Nagpur: ১০০০ প্রতিযোগীকে হারিয়ে পেল বিদেশি সংস্থায় ৩৩ লক্ষ টাকার চাকরি, এই কারণে সুযোগ হাতছাড়া হল বেদান্তের

Nagpur: মাত্র দুই দিনেই ২০৬৬ লাইন কোড লিখে সেই প্রতিযোগিতায় জিতেও যায় নাগপুরের বেদান্ত। ৩৩ লক্ষ টাকার বেতনের চাকরির প্রস্তাব দেওয়া হয় তাঁকে।

Nagpur: ১০০০ প্রতিযোগীকে হারিয়ে পেল বিদেশি সংস্থায় ৩৩ লক্ষ টাকার চাকরি, এই কারণে সুযোগ হাতছাড়া হল বেদান্তের
প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 25, 2022 | 11:00 AM

নাগপুর: অনলাইন ক্লাসের ঠেলায় সারাদিন ঘরবন্দি হয়েই সময় কাটে। কর্মব্যস্ত মা-বাবাও।  নিজেকে ব্যস্ত রাখতেই মায়ের ল্যাপটপে খুটখাট কিবোর্ড টেপা শুরু করেছিল। একাধিক ওয়েবসাইট, ইউটিউব ঘাটতে ঘাটতে নজরে এসেছিল অনলাইন কোডিং শেখার বিষয়টি। দু-একটা অনলাইন প্রশিক্ষণ, বাকিটা নিজের আগ্রহেই শেখা। ইন্সটাগ্রামে একটি মার্কিন সংস্থার কোডিং প্রতিযোগিতার বিজ্ঞাপন দেখেই সেখানে নাম লিখিয়েছিল। মাত্র দুই দিনেই ২০৬৬ লাইন কোড লিখে সেই প্রতিযোগিতায় জিতেও যায় নাগপুরের বেদান্ত। ৩৩ লক্ষ টাকার বেতনের চাকরির প্রস্তাব দেওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু একটা তথ্য জেনেই সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে নেওয়া হয় সংস্থার তরফে। কারণ, জয়ী প্রার্থীর তো চাকরির বয়সই হয়নি। অনলাইন কোডিং প্রতিযোগিতায় ১ হাজার জনকে হারিয়ে, ৩৩ লক্ষ টাকার চাকরির প্রস্তাব পেয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে নাগপুরের বেদান্ত দেওকাটে। বয়স তাঁর মাত্র ১৫।

জানা গিয়েছে, স্কুল-পড়াশোনার ফাঁকেই সম্পূর্ণ নিজের ইচ্ছাতেই কোডিং শিখেছে দশম শ্রেণির পড়ুয়া বেদান্ত। সম্প্রতিই মায়ের ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্ট ঘাঁটতে গিয়েই একটি অনলাইন ওয়েব ডেভেলপমেন্ট প্রতিযোগিতার বিজ্ঞাপ্তি দেখেন ওই কিশোর। মা-বাবাকে না জানিয়েই সেই প্রতিযোগিতায় নাম লেখায়। মাত্র দুইদিনের মধ্য়েই ২০৬৬ লাইনের কোড লিখে ফেলে সে। বেদান্তের এই জ্ঞান ও দক্ষতা দেখে মুগ্ধ হয়ে যায় প্রতিযোগিতার আয়োজক মার্কিন সংস্থা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে বছরে ৩৩ লক্ষ টাকার বেতনের চাকরির প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু নিউ জার্সির ওই সংস্থাকে পরক্ষণেই সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে নিতে হয় যখন তারা জানতে পারেন, তাদের যোগ্য প্রার্থীর বয়স মাত্র ১৫।

তবে বেদান্তকে মন খারাপ করতে বারণ করা হয়েছে ওই সংস্থার তরফে। পড়াশোনা শেষ হলেই সে যেন ওই সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে। তাঁকে লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, “তোমার অভিজ্ঞতা, কর্মদক্ষতা ও কাজের মনোভাব দেখে আমরা মুগ্ধ।”

মায়ের পুরনো ও ধীর গতির ল্য়াপটপেই দুই ডজন অনলাইন টিউটোরিয়াল দেখেই কোডিং ও ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট সম্পর্কে ধারণা তৈরি হয় বেদান্তের। বাকিটুকু সে নিজের দক্ষতা ও আগ্রহেই শিখেছে। এদিকে, গোটা বিষয়টি সম্পর্কেই কিছু জানতেন না তাঁর মা-বাবা অশ্বীনী ও রাজেশ দেওকোটে। তাঁরা দু’জনই নাগপুরের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সহকারি অধ্যাপক। ছেলে যে প্রতিযোগিতায় নাম লিখিয়েছে, বিদেশি সংস্থায় চাকরির প্রস্তাব পেয়েছে, সে বিষয়ে কিছুই জানতেন না তাঁরা। স্কুলের মাধ্যমেই গোটা বিষয়টি জানতে পারেন। তবে ছেলেকে এবার ভাল ল্য়াপটপ কিনে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তাঁরা।