Rail Roko Protest: হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও রেললাইনেই বসে আন্দোলনকারীরা, ‘রেল রোকো অভিযানে’ কোন রাজ্যে পড়ছে কেমন প্রভাব?

Effect of Rail Roko Protest: সকাল ১০টা থেকে অবরোধ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ফিরোজপুর রেলওয়ে ডিভিশনের চারটি সেকশনে আন্দোলনকারীরা ভোর ৫টা ১৫ থেকে অবরোধ শুরু করেন। ফিরোজপুর-ফাজিলিকা ও ফিরোজপুর-লুধিয়ানা সেকশনের ট্রেন চলাচল সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।

Rail Roko Protest: হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও রেললাইনেই বসে আন্দোলনকারীরা, 'রেল রোকো অভিযানে' কোন রাজ্যে পড়ছে কেমন প্রভাব?
হরিয়ানায় ট্রেন লাইনে বসে আন্দোলনকারীরা। ছবি:ANI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 18, 2021 | 12:54 PM

নয়া দিল্লি: রেল রোকো অভিযানে (Rail Roko Protest) ব্য়াপক প্রভাবিত উত্তর পূর্ব ভারতের রেল চলাচল ব্যবস্থা (Northern Railway)। লখিমপুর কাণ্ডে (Lakhimpur Violence) সুবিচার ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্র(Ajay Mishra)-র ইস্তফার দাবিতে এ দিন দেশ জুড়ে রেল অবরোধের ডাক দিয়েছে আন্দোলনকারী কৃষকরা। এর জেরেই সকাল থেকে পঞ্জাব-হরিয়ানা সহ গোটা উত্তর পূর্ব ভারতের রেল চলাচল ব্যবস্থা ব্যহত হয়েছে।

উত্তর রেলওয়ের তরফে জানানো হয়েছে, এখনও অবধি ৩০টি জায়গায় রেল অবরোধের খবর পাওয়া গিয়েছে এবং মাত্র ৮ টি ট্রেন বাতিল করতে হয়েছে। পঞ্জাবে (Punjab) এ দিন সকাল থেকেই আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন রেলস্টেশনে বসে অবরোধ শুরু করেন। সকাল ১০টা থেকে অবরোধ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ফিরোজপুর রেলওয়ে ডিভিশনের চারটি সেকশনে আন্দোলনকারীরা ভোর ৫টা ১৫ থেকে অবরোধ শুরু করেন। ফিরোজপুর-ফাজিলিকা ও ফিরোজপুর-লুধিয়ানা সেকশনের ট্রেন চলাচল সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। অমৃতসরেও দেবী দাসপুরায় কৃষকরা রেললাইনে বসে অবরোধ করেন।

হরিয়ানা(Haryana)-র বাহাদুরগড়েও আন্দোলনকারীরা রেললাইনের উপর বসে লখিমপুর কাণ্ডে প্রতিবাদ প্রদর্শন করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সোনিপতে ব়্যাফও  নামানো হয়।

এ দিকে, উত্তর প্রদেশ(Uttar Pradesh)-এও রেল রোকো অভিযান ঘিরে অশান্তির আশঙ্কায় সকাল থেকেই ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এক জায়গায় চারজনের বেশি জমায়েত নিষিদ্ধ করেই আন্দোলনকারীদের নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রশাসনের তরফেও জানানো হয়েছে, যারাই শান্তভঙ্গের চেষ্টা করবে বা কোনও নিয়ম ভঙ্গ করবে, তাদের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হবে।  লখনউ পুলিশের তরফেও এদিন সকালেই হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে, যারাই রেল রোকো অভিযানে অংশ নেবে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।

সংযুক্ত কিসান মোর্চা(Samyukta Kisan Morcha)-র তরফে জানানো হয়েছে, লখিমপুরের ঘটনার তীব্র প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ইস্তফা ও বাকি অভিযুক্তদের গ্রেফতারির দাবিতে রেল রোকো অভিযানের পরিকল্পনা করা হয়েছে। আজ দেশজুড়ে কৃষকরা সকাল ১০টা থেকে ৪টে অবধি বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান বিক্ষোভ দেখিয়ে রেল অবরোধ করবে।

কৃষক সংগঠনের তরফে প্রকাশিত বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, কৃষি আইন প্রত্যাহার, লখিমপুর কাণ্ডে নিরপেক্ষ ও সুবিচার এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ইস্তপার দাবি নিয়েই রেল রোকো অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “অজয় মিশ্র তাঁর মন্তব্যের মাধ্যমে হিন্দু ও শিখদের মধ্যে হিংসা, শত্রুতা তৈরির চেষ্টা করেছেন। কৃষকরা যখন শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ দেখাচ্ছিল, তখনও ওনার গাড়িরই এসে তাদের চাপা দিয়েছে। পুলিশ সমন পাঠানোর পরও তিনি নিজের ছেলেকে বাঁচানোর ক্রমাগত চেষ্টা করে গিয়েছেন।”

ভারতীয় কিসান ইউনিয়েনের নেতা রাকেশ তিকাইত বলেন, “রাজ্য অনুযায়ী আন্দোলনও ভিন্ন হবে। কেন্দ্র এখনও আমাদের সঙ্গে কথা বলেনি। গোটা দেশের মানুষ জানুক, কেন আমরা রেল অবরোধ করছি।”