White Spots On Nails: নখের উপরে সাদা দাগ? দেখেও এড়িয়ে গেলেই বিপদ, সতর্ক হন
Health Tips: শরীরে জিঙ্ক ও ক্যালসিয়ামের অভাবের কারণে নখে সাদা দাগ দেখা দিতে পারে। তাই ডায়েটে ভারসাম্য বজায় রাখুন এবং সব ধরনের খাবার খান। অতএব, এই ধরনের উপসর্গ উপেক্ষা করে যাওয়ার পরিবর্তে, বিশেষজ্ঞর সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত। l তার কথা মতো চিকিৎসা করান, তাহলেই হবে।
অনেকসময়ই খেয়াল করে দেখবেন আমাদের নখের উপর সাদা-সাদা দাগ দেখা যায়। যা নিজে থেকেই আসে আবার নিজে থেকেই চলে যায়। তাই এব্য়পারে বিশেষ মাথা ঘামাতে দেখা যায় না কাউকে। আর এতেই বাড়ে বিপদ। কারণ বিশেষজ্এঞদের মতে, এই ধরনের দাগ শরীরে বিভিন্ন রোগ বাসা বাঁধার ইঙ্গিত দেয়। তাই এই ধরেনর দাগ দেখা গেলে সতর্ক হন। নইলেই বিপদ।এই সাদা দাগের কারণ লিউকোনিচিয়া হতে পারে। তবে এখানেই শেষ নয়, নখের উপর এই সাদা-সাদা দাগের নেপথ্যে থাকতে পারে আরও কিছু কারণও। আসুন জেনে নেওয়া যাক এই দাগ আর কোন-কোন রোগের লক্ষণ….
নখের সাদা দাগের কারণ:
অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া: হেলথলাইন অনুসারে , কখনও কখনও নেলপলিশ, নেল গ্লস বা নেলপালিশ রিমুভার ব্যবহারের ফলে নখে সাদা দাগ পড়ে। আসলে এতে কিছু রাসায়নিক থাকে যা নখের সঙ্গে বিক্রিয়া করে এবং এর ফলে নখ নষ্ট হতে থাকে। এর কারণে সাদা দাগ দেখা যায়।
ছত্রাকের কারণে: Onychomycosis নামক একটি ছত্রাক সহজেই নখের পৃষ্ঠকে সংক্রমিত করতে পারে। এই সংক্রমণের প্রথম লক্ষণ হল নখের সাদা দাগ। এটি নখের উপর দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং নখ ধীরে-ধীরে পুরু ও ভঙ্গুর হতে পারে।
আঘাত: অনেক সময় আঘাতের কারণে নখের উপরিভাগ নষ্ট হয়ে যায় এবং তাতে সাদা দাগের মতো দাগ দেখা যায়। নখ বাড়ার সাথে সাথে এগুলোও বৃদ্ধি পায়। সাধারণত, দরজা কোণায় য় হাত লেগে আঘাত, আঙুল চাপা, ডেস্কের সাথে সংঘর্ষ ইত্যাদি কারণে এটি হতে পারে।
খুব বেশি ম্যানিকিওর করা: নিয়মিত ম্যানিকিওর করলে অতিরিক্ত চাপের কারণে নখে এমন সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। তাই অত্যধিক চাপ দিয়ে ম্যানিকিওর এড়িয়ে চলুন।
ওষুধ সেবন: অনেক সময় বিভিন্ন ওষুধের কারণেও নখে সাদা দাগ পড়তে পারে। উদাহরণস্বরূপ, ক্যান্সারের চিকিত্সার সময় কেমোথেরাপির পরে এই লক্ষণটি দেখা দেয়। এছাড়া কিডনি ফেইলিওর, হৃদরোগ, রক্তশূন্যতা, ডায়াবেটিস ইত্যাদি রোগেও এটা হতে পারে।
শরীরে মিনারেলের অভাব: শরীরে জিঙ্ক ও ক্যালসিয়ামের অভাবের কারণে নখে সাদা দাগ দেখা দিতে পারে। তাই খাদ্যতালিকায় ভারসাম্য বজায় রাখুন এবং সব ধরনের খাবার খান। অতএব, এই ধরনের উপসর্গ উপেক্ষা করার পরিবর্তে, আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।