China Pneumonia: চিনে শিশুদের রহস্যময় নিউমোনিয়া কতটা ভয়াবহ? জানাল এইমস
AIIMS: করোনা মহামারীর পর আরও একটি আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা বিশ্বে। এবারও চিন থেকে শুরু হয়েছে নতুন রোগ। চিনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত লিয়াওনিং প্রদেশের শিশুদের মধ্যে নিউমোনিয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। শিশুদের ফুসফুসে ফুলে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট ও কাশির ঘটনা দ্রুত বাড়ছে।
নয়া দিল্লি: করোনা মহামারীর পর আরও একটি আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা বিশ্বে। এবারও চিন থেকে শুরু হয়েছে নতুন রোগ। চিনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত লিয়াওনিং প্রদেশের শিশুদের মধ্যে নিউমোনিয়ার (Pneumonia) ঝুঁকি বাড়ছে। শিশুদের ফুসফুসে ফুলে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট ও কাশির ঘটনা দ্রুত বাড়ছে। যা নিয়ে ভারত তথা গোটা বিশ্বে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। আবার কি মহামারী আসছে? এমন আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে। তবে এই বিষয়ে অনেকটাই স্বস্তির বার্তা দিল AIIMS।
চিনে শিশুদের মধ্যে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া নিউমোনিয়া সম্পর্কে AIIMS-এর মা ও শিশু ব্লকের প্রধান ডা. এসকে কাবরা বলেছেন যে, এখন পর্যন্ত শিশুদের মধ্যে শ্বাসযন্ত্রের রোগ এবং নিউমোনিয়ার যে প্রকোপ দেখা গিয়েছে, সেখানে কোনও নতুন বা অন্য ধরনের ভাইরাস মেলেনি। এটা অক্টোবর-নভেম্বর মাসের সাধারণ ঘটনা বলা যায়। তবে এটি কোভিডের মতো মহামারীর কারণ হবে কিনা সে বিষয়ে এখনই কিছু নিশ্চিত করে বলতে নারাজ তিনি। তবে এখনও পর্যন্ত সেই সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছেন ডা. কাবরা।
অন্যদিকে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও (WHO) শিশুদের মধ্যে শ্বাসযন্ত্রের রোগের প্রকোপের জন্য মাইকোপ্লাজমা নিউমোনিয়াকে দায়ী করেছে। হু-র মতে, মাইকোপ্লাজমা নিউমোনিয়া একটি সাধারণ ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ, যা সাধারণত ছোট বাচ্চাদের প্রভাবিত করে।
চিনে কেন শিশুদের মধ্যে ইনফ্লুয়েঞ্জা বাড়ছে?
চিনে ইনফ্লুয়েঞ্জা, মাইকোপ্লাজমা নিউমোনিয়া, রেসপিরেটরি সিনসিটিয়াল ভাইরাস (RSV) এবং SARS-CoV-2 -এর মতো শ্বাসযন্ত্রের রোগের প্রকোপ বৃদ্ধির জন্য লকডাউনকেই দায়ী করছেন এইমস-এর চিকিৎসক।
লকডাউন উঠে যাওয়ার পর প্রথম শীত
ডাঃ কাবরা বলছেন যে, চিনে শ্বাসযন্ত্রের রোগে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি। এর জন্য চিন সরকারের গৃহীত কিছু সিদ্ধান্ত দায়ী হতে পারে। তাঁর মতে, চিন গত বছরের ডিসেম্বরে লকডাউন তোলে। ফলে লকডাউন উঠে যাওয়ার পর চিনে এটাই প্রথম শীতের মরশুম। দীর্ঘদিন লকডাউন থাকার ফলে শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটাই কম গড়ে উঠেছে। তাই তারা এই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।
পরিসংখ্যান তুলে ধরে ডা. কাবরা আরও জানান, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা না থাকায় ৫ বছরের কম বয়সি শিশুদের মধ্যে সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। ৫ বছরের বেশি বয়সি শিশুদের মধ্যে সংক্রমণের হার অনেকটাই কম। তবে ধীরে-ধীরে শিশুদের মধ্যেও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠবে এবং বিশেষ কোনও সমস্যা হবে না বলে মনে করছেন তিনি।
সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ
চিনে সংক্রমিত নিউমোনিয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার বার্তা না দিলেও সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন ডা. কাবরা। তিনি জানান, কোনও শিশু ইনফ্লুয়েঞ্জায় সংক্রমিত হলে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত বাড়ির বাইরে যেতে দেওয়া উচিত নয়। এছাড়া মাস্ক পরা, দূরত্ব মেনে চলা এবং স্যানিটাইজার ব্যবহারের উপরেও জোর দিয়েছেন তিনি।