Crime News: কালো ধোঁয়া বেরচ্ছিল, ঘরের দরজা খুলতেই দেখা গেল পড়ে আছে মহিলার ধর, উধাও কাটা মুণ্ডু ও হাত!
Murder Case: গত ২১ এপ্রিল মানেসরের একটি ফার্মহাউস থেকে এক মহিলার আধ কাটা দেহ উদ্ধার করা হয়। তাঁর মাথা ও দুটি হাত কাটা ছিল। প্রাথমিকভাবে পুলিশের সন্দেহ ছিল, ওই মহিলাকে অন্য কোথাও খুন করা হয়েছিল।
নয়া দিল্লি: খামারবাড়ির একটা ঘর থেকে গলগল করে বের হচ্ছিল কালো ধোঁয়া। প্রতিবেশীর নজরে পড়তেই সঙ্গে সঙ্গে খবর দেন খামারের মালিককে। আগুন লেগেছে, এই আশঙ্কাতেই ফোন পেয়ে ছুটে এসেছিলেন মালিক। কিন্তু ঘরের দরজা খুলতেই আত্মারাম খাঁচা ছাড়া হওয়ার জোগাড়! দেখলেন, ঘরের মধ্যে পড়ে রয়েছে এক মহিলার আধ পোড়া ধর। নেই মুণ্ড ও দুই হাত। কোনওমতে হুঁশ সামলে খবর দিয়েছিলেন পুলিশে। উদ্ধার হওয়া ওই দেহ ঘিরেই তৈরি হয়েছিল রহস্য। অবশেষে প্রায় এক সপ্তাহ বাদে খুনের রহস্যের কিনারা করল পুলিশ। জানানো হল, বছর ৩৪-র এক ব্যক্তিই তাঁর স্ত্রীকে খুন করে কেটে টুকরো করেন। এরপরে প্রমাণ লোপাট করতে দেহে আগুন লাগিয়ে দেন। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ (Police)।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির নিকটস্থ মানেসরে (Manesar)। গত ২১ এপ্রিল মানেসরের একটি ফার্মহাউস থেকে এক মহিলার আধ কাটা দেহ উদ্ধার করা হয়। তাঁর মাথা ও দুটি হাত কাটা ছিল। প্রাথমিকভাবে পুলিশের সন্দেহ ছিল, ওই মহিলাকে অন্য কোথাও খুন করা হয়েছিল। এরপরে তাঁর দেহ ফার্মহাউসের একটি ঘরে এনে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এরপরে তল্লাশি চালিয়ে তিনদিন পর পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকেই ওই মহিলার কাটা মুণ্ডু উদ্ধার করা হয়।
কাটা মুণ্ডু উদ্ধার হতেই মহিলার নাম ও পরিচয় জানা যায়। এরপরই তাঁর স্বামী জিতেন্দরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়। প্রথমে অস্বীকার করলেও, জেরাতেই অভিযুক্ত খুনের কথা স্বীকার করে নেয়। জানা গিয়েছে, জিতেন্দর দিল্লির গান্ধী নগরের বাসিন্দা। তবে মানেসরে ওই ফার্মহাউসের একটি কামরাতেই তিনি স্ত্রীকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন।
গত ২১ এপ্রিল প্রতিবেশী মারফত খবর পেয়েই ফার্মহাউসে আসেন মালিক উমেদ সিং। তিনিই মৃতদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০১ (খুন) ও ৩০২ (প্রমাণ লুকোনো) ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। গত বুধবার খেরকি এলাকা থেকে ওই মহিলার কাটা মুণ্ড উদ্ধারের পরই তাঁর স্বামীকে জেরা করা হয়। জেরায় অভিযুক্ত জানিয়েছেন, তিনি নিজেই স্ত্রীতে খুন করেন এবং তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করেন। কাটা মাথা ও হাতগুলি বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ো ছিটিয়ে ফেলে দিতে আসেন। ধর লোপাট করতে না পেরে তাতে আগুন ধরিয়ে দেন। তবে কী কারণে তিনি স্ত্রীকে খুন করেছেন, তা এখনও জানা যায়নি।