Manipur Violence: পুলিশের মৃত্যুর পরই মণিপুরে সেনা অভিযান, গ্রেফতার ৩২ মায়ানমার নাগরিক
মণিপুরের পুলিশ অফিসার ছিংথাম আনন্দ কুমার জানিয়েছেন, ডিউটির সময় স্নাইপার হামলায় ওই অফিসারের মৃত্যু হয়েছিল। স্কুলের মাঠে হেলিপ্যাড তৈরির কাজ পর্যবেক্ষণের সময় এই হামলা চালানো হয়। এই ঘটনার পর সে রাজ্যের প্রশাসন মোরে শহর এবং সংলগ্ন এলাকায় তল্লাশি অভিযানের নির্দেশ দেয়।
ইম্ফল: মণিপুরে ভারত-মায়ানমার সীমান্তে অবস্থিত মোরে শহরে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছিল এসডিপিও পদমর্যাদার পুলিশ অফিসারের। বেশ কয়েক জন পুলিশকর্মী আহতও হয়েছিলেন। সেই ঘটনার পর তল্লাশি অভিযানে নামে মণিপুর পুলিশের স্পেশ্যাল কমান্ডো, ইন্ডিয়ান রিজার্ভ ব্যাটেলিয়ন, অসম রাইফেলস এবং বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)। তল্লাশি অভিযানে নেমে মোরে শহর থেকে অন্তত ৪৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে ৩২ জন মায়ানমারের নাগরিক বলে জানা গিয়েছে।
কুকি মিলিট্যান্টরাই ওই পুলিশ অফিসারের উপর গুলি চালিয়েছিল বলে অভিযোগ। মণিপুরের পুলিশ অফিসার ছিংথাম আনন্দ কুমার জানিয়েছেন, ডিউটির সময় স্নাইপার হামলায় ওই অফিসারের মৃত্যু হয়েছিল। স্কুলের মাঠে হেলিপ্যাড তৈরির কাজ পর্যবেক্ষণের সময় এই হামলা চালানো হয়। এই ঘটনার পর সে রাজ্যের প্রশাসন মোরে শহর এবং সংলগ্ন এলাকায় তল্লাশি অভিযানের নির্দেশ দেয়। পুলিশ অফিসারকে হত্যায় যুক্তদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এর পরই যৌথ বাহিনীর অভিযানে গ্রেফতার হয়েছে ৩২ জন মায়ানমারের নাগরিক-সহ মোট ৪৪ জন।
পুলিশ অফিসারের মৃত্যু ঘিরে বুধবার রাতে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল ইম্ফলে। এক দল ক্ষুদ্ধ জনতা মুখ্যমন্ত্রীর অফিসের কাছে থানা ঘেরাও করে। ঘেরাও করে অস্ত্র এবং গুলির দাবি করতে থাকে। পরিস্থিতি এমন দিকে গড়িয়ে ছিল থানার অস্ত্রাগার লুট হওয়ার অবস্থা হয়। তখন জনতাকে হঠাতে শূন্যে গুলি চালায় পুলিশ। পুলিশ অফিসারের মৃত্যুর ঘটনার পর থেকে ফের কার্ফু জারি করা হয়েছে।
মে মাস থেকে কুকি এবং মেইতেই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত পরিস্থিতি মণিপুরে। গত কয়েক মাসে লাগাতার হিংসার ঘটনায় সেখানে ১৮০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। প্রচুর ঘর-বাড়ি আগুনে পুড়ে ছায় হয়েছে। মণিপুরেরক পরিস্থিতি নিয়ে উত্তাল হয়েছিল সংসদের বাদল অধিবেশন। কিন্তু এখনও সেখানে যে পুরোপুরি শান্তি ফেরেনি তা বুঝিয়ে দিচ্ছে এই সব ঘটনাক্রম।