Bengaluru Acupuncturist: যৌনাঙ্গে সুচ! আকুপাংচারিস্টের ফোন ঘাঁটতেই বেরোলো একের পর এক গোপন ভিডিয়ো
Bengaluru Acupuncturist: তদন্তের সময় সিসিবি আধিকারিকরা বেঙ্কটরমনের ফোনে বেশ কয়েকটি নগ্ন ভিডিয়ো খুঁজে পেয়েছেন। এর আগে সে মার্থাহল্লিতে একটি সংস্থায় কাজ করত।
বেঙ্গালুরু: একের পর এক মহিলাকে যৌন নিপীড়ন এবং গোপনে তাঁদের নগ্ন ভিডিয়ো রেকর্ড করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল বেঙ্গালুরুর এক আকুপাংচারিস্টকে। অভিযুক্ত বেঙ্কটরমন যশবন্তপুরের মাথিকেরে এলাকায় একটি প্রাকৃতিক চিকিৎসা ও আকুপাংচার ক্লিনিক চালাতেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। আকুপাংচার হল এক বিকল্প চৈনিক চিকিৎসা পদ্ধতি, যেখানে শরীরের বিভিন্ন স্থানে সূক্ষ্ম সুচ প্রবেশ করানো হয়। নির্যাতিতা মহিলাদের একজনের স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির বেশ কয়েকটিধারায় তার বিরুদ্ধে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করেছে পুলিশ। তবে তার আগেই সে পালিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত সেন্ট্রাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ অন্ধ্রপ্রদেশের গুটি থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।
তার বিরুদ্ধে কী অভিযোগ? নির্যাতিতা মহিলার স্বামী দাবি করেছেন, বারবার আপত্তি করা সত্ত্বেও তাঁর স্ত্রীর যৌনাঙ্গে আকুপাংচারের সুচ ঢুকিয়ে দিয়েছিল অভিযুক্ত আকুপাংচারিস্ট। ওই মহিলা গিয়েছিলেন তাঁর পায়ে ব্যথার সমস্যা নিয়ে। কিন্তু বেঙ্কটরমন তাঁর সারা শরীরেই সুচ বিঁধিয়ে দিত। জিজ্ঞাসা করলে বলত, এটাই চিকিত্সা পদ্ধতি। মোট ১৫ থেকে ২০ বার ওই ক্লিনিকে গিয়েছিলেন মহিলা। এর মধ্যে অন্তত পাঁচবার তিনি একা ছিলেন। এমনই একবার বেঙ্কটরমন জোর করে ওই মহিলার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাঁর যৌনাঙ্গে আকুপাংচারের সুচ দিয়ে ছিদ্র করেছিলেন।
গত ২৬ অক্টোবর একটি অজানা নম্বর থেকে ওই মহিলার ফোনে একটি নগ্ন ভিডিয়ো এসেছিল। প্রেরক জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে ভিডিয়োটি ওই নির্যাতিতা মহিলার কি না? নির্যাতিতা এবং তাঁর স্বামী দেখেছিলেন, ভিডিয়োটি ওই নির্যাতিতার যৌনাঙ্গের। এরপরই ওই গোপন প্রেরকের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেছিলেন তাঁরা। তিনি জানিয়েছিলেন, তিনিও ওই আকুপাংচারিস্টের বিকৃতির শিকার হয়েছেন। তাঁরও এইরকম একটি ভিডিয়ো তুলেছিল ওই আকুপাংচারিস্ট। তার ফোন ঘেঁটে তিনি আরও অনেক মহিলার একই রকম ভিডিয়ো পেয়েছেন বলেও দাবি করেন ওই ভিডিয়ো প্রেরক।
সেন্ট্রাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ তদন্তে জানতে পেরেছে, চিকিত্সার নামে অভিযুক্ত, রোগীদের পোশাক খুলতে বলত। রোগীদের নগ্ন দেহ অনুভব করে আনন্দ নিত সে। গোপনে তার মোবাইল ফোনে সেই সব ঘটনার ভিডিয়ো রেকর্ডও করত। ক্রাইম ব্রাঞ্চের কর্তারা তার ফোনে এরকম বেশ কিছু ভিডিয়ো পেয়েছেন। এই আকুপাংচার ক্লিনিক খোলার আগে বেঙ্কটরমন, মার্থাহল্লির একটি সংস্থায় সেলস ম্যানেজার হিসেবে কাজ করত। এক আয়ুর্বেদ কলেজে আকুপাংচার নিয়ে একটি কর্মশালায় অংশ নিয়েছিল। পরে জয়নগরের এক বেসরকারি কলেজ থেকে আকুপংচারের দুই বছরের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছিল। এরপরই মাথিকেরের ক্লিনিকটি খুলেছিল।