Andhra Pradesh: মোরগরা খাচ্ছে ভায়াগ্রা-শিলাজিৎ! ঝিমিয়ে পড়লে লড়বে কে?
Andhra Pradesh cock fight: ভায়াগ্রা এবং শিলাজিতের মতো ওষুধগুলি সাধারণত পুরুষরা তাদের যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু, ১৫ জানুয়ারি মকর সংক্রান্তির আগে, এখন অন্ধ্র প্রদেশে এই ওষুধগুলি খাওয়ানো হচ্ছে মোরগদের। 'শর্টকাট' হিসবে এই পথই বেছে নিয়েছেন ব্রিডাররা।
হায়দরাবাদ: ভায়াগ্রা এবং শিলাজিতের মতো ওষুধগুলি সাধারণত পুরুষরা তাদের যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু, ১৫ জানুয়ারি মকর সংক্রান্তির আগে, এখন অন্ধ্র প্রদেশে এই ওষুধগুলি খাওয়ানো হচ্ছে মোরগদের। তবে, শুধু ভায়াগ্রা-শিলাজিতই নয়, তাদের স্টেরয়েড এবং বিভিন্ন ভিটামিনও খাওয়ানো হচ্ছে। আসলে, মকর সংক্রান্তিকে কেন্দ্র করে গুন্টুর, কৃষ্ণা এবং দুই গোদাবরী জেলাতেই চলে অসংখ্য মোরগ লড়াই। রাজ্যের গ্রামাঞ্চলে মকর সংক্রান্তি উদযাপনের এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ এই মোরগ লড়াই। কঠোর প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশে, মোরগগুলি লড়াই করে। কোনও এক মোরগের মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত এই লড়াই চলে। আর, কোন মোরগ জিতবে, তার উপর কোটি কোটি টাকার বাজি ধরে সাধারণ মানুষ।
সমস্যা হল, ‘রানীক্ষেত’ নামের এক ভাইরাল রোগ হানা দিয়েছে অন্ধ্রে। এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে একের পর এক মোরগ। আর এই রোগের জেরেই এবার এই মোরগের লড়াই অনেকটাই ম্লান হয়ে গিয়েছে। ‘রানিক্ষেত’ রোগ মূলত মোরগদের শ্বাসযন্ত্রের রোগ। এই ভাইরাল রোগ অন্ধ্র প্রদেশের মোরগদের দুর্বল করে দিয়েছে। তারা আর লড়াই করার মতো অবস্থায় নেই। ভাল মানের ‘ফাইটার কক’ বা লড়াকু মোরগ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আর এই কারণেই লড়াইয়ের আগে মোরগগুলিকে লড়াই করার মতো অবস্থায় আনতে, তাদের পাখিদের বিভিন্ন হরমন-বর্ধক ওষুধ খাওয়াচ্ছেন ব্রিডাররা। এই ওষুধগুলি দিয়েই ‘শর্টকাটে’ এই রোগের ক্ষতির মোকাবেলা করতে চাইছেন তাঁরা।
তবে, মানুষের জন্য যে ওষুধগুলি কামোদ্দীপক বা হরমোন উদ্দীপক হিসাবে পরিচিত, সেগুলির প্রভাব পাখিদের উপর কতটা পড়বে সেই সম্পর্কে ব্রিডারদের কোনও ধারণাই নেই। এই ওষুধগুলি তাদের কর্মক্ষমতা আদৌ বাড়াতে পারবে কিনা, তার উত্তর জানা নেই তাদের। পশুচিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এই হরমোন-বর্ধক ওষুধগুলি পাখিদের অল্প সময়ের জন্য কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দিতে পারে। তবে, দীর্ঘমেয়াদে এই ওষুধ তাদের পঙ্গু করে দিতে পারে। শুধু তাই নয়, পরবর্তী সময়ে এই ধরনের মুরগি মানুষ খেলে মানুষেরও ক্ষতি হতে পারে। বিডাররা অবশ্য দাবি করছেন, এখনও পর্যন্ত এই সব ওষুধের ফলাফল যথেষ্ট উৎসাহব্যঞ্জক।
তারা জানিয়েছেন, রানিক্ষেত এবং পোল্ট্রি শিল্পে অন্যান্য রোগ ছড়িয়ে পড়ায়, ভাল মানের ফাইটার মোরগ পাওয়া যাচ্ছে না। ব্রিজাররা লড়াকু মোরগগুলিকে বাঁচাতে প্রচুর টাকা খরচ করেছেন। কিন্তু, পাখিগুলি এখনও দুর্বল হয়ে আছে। এদিকে সংক্রান্তি এগিয়ে আসছে। তাই, এই মোরগগুলিকে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত করার জন্য, এই ওষুধগুলি প্রয়োগ করা ছাড়া, তাদের কোনও উপায় নেই।