জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ না করলে কামাক্ষ্যা মন্দিরের জমিও দখল হয়ে যাবে, উদ্বাস্তু মুসলিমদের নিশানা অসমের মুখ্যমন্ত্রীর

মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যে অসন্তুষ্ট বিরোধী পক্ষ। এআইইউডিএফ-র সাধারণ সম্পাদক আনিমূল ইসলাম বলেন, "মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য সম্পূর্ণরূপে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং নির্দিষ্ট একটি সম্প্রদায়কে আক্রমণ করেই বলা হয়েছে।"

জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ না করলে কামাক্ষ্যা মন্দিরের জমিও দখল হয়ে যাবে, উদ্বাস্তু মুসলিমদের নিশানা অসমের মুখ্যমন্ত্রীর
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Jun 11, 2021 | 11:41 AM

গুয়াহাটি: রাজ্যে জমি দখল ও জনসংখ্যা বাড়ার জন্য মুসলিমদের দায়ী করেই বিতর্ক উসকে দিলেন অসমের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। বৃহস্পতিবার একটি সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “জমি দখলের মতো নানা সামাজিক সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে যদি অভিবাসী মুসলিমরা পরিবার পরিকল্পনা মেনে চলে।”

বৃহস্পতিবার গুয়াহাটিতে একটি সাংবাদিক বৈঠকে নতুন মুখ্যমন্ত্রীকে জমি পুনরুদ্ধার অভিযানে মুসলিমদের বেঘর করে দেওয়ার সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “বাইরে থেকে আসা মুসলিমরা যদি পরিবার পরিকল্পনা অনুসরণ করে এবং নিজেদের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করে,তবে কোনও সমস্যাই থাকবে না। যদি এভাবেই জন বিস্ফোরণ হতে থাকে, তবে একদিন কামাক্ষ্যা মন্দিরের জমিও দখল হয়ে যাবে, এমনকি আমার বাড়িও দখল হয়ে যাবে।”

অসমের মোট জনসংখ্যার ৩১ শতাংশই মুসলিম হলেও বাংলাভাষী মুসলিমরা মূলত বাংলাদেশ থেকেই আগত। গত বিধানসভা নির্বাচনেও রাজ্যের ভূমিপুত্রদের সংরক্ষণ ও জমি দখল করাকেই হাতিয়ার বানিয়ে প্রচার চালিয়েছিল বিজেপি।

রাজ্যে ক্রমাগত জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য মুসলিম পরিবারগুলিকেই দোষারোপ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা গত বিধানসভাতেই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নীতি প্রয়োগ করেছিলাম। তবে বর্তমানে আমরা বিশেষ করে সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা কমানোর উপরই নজর দিতে চাই। আমরা জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে বহু সামাজিক সমস্যা দূর করা যাবে। তাই মুসলিমদের কাছে এটি আমার বিনীত অনুরোধ।”

এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যে অসন্তুষ্ট বিরোধী পক্ষ। এআইইউডিএফ-র সাধারণ সম্পাদক আনিমূল ইসলাম বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য সম্পূর্ণরূপে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং নির্দিষ্ট একটি সম্প্রদায়কে আক্রমণ করেই বলা হয়েছে। সরকারের তরফে জনসংখ্যা নিন্ত্রণে নীতি অনুসরণ করা হলে আমরা কখনওই তার বিরোধিতা করিনি। ক্রমাগত জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য দারিদ্রতা ও অশিক্ষাই দায়ী, কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী এই দুটি বিষয় নিয়ে কোনও কথা বললেন না।”

আরও পড়ুন: জরুরিভিত্তিতে কোভ্যাক্সিন প্রয়োগে ‘না’ আমেরিকার, কী হবে ভারত বায়োটেকের পরবর্তী পদক্ষেপ?