Vizag Gas Leak: কারখানা নয়, পাশের ল্যাবরেটরি থেকেই ভেসে এসেছিল বিষাক্ত গ্যাস? ভাইজ্যাগে গ্যাস লিকে অসুস্থ বেড়ে ১৫০

AP Gas Leak: মঙ্গলবার রাতে অন্ধ্র প্রদেশের আনাকাপল্লে জেলার স্পেশাল ইকোনমিক জোনে গ্যাস লিক হয়। একটি জামা-কাপড় তৈরির কারখানায় গ্যাস লিক হয়, কিছুক্ষণের মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েন কর্মীরা।

Vizag Gas Leak: কারখানা নয়, পাশের ল্যাবরেটরি থেকেই ভেসে এসেছিল বিষাক্ত গ্যাস? ভাইজ্যাগে গ্যাস লিকে অসুস্থ বেড়ে ১৫০
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 03, 2022 | 10:46 AM

ভাইজ্যাগ: হু হু করে বেড়েই চলেছে অসুস্থের সংখ্যা। এদিকে কোথা থেকে গ্যাস লিক হয়েছিল, তা খুঁজতে নাকানি-চোবানি খেতে হচ্ছে পুলিশ ও তদন্তকারী দলকে। বিশাখাপত্তমে গ্যাস লিকের ঘটনায় অসুস্থের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৫০-এ। পরপর দুই মাসে দু’বার গ্যাস লিকের ঘটনা ঘটায় যথাযথ তদন্তের দাবিতে সরব হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও ওই শিল্পাঞ্চলের কর্মীরা।

মঙ্গলবার রাতে অন্ধ্র প্রদেশের আনাকাপল্লে জেলার স্পেশাল ইকোনমিক জোনে গ্যাস লিক হয়। একটি জামা-কাপড় তৈরির কারখানায় গ্যাস লিক হয়, কিছুক্ষণের মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েন কর্মীরা। পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় প্রথমে প্রায় ৫০ জন অসুস্থ কর্মীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে রাত বাড়তেই অসুস্থ কর্মীদের সংখ্য়াও বাড়ে। শেষ খবর অনুযায়ী, এখনও অবধি কমপক্ষে ১৫০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে এখনও কারোর মৃত্যু হয়নি গ্যাস লিকের ঘটনায়।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটা-নটা নাগাদ বিকট একটি গ্যাসের গন্ধ আসতে শুরু করে। দুর্ঘটনার সময়ে শিফটে প্রায় ৪০০ কর্মী ছিলেন, এদের মধ্য়ে অধিকাংশই মহিলা। বস্ত্র প্রস্তুতকারক ওই কারখানার কর্মীরা প্রথমে বিষয়টি গুরুত্ব না দিলেও কিছুক্ষণের মধ্যেই তারা অসুস্থবোধ করতে শুরু করেন। মাথা ঘোরা-বমি শুরু হয় কর্মীদের। বেশ কয়েকজন সংজ্ঞাও হারান। এরপরই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে কারখানা ও আশেপাশের এলাকায়। সাধারণ মানুষ বাইরে ছোটাছুটি করতে শুরু করেন। পুলিশ-প্রশাসনকেও খবর দেওয়া হয়। অসুস্খ কর্মীদের প্রথমে স্পেশাল ইকোনমিক জোনের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়। পরে তাদের আশেপাশের একাধিক সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।

চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, কোনও রকম বিষাক্ত গ্য়াস শরীরে প্রবেশ করাতেই এত সংখ্যক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। কারখানার কর্মীদের পাশাপাশি আশেপাশের কিছু বাসিন্দাও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তবে বর্তমানে সকলের অবস্থাই স্থিতিশীল। এখনও অবধি কারোর মৃত্যু হয়নি। কারখানার  অসুস্থ কর্মীদের মধ্য়ে বেশ কয়েকজন গর্ভবতী বলে জানা গিয়েছে, তাদের বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

পুলিশের তরফে গ্যাস লিকের কারণ সম্পর্কে এখনও স্পষ্টভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে প্রাথমিক তদন্তের পর অনুমান করা হচ্ছে যে ওই কারখানা নয়, বর পাশের একটি ল্যাব থেকেই বিষাক্ত গ্য়াস লিক হয়েছে। ওই ল্যাবরেটরিতে পশুদের চিকিৎসার জন্য ওষুধ তৈরি করা হয় বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, গত ১৩ এপ্রিলও এই ল্যাবরেটরিতেই বিস্ফোরণ হয়েছিল। ওই ঘটনায় ৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল এবং ১৫ জন আহত হয়েছিলেন।  গোটা ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।