Child Marriages: শীঘ্রই শেষ হবে ‘অশুভ প্রথা’, বাল্যবিবাহ বন্ধের সময়সীমা জানালেন হিমন্ত

Child Marriages: রাজ্যে বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে তৎপর অসম প্রশাসন। আর খুব শীঘ্রই এই প্রথা শেষ হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্য়মন্ত্রী।

Child Marriages: শীঘ্রই শেষ হবে 'অশুভ প্রথা', বাল্যবিবাহ বন্ধের সময়সীমা জানালেন হিমন্ত
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 21, 2023 | 9:14 AM

গুয়াহাটি: অসমে (Assam) বাল্য বিবাহ (Child Marriage) রুখতে তৎপর প্রশাসন। সম্প্রতি বাল্য বিবাহের অপরাধে একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতারও করেছে অসম সরকার। বাল্য বিবাহ রুখতে কড়া বার্তা দিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। এবার রাজ্য়ে বাল্য বিবাহে পুরোপুরি ইতি টানার সময়সীমাও বেঁধে দিলেন তিনি। সোমবার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে তিনি জানান, ২০২৬ সালের মধ্যে বাল্যবিবাহে ইতি টানবে রাজ্য় সরকার।

শর্মা গতকাল বলেছেন, “২০২৬ সালের মধ্যে রাজ্যে বাল্যবিবাহ শেষ হয়ে যাবে। এবং তা নিশ্চিত করতে আমরা কঠোর পদক্ষেপ করব।” আর এই লক্ষ্যপূরণে অতি সক্রিয় অসম প্রশাসন। এইবার রাজ্য বাজেটে বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে অভিযানে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ভাল আইনজীবী, সচেতনতা তৈরিতে অভিযান ও হেল্পলাইনের ক্ষেত্রে এই টাকা খরচ করা হবে।

এই বছরের ফেব্রুয়ারিতেই বাল্য়বিবাহ রুখতে মাঠে নামে অসম সরকার। অভিযানে নেমে হাজারের বেশি বাসিন্দাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও হাজারের বেশি মানুষের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। সেই অভিযান এখনও চলবে বলেই নিজের কথাবার্তায় আভাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি জানিয়েছেন, ২০২৬ সালের মধ্যে বাল্যবিবাহ নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে অসম থেকে। ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি বলেছিলেন, “বাল্যবিবাহ একটি সামাজিক অভিশাপ এবং আমরা এই অশুভ প্রথা বন্ধ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” সোমবার কংগ্রেস বিধায়ক কমলাক্ষ্য দে পুরকায়স্থের প্রশ্নের উত্তরে শর্মা বলেন, এই সমস্যা নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত প্রতি কয়েক মাস পর পর এর বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান চলবে।

শুধু বাল্যবিবাহ থেকে বের করেন আনাই নয়। তাদের জীবনে ছন্দে ফিরিয়ে আনতেও বিশেষ ব্যবস্থা করা হবে অসম সরকারের তরফে। তিনি বলেছেন, বৃত্তি, বিনামূল্যে শিক্ষা এবং সরকারি প্রকল্পের অন্যান্য সমস্ত সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্থদের পুনর্বাসনের জন্য রাজ্য কাজ করবে। মুখ্যমন্ত্রী শর্মা বলেন, “নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে বাল্যবিবাহ বন্ধ করার জন্য আমাদের একটি বিশদ পরিকল্পনা রয়েছে।” আর সেই সময়সীমা ২০২৬ বলেই জানালেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী।