Abhishek Banerjee: সুপ্রিম ধাক্কা অভিষেকের, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেরা করতে পারবে ইডি
Abhishek Banerjee: শীর্ষ আদালতের তরফে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কোনও রক্ষাকবচ দেওয়া হল না। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের এই নির্দেশ।
নয়া দিল্লি: সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্ত চালাতে পারবে ইডি। শীর্ষ আদালতের তরফে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কোনও রক্ষাকবচ দেওয়া হল না। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের এই নির্দেশ। কলকাতা হাইকোর্ট অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জরিমানা নির্দেশ দিয়েছিল। তা অবশ্য খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টে কুন্তলের চিঠি সংক্রান্ত অভিষেকের মামলার শুনানি ছিল। প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে চলে সওয়াল জবাব। অভিষেকের পক্ষে সওয়াল করে আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি।
প্রসঙ্গত, নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় ধৃত তৃণমূলের বহিষ্কৃত নেতা কুন্তল ঘোষের চিঠি মামলায় ইডি ও সিবিআই তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেরা করতে পারবে বলে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চ। (যদিও এই মামলায় প্রথমে এই একই নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। যদিও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সেই মামলা চলে যায় বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে।) কুন্তল ঘোষের মামলায় তাঁকে ইডি-সিবিআই-এর জেরা করার নির্দেশ পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক।
প্রথমে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি জেকে মাহেশ্বরী এবং বিচারপতি পিএস নরসিমহার অবকাশকালীন বেঞ্চে মামলাটি ওঠে। বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ ছিল, অবকাশকালীন বেঞ্চ একক বেঞ্চের রায়ে হস্তক্ষেপ করবে না। এরপর সোমবার মামলাটি ওঠে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। এদিনের সওয়াল জবাবের পর দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয়, নিয়োগ মামলায় অভিষেককে জেরা করতে পারবে সিবিআই এবং ইডি। সোমবার শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয়, হাই কোর্টের একক বেঞ্চে আবার যেতে পারেন মামলাকারী। পুনরায় সিদ্ধান্ত নিতে পারে হাই কোর্ট।
মামলার প্রেক্ষাপট
গত ৩০ মার্চ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত কুন্তল ঘোষ দাবি করেন, তাঁকে নিয়ে তদন্তকারীরা জোর করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলানোর চেষ্টা করছেন। এদিকে, ঠিক তার আগের দিনই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শহিদ মিনার থেকে বলেছিলেন, জেলে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের মুখে থেকে তাঁর নাম জোর করে বলানোর চেষ্টা করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। কাকতালীয় দুটি ঘটনা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়। এর মধ্যেই আলিপুর আদালতের বিচারককে চিঠি লেখেন কুন্তল।
বিষয়টি নিয়ে জল ঘোলা হয়। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ ছিল, ইডি-সিবিআই প্রয়োজনে অভিষেককে জেরা করতে পারেন। সেই বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে মামলা যায় সুপ্রিম কোর্টে। আবার তা হাইকোর্টে ফিরে আসে। বদলায় বেঞ্চ। আবার সেই একই নির্দেশ। তারপর আবারও মামলাটি যায় সুপ্রিম কোর্টে। এদিন আদালতে আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি সওয়াল করেন, বার বার অভিষেককে ডেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা জেরা করার নামে হেনস্থা করা হচ্ছে। তিনি এ-ও বলেছিলেন, অভিষেক আশঙ্কা করছেন, পরের বার তাঁকে গ্রেফতার করা হবে। গোটা বিষয়টি শোনে সুপ্রিম কোর্টে। তারপরও সেই একই নির্দেশ বহাল থাকে।