Abhishek in Opposition Meeting: রাইসিনার লড়াইয়ে রণকৌশল কী? পাওয়ারের ডাকা বৈঠকে মমতার বদলে অভিষেক
President Election: মমতার বদলে বৈঠকে তৃণমূলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন দলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় সূত্র মারফত এমনই জানা গিয়েছে। রবিবারই ত্রিপুরায় উপনির্বাচনের প্রচারে পড়শি রাজ্যে যাচ্ছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। এরপর ত্রিপুরা থেকে সোজা দিল্লিতে যাবেন অভিষেক।
নয়া দিল্লি : নজরে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। রাইসিনার দৌড়ে কে হবে বিরোধীদের মুখ, তা নিয়ে অ-বিজেপি দলগুলির মধ্যে যাতে কোনও মতানৈক্য না হয়, তার জন্য মঙ্গলবারই রাজধানীতে বৈঠকে বসছে বিরোধী দলগুলি। জানা গিয়েছে, ওই বৈঠকের পৌরহিত্য করবেন এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার। বিরোধী ঐক্যে শান দিতে কী হবে অ-বিজেপি দলগুলির কৌশল? সেই দিকেই নজর রাজ্যনৈতিক মহলের। কিন্তু সেই বৈঠকে থাকছেন না তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে মমতার বদলে বৈঠকে তৃণমূলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন দলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় সূত্র মারফত এমনই জানা গিয়েছে। রবিবারই ত্রিপুরায় উপনির্বাচনের প্রচারে পড়শি রাজ্যে যাচ্ছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। এরপর ত্রিপুরা থেকে সোজা দিল্লিতে যাবেন অভিষেক।
উল্লেখ্য, এর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্ব একদফা বৈঠক হয়ে গিয়েছে বিরোধী দলগুলির। এরপর আরও একদফা বৈঠকে বসতে চলেছে অ-বিজেপি দলগুলি। তবে এবার আর বৈঠকে থাকছেন না মমতা। তাঁর বদলে, তৃণমূলের হয়ে শরদ পাওয়ারের বৈঠকে থাকবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনীতির কারবারিদের একাংশের মতে, শরদ পাওয়ারের ডাকা এই বৈঠকে যদি তৃণমূলের প্রতিনিধিত্ব না থাকত, তাহলে সারা দেশে একটি বার্তা যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল, যে বিরোধী ঐক্যে ফাটল ধরাতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই বার্তা যাতে কোনওভাবে না ছড়ায়, তা নিশ্চিত করতেই পাওয়ারের এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দীর্ঘদিন ধরে বিরোধী ঐক্যে শান দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এদিকে কংগ্রেস তথা অন্যান্য বেশ কিছু বিরোধী দলের তরফ থেকে অতীতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে বিরোধী ঐক্যে ফাটল ধরানোর চেষ্টার। এমন পরিস্থিতিতে সেই ফাটল ধরানোর দায় যাতে কোনওভাবেই তৃণমূলের উপর না বর্তায়, তা নিশ্চিত করতেই অভিষেক দিল্লির বৈঠকে যাচ্ছেন বলে মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।
তবে বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “ওনাদের তো ঘোড়াই পালিয়ে যাচ্ছে। এর আগে ফারুক আবদুল্লাহকে তাঁরা রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী করে চিহ্নিত করলেন। কিন্তু তিনি পালিয়ে গেলেন, লড়াই করারই সাহস দেখালেন না। আবার নতুন একজনের নাম দেবেন, তাঁরাও পালাবেন। চিন্তা নেই।”