Jharkhand Trust Vote: গদি নিয়ে টানাটানির মাঝেই আজ অগ্নিপরীক্ষা সোরেনের, পারবেন সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে?

Jharkhand Trust Vote: আস্থাভোটের ঘোষণা হতেই রবিবার রাজ্যে ফিরে আসেন জেজেএম ও কংগ্রেসের বিধায়করা। রাতে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন সমস্ত বিধায়কদের নিয়ে জরুরি বৈঠকেও বসেন।

Jharkhand Trust Vote: গদি নিয়ে টানাটানির মাঝেই আজ অগ্নিপরীক্ষা সোরেনের, পারবেন সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে?
অলঙ্করণ: অভিজিৎ বিশ্বাস।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 05, 2022 | 1:27 PM

রাঁচী: মুখ্যমন্ত্রীর গদি নিয়ে চলছে টানাটানি, এরইমাঝে আজ অগ্নিপরীক্ষা হেমন্ত সোরেনের। ঝাড়খণ্ডের জনমুক্তি মোর্চা-কংগ্রেসের জোট সরকারকে ভেঙে ফেলার চেষ্টা করছে বিজেপি, এমনটাই অভিযোগ এনেছিলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। আজ ঝাড়খণ্ডের বিধানসভায় আস্থাভোটেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে শাসক দলকে।

আস্থাভোটের জন্যই আজ একদিনের বিশেষ অধিবেশনের আয়োজন করা হয়েছে। এদিকে, বিজেপি দল ভাঙানোর চেষ্টা করছে, এই অভিযোগেই গত সপ্তাহে ঝাড়খণ্ড জনমুক্তি মোর্চা ও কংগ্রেসের বিধায়কদের প্রতিবেশী রাজ্য ছত্তীসগঢ়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ওই ৩০ জন বিধায়কদেরও রবিবার রাতেই রাজ্যে ফিরিয়ে আনা হয়। রাতেই বিধায়কদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন।

অগস্ট মাসের শেষ ভাগ থেকেই মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের গদি নিয়ে টানাটানি শুরু হয়েছিল। বিজেপির তরফে বেআইনিভাবে খনি নিজের নামে ইজারা নেওয়ার অভিযোগ আনা হয় হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ জানিয়ে রাজ্য়পাল ও জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে চিঠি পাঠানো হয়। গত সপ্তাহেই জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে একটি চিঠি পাঠানো হয়। রাজ্যপাল রমেশ বইসের কাছেই ওই মুখ বন্ধ খাম রয়েছে। ওই চিঠিতেই মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বিধায়ক পদ থাকবে কিনা, তার উত্তর লুকিয়ে রয়েছে।

অন্যদিকে, হেমন্ত সোরেন ও তাঁর দলের তরফে অভিযোগ আনা হয়েছে যে বিজেপি এই সঙ্কটের সুযোগ নিয়েই সরকার ভাঙার চেষ্টা করছে। মধ্য প্রদেশ, কর্নাটক ও সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের মতো বিধায়কদের ভাঙিয়ে নিজেদের দলে টেনে সরকার ভাঙার চেষ্টা করা হচ্ছে।  বিধায়কদের দলবদল রুখতেই গত ৩০ অগস্ট ছত্তীসগঢ়ের রাজধানী রায়পুরে একটি রিসর্টে ৩২ জন বিধায়ককে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পরে রাজ্যের দুই মন্ত্রীকেও পাঠানো হয় সেখানে থাকার জন্য।

আস্থাভোটের ঘোষণা হতেই রবিবার রাজ্যে ফিরে আসেন জেজেএম ও কংগ্রেসের বিধায়করা। রাতে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন সমস্ত বিধায়কদের নিয়ে জরুরি বৈঠকেও বসেন। জানা গিয়েছে, আজ আস্থাভোট নিয়ে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী হেমন্ত সোরেন। আস্থাভোটের পরই তিনি ওবিসি সংরক্ষণ সহ একাধিক বিল পেশ করতে পারেন।

প্রসঙ্গত, ঝাড়খণ্ডের শাসকজোটের কাছে মোট ৪৯ জন বিধায়ক রয়েছে। এরমধ্যে ঝাড়খণ্ড জনমুক্তি মোর্চার ৩০ জন বিধায়ক রয়েছে, কংগ্রেসের কাছে রয়েছে ১৮ জন বিধায়ক। অন্যদিকে, আরজেডির একজন বিধায়ক রয়েছে। বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ২৬ বিধায়ক। ৮১ সদস্যের বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য প্রয়োজন ৪১ জন বিধায়ক।