Honeytrap: পাকিস্তানি মহিলার ফাঁদে সেনাতে কর্মরত যুবক বিয়ের নামে দিল্লি এসেছিল, তারপর…
Honey Trap: পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, প্রদীপ কুমার যোধপুরে কর্মরত ছিলেন। জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া সাইট ফেসবুকের মাধ্যমে পাকিস্তানি ওই মহিলার সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়েছিল।
জয়পুর: দেশভাগের সময় থেকে যতদিন গিয়েছে ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্ক ততটাই খারাপ হয়েছে। পাকিস্তান (Pakistan) বরাবই ভারত বিরোধিতাতে সিদ্ধহস্ত। ভারতের বিরোধিতার কোনও সুযোগ পাকিস্তান হাতছাড়া করতে চায় না। কিন্তু ভারতেরই কোন নাগরিক যদি পাকিস্তানের মতো দেশকে তথ্য সরবরাহ করে, তবে তা নিঃসন্দেহে নিন্দনীয়। ভারতীয় সেনা বাহিনীতে কর্মরত প্রদীপ কুমার নামে এক ব্যক্তিকে শনিবার গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে সেনা বাহিনী সংক্রান্ত তথ্য পাচারের অভিযোগ রয়েছে। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অভিযুক্ত জওয়ানকে গ্রেফতার করেছে রাজস্থান পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, মধুচক্রের ফাঁদ পেতে ওই ব্যক্তির থেকে যাবতীয় তথ্য হাতিয়ে নেওয়া হয়েছিল। পাকিস্তানি এক মহিলা এই কাজ করেছে বলেই জানিয়েছে রাজস্থান পুলিশ।
পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে প্রদীপ কুমার যোধপুরে কর্মরত ছিলেন। জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া সাইট ফেসবুকের মাধ্যমে পাকিস্তানি ওই মহিলার সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়েছিল। প্রদীপকে প্রতারণার ফাঁদে ফাঁসাতে নিজেকে এক হিন্দু হিসেবে পরিচয় দিয়েছিল পাকিস্তানি মহিলা। প্রদীপকে সে জানিয়েছিল তাঁর নাম ছদম এবং সে মধ্য প্রদেশের গোয়ালিয়রের বাসিন্দা। দীর্ঘদিন ধরে ফেসবুকে চ্যাট করার পর প্রদীপ বিশ্বাস করে নিয়েছিলেন যে ওই মহিলা বেঙ্গালুরুর কর্পোরেট সংস্থায় চাকরি করে। বেশ কিছুদিন ধরে কথাবার্তা বলার পর ওই মহিলাকে বিয়ের অজুহাতে দিল্লিতে প্রদীপ আসেন এবং বেশ কিছু গোপনীয় তথ্য জোগাড় করেন। সেনা সংক্রান্ত বেশ কিছু ছবি এবং কৌশলগত বেশ কিছু গোপনীয় তথ্য ওই আইএসআই মহিলাকে পাঠান। পুলিশের সন্দেহ ওই মহিলা পাক গুপ্তচর সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স বা আইএসআইতে কর্মরত।
পুলিশ তদন্ত করে জানতে পেরেছে বিগত ৬ মাস ধরে ওই পাকিস্তানি মহিলার সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে কথা বলতেন প্রদীপ। রাজস্থান গোয়েন্দা পুলিশের ডিজি উমেশ মিশ্র জানিয়েছেন, পাকিস্তানের ওই এজেন্টকে হোয়াটসঅ্যাপ মারফত অনেক গোপনীয় ও সংবেদনশীল তথ্য পাচার করেছেন প্রদীপ। প্রদীপের আরও এক মহিলা বান্ধবী এই ঘটনায় জড়িত বলে জানা গিয়েছে।