Terror Module Busted: নিশানা ছিল অমরনাথ যাত্রীরা, পাক নজরদারিতে কষছিল ছক! একসঙ্গে ৩টি জঙ্গি মডিউলের হদিশ পেল পুলিশ
Terror Module Busted: সোমবারই জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের অ্যাসিস্টেন্ট ডিরেক্টর মুকেশ সিং সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, "জম্মুতে তিনটি জঙ্গি মডিউলের খোঁজ মিলেছে। এই জঙ্গিদের পাকিস্তান থেকে নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালন করা হচ্ছিল।
কাশ্মীর: জঙ্গিদমন অভিযানে বড় সাফল্য পেল জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। সোমবারই পুলিশের তরফে জানানো হয়, একাধিক বড়সড় জঙ্গি মডিউলের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি সংগঠনের ওই মডিউলগুলি থেকে সাতজন জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, জম্মু জুড়ে ছড়িয়ে ছিল এই জঙ্গি মডিউল। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জম্মুর বিভিন্ন অংশ থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে প্রচুর অস্ত্র ও বিস্ফোরণের সরঞ্জামও।
সোমবারই জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের অ্যাসিস্টেন্ট ডিরেক্টর মুকেশ সিং সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, “জম্মুতে তিনটি জঙ্গি মডিউলের খোঁজ মিলেছে। এই জঙ্গিদের পাকিস্তান থেকে নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালন করা হচ্ছিল। অমরনাথ যাত্রী, নিরাপত্তা বাহিনী, সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও রাজনৈতিক নেতাদের নিশানা বানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল জঙ্গিদের। কিন্তু বড় কোনও বিপত্তি ঘটার আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে জঙ্গিদের।”
তিনি আরও বলেন, “আজকের সাংবাদিক বৈঠকে তিনটি জঙ্গি মডিউলের হদিশ পাওয়া নিয়ে কথা বলা হচ্ছে। এরমধ্যে দুটি রাজৌরিতে এবং একটি জম্মুতে ছিল। জম্মুর মডিউলটির পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন বসির সিজ়ান, যিনি আদতে ডোডার বাসিন্দা। এছাড়া এক লস্কর কম্যান্ডার, যিনি বর্তমানে পাকিস্তানে আত্মগোপন করে রয়েছেন এবং অ্যালবার্ট নামক কোড নামেই পরিচিত, তিনিও এই মডিউল পরিচালনায় সাহায্য করত।”
Terror module busted in Jammu, says ADGP @MukeshSinghIPS @JmuKmrPolice @igpjmu pic.twitter.com/N5TEQHSuBt
— Kashmir News Service (@KNSKashmir) July 19, 2022
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বসির ও পাক লস্কর কম্যান্ডার যে জঙ্গি মডিউল গঠন করেছিল জম্মুতে, তার নেতৃত্বে ছিল ফয়জল মনীর। বিগত দুই বছর ধরে তিনি পাকিস্তানি হ্যান্ডলারদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন। এই দুইজন ছাড়াও আরও চার-পাঁচজন জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা সকলেই জম্মু ও রাজৌরিতে জঙ্গি কার্যকলাপ পরিচালনার দায়িত্বে ছিল। এদের মধ্যে দুইজন, হাবিব ও মিঞা সুহেলকে পুলিশ ৪৫ দিন আগেই গ্রেফতার করেছিল কাঠুয়া থেকে। ড্রোনের মাধ্যমে পাকিস্তান থেকে যে অস্ত্র সরবরাহ করা হচ্ছিল, তা নিতে এসেছিল এই দুইজন। বিএসএফ গুলি করে ওই ড্রোন নামায় এবং এই দুইজনকে গ্রেফতার করে। বিগত দেড়ে বছরে তাঁরা পাকিস্তান থেকে কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ বার অস্ত্র আমদানি করেছে বলেই জানা গিয়েছে।