করোনাকালে নতুন ব্যবসা, শ্মশানে মৃতদেহের কাপড় চুরি করে ধোলাই করে বিক্রি, ধৃত ৭

সারাদিন শ্মশানেই ঘোরাফেরা করত ওই সাতজন। সুযোগ পেলেই মৃতদেহের গা থেকে চাদর, জামা, শাড়ি ও অন্যান্য জিনিসপত্র চুরি করত। জেরায় জানা গিয়েছে, করোনারালে নয়, দীর্ঘ ১০ বছর ধরে তাঁরা এই কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

করোনাকালে নতুন ব্যবসা, শ্মশানে মৃতদেহের কাপড় চুরি করে ধোলাই করে বিক্রি, ধৃত ৭
জামাকাাপড় সহ ধৃত ব্যক্তিরা।
Follow Us:
| Updated on: May 10, 2021 | 9:15 AM

বাগপত: করোনাকালে ওষুধ বা অক্সিজেন নিয়ে কালোবাজারির কথা শুনেছেন, কিন্তু মৃতদেহের চাদর, জামাকাপড় চুরির কথা কখনও শুনেছেন? এমনই ঘটনা ঘটেছে উত্তর প্রদেশের বাগপতে। শ্মশানে মৃতদেহের জামাকাপড়, চাদর চুরি করার অভিযোগে হাতেনাতে ধরা পড়ে সাত ব্যক্তি।

জেলা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, সারাদিন শ্মশানেই ঘোরাফেরা করত ওই সাতজন। সুযোগ পেলেই মৃতদেহের গা থেকে চাদর, জামা, শাড়ি ও অন্যান্য জিনিসপত্র চুরি করত। জেরায় জানা গিয়েছে, করোনারালে নয়, দীর্ঘ ১০ বছর ধরে তাঁরা এই কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

তবে এই জামা-কাপড় দিয়ে করতেন কী, এই প্রশ্ন করতেই আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে। জানা যায়, চুরি করে আনা জামা কাপড়গুলিকে ভালভাবে ধুয়ে, ইস্ত্রি করে গোয়ালিয়রের এক সংস্থার লেবেল লাগিয়ে বিক্রি করতেন তারা। এদের সঙ্গে ওই এলাকারই কাপড় ব্যবসায়ীর যোগসাজোসেরও প্রমাণ মিলেছে, যারা প্রতিদিন জামা কাপড় চুরি করার বদলে প্রতিদিন ৩০০ টাকা দেওয়া হত।

পুলিশ জানায় রবিবার ধৃত ব্যক্তিদের কাছ থেকে ৫২০টি বিচানার চাদর, ২৭টি কুর্তা ও ৫২ টি সাদা শাড়ি উদ্ধার হয়েছে। একই পরিবারের ওই সাত সদস্য করেনাকালেও কালোবাজারি চালানোয় তাঁদের বিরুদ্ধে মহামারী আইনেও অভিযোগ দায়ের করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: অভিমানে আত্মঘাতী কিশোরী, টাকা না থাকায় ময়নাতদন্ত করাতে মৃতদেহ ৩৫ কিমি কাঁধে বয়েই নিয়ে গেলেন বাবা