Instagram Tragedy: বউয়ের ইনস্টাগ্রাম রিল থেকেই হল সর্বনাশ, স্বামী নিলেন চরম সিদ্ধান্ত
Instagram Obsession: বাড়ির কাছেই একটি গাছের থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় ওই ব্যক্তির দেহ। স্থানীয় থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে কোনও সুইসাইড নোট অবশ্য পাওয়া যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, পারিবারিক অশান্তির জেরেই আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন ওই ব্যক্তি।
কর্নাটক: বউ সারাক্ষণ মোবাইল হাতে ইনস্টাগ্রামের রিল বানাতে ব্যস্ত। স্বামীর জন্য যেন সময়ই নেই। আর এই আক্ষেপেই এবার আত্মহত্যা করে বসলেন বছর চৌত্রিশের ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকের চামরজানগরায়। সেখানে হানুরু এলাকায় বাড়ির কাছেই একটি গাছের থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় ওই ব্যক্তির দেহ। স্থানীয় থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে কোনও সুইসাইড নোট অবশ্য পাওয়া যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, পারিবারিক অশান্তির জেরেই আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন ওই ব্যক্তি।
কুমার নামে ওই ব্যক্তি কর্নাটকে কুলির কাজ করতেন। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, স্ত্রীর সারাক্ষণ সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ গুঁজে বসে থাকা মোটেই পছন্দ করতেন না কুমার। তাঁর স্ত্রী সারাক্ষণ মোবাইলে ব্যস্ত থাকতেন। ইনস্টাগ্রামে রিলস বানাতেন আর সেগুলি আপলোড করতেন। এসব নিয়ে পরিবারে অশান্তি লেগেই থাকত। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, তদন্তে উঠে এসেছে ওই ব্যক্তি একাধিকবার স্ত্রীকে বারণ করেছিলেন। কিন্তু সে সবের তোয়াক্কা করেননি স্ত্রী। মাঝে মধ্যেই সংসারে ঝামেলা বাঁধত এই নিয়ে। কুমারও স্ত্রীকে রিলস বানাতে দেবে না, আবার স্ত্রীও কুমারের কথা শুনতে চায় না।
জানা যাচ্ছে, সম্প্রতি এই নিয়ে বেশ কয়েকবার অশান্তি হয়েছে কুমারের বাড়িতে। কিন্তু কিছুতেই স্ত্রীর মতি ফেরাতে না পেরে, অবশেষে চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন কুমার। বাড়ির কাছেই এই গাছ থেকে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। যদিও ঘটনাস্থল থেকে কোনও সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়নি বলেই জানাচ্ছে পুলিশ।