেন। কোনওভাবেই সারছিল না। পরীক্ষা করাতে জানা যায় যে, তিনি ইনফ্লুয়েঞ্জা বি ভাইরাসে আক্রান্ত। কিন্তু কতটা ক্ষতিকারক এই মারাত্মক আর কতদিন সময় লাগবে দেবিনার সুস্থ হয়ে উঠতে?
ইনফ্লুয়েঞ্জা ফ্লু হিসেবে পরিচিত হলেও, এটি অত্যন্ত সংক্রামক। মূলত তিন ধরনের ইনফ্লুয়েঞ্জা হয়। যথা- এ, বি, সি ও ডি। ভারতে মূলত ইনফ্লুয়েঞ্জা এ ও বি ভাইরাসের দাপট বেশি। ইনফ্লুয়েঞ্জা এ ও বি কিছু এক ধরনের হলেও, ইনফ্লুয়েঞ্জা বি ভাইরাস একজনের থেকে অন্য মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
ইনফ্লুয়েঞ্জা বি ভাইরাসে আক্রান্ত হলে প্রাথমিকভাবে জ্বর হয়। তার সঙ্গে গলায় ব্যথা, কাশি, হাঁচি, মাথা ব্যথা, গা-হাত-পায়ে ব্যথা এবং পেশিতে যন্ত্রণার মতো উপসর্গ দেখা দেয়। পাশাপাশি পেট খারাপ, বমি, খাওয়ার প্রতি অরুচি তৈরি হওয়া এবং স্বাদ-গন্ধ চলে যাওয়ার মতোও উপসর্গ দেখা দেয়। অবস্থার অবনতি হলে শ্বাসকষ্টও দেখা দেয়। ইনফ্লুয়েঞ্জা বি ভাইরাসে আক্রান্ত হলে জ্বর সবসময় ১০০ ফারেনহাইটের বেশি থাকে। এই সময় চিকিৎসকেরা আইসোলেশনে অর্থাৎ একা থাকার পরামর্শ দেন। কারণ ইনফ্লুয়েঞ্জা বি ভাইরাস অত্যন্ত সংক্রামক। এই ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করার ২ দিন পর থেকেই এর লক্ষণগুলো প্রকাশ পেতে শুরু করে।
ইনফ্লুয়েঞ্জা বি ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা পেতে বিশেষ কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকাও রয়েছে। সেটা প্রতি বছর সময়মতো নিলে সহজেই এড়ানো যায় এই রোগ। মূলত ইনফ্লুয়েঞ্জা ফ্লুতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাচ্চাদের মধ্যে বেশি। শিশুদেরও টিকা রয়েছে। এছাড়াও বেশ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে আপনাকে।
বাড়ির বাইরে বেরোলে চোখ, নাক, মুখ ঢেকে রাখুন। মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। বারবার চোখে, মুখে হাত দেবেন না। সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিন। প্রয়োজনে স্যানিটাইজারও ব্যবহার করতে পারেন। জ্বর বা সর্দি-কাশিতে ভুগছে এমন ব্যক্তিদের দূরে থাকুন। ভিড় থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন। আর যদি ইনফ্লুয়েঞ্জা ফ্লুতে আক্রান্ত হন, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।