Digital Rape: ‘ডিজিটাল ধর্ষণের’ অভিযোগে গ্রেফতার ৮১ বছরের চিত্রশিল্পী, ৭ বছর ধরে মুখ বন্ধ রেখেছিল নাবালিকা
Digital Rape: ৭ বছর ধরে এক ১৭ বছরের কিশোরীকে 'ডিজিটাল ধর্ষণ' করার অভিযোগে রবিবার, উত্তরপ্রদেশের নয়ডাতে গ্রেফতার করা হল এক ৮১ বছরের চিত্রশিল্পীকে। কাকে বলে 'ডিজিটাল ধর্ষণ'?
নয়ডা: ৭ বছর ধরে এক ১৭ বছরের কিশোরীকে ‘ডিজিটাল ধর্ষণ’! রবিবার, উত্তরপ্রদেশের নয়ডায় গুরুতর অভিযোগে গ্রেফতার হল এক ৮১ বছর বয়সী চিত্রশিল্পী। গৌতম বুদ্ধ নগরের পুলিশ জানিয়েছে, নির্যাতিতা কিশোরী এক অভিভাবিকাকে নিয়ে ওই চিত্রশিল্পীর সঙ্গেই থাকত। বস্তুত হিমাচল প্রদেশে ওই চিত্রশিল্পীর একটি অফিস রয়েছে। নির্যাতিতা, ওই অফিসের এক কর্মীরই মেয়ে। নয়ডায় ভাল মানের পড়াশোনার সুযোগ পাবে বলেই, তাকে ওই চিত্রশিল্পীর সঙ্গে থাকতে পাঠিয়েছিল তার বাবা।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত চিত্রশিল্পীর নাম মরিস রাইডার। নয়ডায় ওই নাবালিকার স্থানীয় অভিভাবক ছিলেন যে মহিলা, তাঁর সঙ্গে অভিযুক্ত চিত্রশিল্পীর অন্তত ২০ বছরের বন্ধুত্ব ছিল। আর সেই ভরসাতেই নাবালিকাকে নিয়ে ওই চিত্রশিল্পীর বাড়িতে থাকতেন তিনি। তবে, শুরু থেকেই প্রবীন চিত্রশিল্পীর কুনজর ছিল ওই নাবালিকার উপর। প্রথম থেকেই শুরু হয়েছিল যৌন হেনস্থা। এমনকি, মেয়েটি প্রতিরোধ করলে, তাকে মারধরও করত ওই চিত্রশিল্পী, এমনটাই অভিযোগ করেছে ওই নাবালিকা। তারপরও, দীর্ঘ ৭ বছর ধরে মুখ বন্ধ রেখেছিল সে। ভয় ছিল, প্রতিষ্ঠিত ওই শিল্পীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে, তার কথা কেউ বিশ্বাস করবে না।
সম্প্রতি অবশ্য ভয় কাটিয়ে মেয়েটি, অভিযুক্ত মরিস রাইডারের যৌন নির্যাতনের প্রমাণ সংগ্রহ করা শুরু করেছিল। পুলিশ জানিয়েছে, চিত্রশিল্পী তার দিকে অগ্রসর হলেই, মেয়েটি তার অডিও রেকর্ড করত। এইভাবে বেশ কিছু প্রমাণ সংগ্রহ করার পর, সে তার অভিভাবিকার কাছে পুরো বিষয়টি খুলে বলেছিল। দীর্ঘদিনের বন্ধু হলেও, এরপর ওই চিত্রশিবল্পীর বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন ওই মহিলা। রবিবার, তাকে গ্রেফতার করে গৌতম বুদ্ধ থানার পুলিশ। প্রবীন চিত্রশিল্পীর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির আওতায় ধর্ষণ, স্বেচ্ছায় আঘাত করা, অপরাধমূলক ভয় দেখানোর অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে পকসো আইনের দুটি ধারাতেও মামলা করা হয়েছে। স্থানীয় আদালত তাকে ১৪ দিনের জন্য বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
ডিজিটাল ধর্ষণ কী?
‘ডিজিটাল ধর্ষণ’ শব্দের অর্থ হাত বা পায়ের আঙ্গুল ব্যবহার করে একজন মহিলা বা মেয়ের সঙ্গে জোর করে যৌন সম্পর্ক স্থাপন বা অনুপ্রবেশ ঘটানো। ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ডিজিটাল ধর্ষণকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারা অনুযায়ী সংজ্ঞায়ীত ধর্ষণের আওতায় ধরা হত না। তবে, ওই বছর দিল্লির নির্ভয়া গণধর্ষণ কাণ্ড পরিস্থিতি বদলে দিয়েছল। ওই ঘটনার পর থেকে ফৌজদারি আইনে সংস্কার করে ‘ডিজিটাল ধর্ষণ’কেও যৌন অপরাধের শ্রেণীভুক্ত করা হয়েছিল। সেই থেকে ভারতে ডিজিটাল ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধেও ৩৭৬ ধারার অধীনেই মামলা করা হয়। তবে, ডিজিটাল ধর্ষণের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার হার তুলনামূলকভাবে কম হয়।