Student Tortured: ঘুম থেকে উঠতে দেরি, গরম হাতা দিয়ে ১২ পড়ুয়ার হাত-পা পুড়িয়ে দিলেন শিক্ষক!
Gujarat: ওই আবাসিক স্কুলের শিক্ষক তথা প্রধান রঞ্জিত শোলাঙ্কি কমপক্ষে ১২ জন পড়ুয়াকে গরম হাতা দিয়ে ছ্যাঁকা দেন দেরি করে ঘুম থেকে ওঠার জন্য। যাদের ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়েছিল, তাদের সকলকে লাইন দিয়ে দাঁড় করিয়ে গরম হাতা দিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছ্যাঁকা দেন তিনি।
আহমেদাবাদ: ঘুম থেকে উঠতে দেরি, গরম স্টিলের হাতা দিয়ে ছ্যাঁকা দিয়ে দিলেন শিক্ষক! তাও আবার একজন বা দুইজনকে, কমপক্ষে ১২ জন পড়ুয়ার উপরে এই অত্যাচার চালালেন শিক্ষক। সবাইকে ভয়ও দেখিয়েছিলেন, বাড়ির লোকের কানে যেন এই বিষয়ে টু শব্দও না পৌঁছয়। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। এক পড়ুয়ার অভিভাবক ছেলের শরীরে পোড়া দাগ দেখতে পেয়েই পুলিশে অভিযোগ জানান। এরপরই আটক করা হয় অভিযুক্ত শিক্ষককে। ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটের সাবরকান্ত জেলার একটি আবাসিক স্কুলে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ওই স্কুলের বৈধ রেজিস্ট্রেশনও নেই।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ওই আবাসিক স্কুলের শিক্ষক তথা প্রধান রঞ্জিত শোলাঙ্কি কমপক্ষে ১২ জন পড়ুয়াকে গরম হাতা দিয়ে ছ্যাঁকা দেন দেরি করে ঘুম থেকে ওঠার জন্য। যাদের ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়েছিল, তাদের সকলকে লাইন দিয়ে দাঁড় করিয়ে গরম হাতা দিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছ্যাঁকা দেন তিনি। পড়ুয়াদের তিনি ভয় দেখিয়েছিলেন যে অভিভাবকের কাছে এই বিষয়ে নালিশ করলে আরও চরম শাস্তি দেবেন তিনি।
ভয়ে মুখ বন্ধই করেছিল পড়ুয়ারা। কিন্তু ১০ বছরের এক পড়ুয়ার বাবা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এসেই ছেলের হাতে ও পায়ে পোড়া দাগ দেখতে পান। জিজ্ঞাসা করলে ওই কিশোর জানায় যে অনেককেই এই ‘শাস্তি’ দেওয়া হয়েছে। এরপরই ওই ব্যক্তি আবাসিক স্কুলের প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশের তরফে অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করা হয়েছে। জেরায় জানা যায়, দুই মাস আগে পড়ুয়াদের গরম হাতা দিয়ে ছ্যাঁকা দিয়েছিলেন তিনি।
তদন্তে নেমে জানা যায়, ওই আবাসিক স্কুলের আদৌ কোনও লাইসেন্স নেই। এটি একটি গুরুকুল, একটি ট্রাস্ট পরিচালন করে। পড়ুয়াদের উপনিষদ, রামায়ণ ও বেদের শিক্ষা দেওয়ার জন্য তৈরি করা হয়েছিল গুরুকুল।