AFSPA : কি রয়েছে নাগাল্যান্ডের আফস্পা-ভাগ্যে? সিদ্ধান্ত নিতে কমিটি গঠনে সায় শাহের

AFSPA in Nagaland: যে কমিটি গঠন করা হচ্ছে, তার নেতৃত্বে থাকবেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব (উত্তর পূর্ব)। ওই কমিটি ৪৫ দিনের মধ্যে একটি রিপোর্ট জমা দেবে।

AFSPA  : কি রয়েছে নাগাল্যান্ডের আফস্পা-ভাগ্যে? সিদ্ধান্ত নিতে কমিটি গঠনে সায় শাহের
বাড়ল আফস্পার মেয়াদ ছবি- পিটিআই
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 26, 2021 | 6:25 PM

নয়া দিল্লি : নাগাল্যান্ড সরকারের তরফে রবিবার জানানো হয়েছে, সেখান থেকে সশস্ত্র বাহিনী বিশেষ ক্ষমতা আইন (AFSPA) প্রত্যাহার করার জন্য শীঘ্রই একটি কমিটি গঠন করা হবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সভাপতিত্বে ২৩ ডিসেম্বর একটি বৈঠকে ওই কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। বৈঠকে নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী নিফিউ রিও, নাগাল্যান্ডের উপমুখ্যমন্ত্রী ওয়াই প্যাটন, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা এবং নাগা পিপলস ফ্রন্ট লেজিসলেচার পার্টি (NPFLP) নেতা টি আর জেলিয়াংও ছিলেন।

নাগাল্যান্ডের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করার জন্য বৈঠক বসেছিলেন তাঁরা। বিশেষ করে ৪ ডিসেম্বর সশস্ত্র বাহিনীর অভিযানে ভুল বশত সাধারণ গ্রামবাসীদের মৃত্যুর পর এই বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। উল্লেখ্য, ৪ ডিসেম্বর নাগাল্যান্ডের মন জেলার ওটিং গ্রামে সংঘটিত এক অভিযানে অন্তত ১৪ জন গ্রামবাসী এবং একজন সেনা জওয়ান নিহত হন।

৪৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা করবে কমিটি

নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী নেফিউ রিও সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, যে কমিটি গঠন করা হচ্ছে, তার নেতৃত্বে থাকবেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব (উত্তর পূর্ব)। ওই কমিটি ৪৫ দিনের মধ্যে একটি রিপোর্ট জমা দেবে। ওই রিপোর্টের ভিত্তিতে নাগাল্যান্ড থেকে আফস্পা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এছাড়া ওটিংয়ের ঘটনায় জড়িত সেনা ইউনিটের বিরুদ্ধে আদালতের তদন্ত কার্যক্রম শুরু হবে। চিহ্নিত সেনাকর্মীদের উপর তদন্ত চলাকালীন তাদের সাসপেন্ড করা হবে। এছাড়া নাগাল্যান্ড সরকারও ওটিংয়ের ঘটনায় মৃত ব্যক্তিদের পরিবারের একজনকে চাকরি দেবে।

আফস্পা নিয়ে এত বিতর্ক কেন?

আফস্পা আইন সশস্ত্র বাহিনীকে নিরবচ্ছিন্ন ক্ষমতা প্রয়োগের অধিকার দেয়। এই আইনের আওতায় সশস্ত্র বাহিনী যে পদক্ষেপ করে, তার জন্য নিরাপত্তা রক্ষা বাহিনীর জওয়ানদের কোনওরকম দায়বদ্ধতা থাকে না। আইনি রক্ষাকবচ থাকে তাঁদের জন্য। আর এই নিয়েই যাবতীয় বিতর্ক এবং সমালোচনা।

আফস্পার আওতায়, “সশস্ত্র বাহিনী” নিছক সন্দেহের ভিত্তিতে একটি বাড়ি উড়িয়ে দিতে পারে কিংবা কাউকে গুলি করে হত্যা করতে পারে। একজন নন-কমিশনড অফিসার বা সমতুল্য পদমর্যাদার এবং তার উপরের পদমর্যাদার যে কেউ সন্দেহের ভিত্তিতে, ওয়ারেন্ট ছাড়াই গ্রেফতার করতে বা হত্যা করতে বলপ্রয়োগ করতে পারেন। অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে এমন যে কিছু বহনকারীর উপর গুলি চালানোর অধিকার দেওয়া হয়েছে আফস্পায়।

বর্তমানে, জম্মু ও কাশ্মীর, নাগাল্যান্ড, অসম, মণিপুর (ইম্ফলের সাতটি বিধানসভা কেন্দ্র বাদে) এবং অরুণাচল প্রদেশের কিছু অংশে আফস্পা আইন কার্যকর রয়েছে। যদি প্রশাসন মনে করে ওই এলাকায় পরিবেশ এখন আর অশান্ত নয় কিংবা যদি মনে করা হয় এলাকার পরিস্থিতি পুলিশ বাহিনী দিয়ে পরিচালানা করার যোগ্য, তখন এই আইনটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে ত্রিপুরা থেকে আফস্পা আইন বাতিল করা হয়েছিল। ২০১৮ সালে মেঘালয় থেকেও আফস্পা সরিয়ে নেওয়া হয়। অরুণাচল প্রদেশেও এই আইনের ব্যবহার সীমিত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন : CJI NV Ramana: বিচারকরা কি নিজেরাই বিচারক নিয়োগ করেন? ভুল ধারনা ভাঙালেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি