Bihar RJD: মহারাষ্ট্রের পর কি বিহারে পালাবদল? ভাঙল মিমের ঘর, একক বৃহত্তম দল এখন লালুপ্রসাদের আরজেডি

Bihar RJD: বুধবার বিহারের পাঁচ এআইমিম বিধায়কদের মধ্যে চারজন যোগ দিলেন রাষ্ট্রীয় জনতা দল বা আরজেডি-তে। ফলে রাজ্য বিধানসভায়, বিজেপিকে পিছনে ফেলে একক বৃহত্তম দল হয়ে উঠল লালুপ্রসাদ যাদবের দল।

Bihar RJD: মহারাষ্ট্রের পর কি বিহারে পালাবদল? ভাঙল মিমের ঘর, একক বৃহত্তম দল এখন লালুপ্রসাদের আরজেডি
ছবি সৌজন্যে : PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 29, 2022 | 4:41 PM

পটনা: মহারাষ্ট্রের পর কি এবার বিহারের পালা? শিবসেনা বিধায়কদের বিদ্রোহে মহারাষ্ট্রের সরকার এখন টলোমলো। এর মধ্যেই, বুধবার বিহারের রাজনৈতিক মহলেও ঘটে গেল বড় পরিবর্তন। রাজ্যের পাঁচ অল ইন্ডিয়া মজলিস-এ-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন বা এআইমিম দলের বিধায়কদের মধ্যে চারজনই এদিন রাষ্ট্রীয় জনতা দল বা আরজেডি-তে যোগ দিলেন। ফলে রাজ্য বিধানসভায়, বিজেপিকে পিছনে ফেলে একক বৃহত্তম দল হয়ে উঠল লালুপ্রসাদ যাদবের দল। আরজেডি নেতা তথা বিহার বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদব বলেছেন, ‘বিহারের পাঁচজন এআইমিম বিধায়কের মধ্যে চারজন আজ আমাদের দলে যোগ দিয়েছেন। আমরা তাঁদের স্বাগত জানাই। এখন আমরা বিহার বিধানসভার বৃহত্তম দল।’

যে চার এআইমিম বিধায়ক এদিন আরজেডি-তে যোগ দিলেন, তাঁরা হলেন – জোকিহাটের শাহনওয়াজ আলম, কোচধামনের মহম্মদ ইজহার আস্পি, বাহাদুরগঞ্জের মহম্মদ আনজার নইমি এবং বেয়াসি থেকে সৈয়দ রুকনদ্দিন আহমেদ। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনা আসাদউদ্দিন ওয়াইসির পক্ষে একটি বড় ধাক্কা। কারণ বিহার বিধানসভায় এখন তাঁর দলের মাত্র একজন বিধায়কই রইলেন – আমৌর আসনের বিধায়ক আখতারুল ইমান। তবে, তিনিও আর কতদিন মিমের পতাকা বহন করবেন, তাই নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। সম্প্রতি তিনি জানিয়েছেন, তাঁর কাছেও বড় দলগুলির বিভিন্ন প্রস্তাব আসেছে। মজার বিষয় হল, ২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে, অন্তত ২০ টি আসনে এআইমিম তাদের ভোট কাটায়, পরাজিত হয়েছিলেন আরজেডি প্রার্থীরা।

কিন্তু, কেন হঠাৎ মিম ছেড়ে আরজেডি-তে গেলেন চার বিধায়ক? সূত্রের খবর, চলতি মাসের শুরু থেকেই আরজেডির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন তাঁরা। ২০২০-র বিহারের সাফল্যে উৎসাহিত হয়ে, ২০২১-এর উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে ৯০টিরও বেশি আসনে প্রার্থী দিয়েছিলেন আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। তবে তারা একটিও আসনে জিততে পারেনি। এরপরই, বিহারের এআইমিম বিধায়করা আশঙ্কা করছেন, আগামী বিহার নির্বাচনে ভোটাররা মিমের উপর আর আস্থা রাখবেন না। তাই, নিজেদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতেই আরজেডিতে যোগ দিলেন তাঁরা।

নতুন ৪ বিধায়কের যোগদানের ফলে ২৪৩ সদস্যের বিহার বিধানসভায় আরজেডি বিধায়কের সংখ্যা দাঁড়ালো ৭৯। ২০২০ সালের ভোটের বিজেপি জিতেছিল ৭৪টি আসনে। চলতি বছরের মার্চে বিকাশশীল ইনসান পার্টির ৩ বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দেওয়ায়, বিজেপি বিধায়কের সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ৭৭। অর্থাৎ, এদিনের আগে পর্যন্ত বিধানসভায় বিজেপিই ছিল বৃহত্তম দল। এছাড়া বিহার বিধানসভায় জেডি(ইউ)-এর আছে ৪৫ জন বিধায়ক, কংগ্রেসের ১৯ জন এবং বাম দলগুলির ১৫ জন।

এনডিএ জোটের মোট বিধায়ক সংখ্যা ১২৫। এদিনের পর মহাজোটের বিধায়ক সংখ্যা দাঁড়ালো ১১৪। ফলে এখনও নিরাপদেই রয়েছে নীতীশ সরকার। তবে, নীতীশ কুমারের সঙ্গে বিজেপির সম্পর্ককে স্বাভাবিক বলা যাবে না। এনডিএ জোটে থেকেও নিয়মিত বিজেপির সমালোচনা করে যান নীতীশ। রাজ্যের বিজেপি নেতারাও, একেবারে শুরু থেকেই মুখ্যমন্ত্রী পদে বিজেপিরই কোনও মুখকে দেখতে চান। মঙ্গলবারই অবশ্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান সাফ জানিয়েছেন, পুরো পাঁচ বছরের মেয়াদেই মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকবেন নীতীশ। আগামী কয়েক দিনে বিহারে আর কী ঘটে, এখন সেটাই দেখার।