Hanumangarhi Temple: অযোধ্যার হনুমানগঢ়ী মন্দিরে খুন! উদ্ধার পুরোহিতের গলা কাটা দেহ
Murder in Hanumangarhi Temple: বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর), হনুমানগড়হি মন্দিরের ভিতর খুন হলেন ৪৪ বছরের এক পুরোহিত। এদিন সকালে মন্দিরের এক কক্ষে গলা কাটা অবস্থায় ওই পুরোহিতের দেহ পাওয়া গিয়েছে বলে, জানিয়েছে পুলিশ। পরিচিত কেউই তাঁকে হত্যা করেছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
অযোধ্যা: অযোধ্যার রাম জন্মভূমি প্রাঙ্গন এলাকাতেই অবস্থিত বিখ্যাত হনুমানগঢ়ী মন্দির। সম্পূর্ণ রাম জন্মভূমি এলাকাতেই কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকে। তার মধ্যেই বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর), হনুমানগঢ়ী মন্দিরের ভিতর খুন হলেন ৪৪ বছরের এক পুরোহিত। এদিন সকালে মন্দিরের এক কক্ষে গলা কাটা অবস্থায় ওই পুরোহিতের দেহ পাওয়া গিয়েছে বলে, জানিয়েছে পুলিশ। অযোধ্যার পুলিশ আরও জানিয়েছে, পরিচিত কেউই তাঁকে হত্যা করেছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। কারণ, প্রাথমিক তদন্তে দেখা গিয়েছে, নিহত পুরোহিতের ঘরে জোর করে কেউ প্রবেশ করেনি।
পুলিশ সুপার রাজ করণ নায়ার জানিয়েছেন, নিহত পুরোহিতের নাম রাম সাহরে দাস। হনুমানগঢ়ী মন্দির সংলগ্ন এক কক্ষে, দুই শিষ্যের সঙ্গে একসঙ্গে থাকতেন তিনি। প্রতিদিন সকালে মন্দিরের নিত্যপুজোয় উপস্থিত থাকতেন তিনি। এদিন সময় মতো সকালের পুজোয় তিনি না আসায়, তাঁর খোঁজ করতে ওই ঘরে গিয়েছিলেন মন্দিরের অন্যান্য পুরোহিতরা। এরপরই, রাম সাহরে দাসের গলা কাটা দেহ পাওয়া যায়। সকাল ৭টা নাগাদ খবর দেওয়া হয় পুলিশে।
রাম সাহরে দাসের সঙ্গে একই ঘরে যে দুই শিষ্য থাকতেন, পুলিশের চোখে আপাতত তারাই এই হত্যাকাণ্ডের মূল সন্দেহভাজন। রাজ করণ নায়ার জানিয়েছেন, বুধবার রাতে শিষ্যদের সঙ্গে কিছু বিষয় নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়েছিলেন ওই পুরোহিত। ঠিক কী কারণে তাদের মধ্যে বাদানুবাদ হয়েছিল। সেই বাদানুবাদ থেকেই এই হত্যা, নাকি, এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই দুই শিষ্যের একজনের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁকে খুঁজে বের করতে পুলিশের চারটি দল গঠন করা হয়েছে। অপর শিষ্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। পুলিশ সুপার আরও জানিয়েছেন, রাম সাহরে দাসকে কোনও ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করা হয়েছে। তবে, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রটি এখনও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।